গিগ ইকোনমি হল ইন্টারনেট এবং অ্যাপের উপর নির্ভরশীল একটা মুক্ত এবং বিশ্বব্যাপী বাজার ব্যবস্থা, যেখানে কর্মসংস্থান সাময়িক এবং মজুরি নামমাত্র। প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্পমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে তাদের ইচ্ছামতো কর্মীদের দক্ষতা অনুযায়ী একটা ভদ্রস্থ মাইনের অনেক নিচে কাজে নিয়োগ করে এবং কর্মীদের কাজের পরিমান এবং উপভোক্তার দেওয়া মূল্যায়নের (রেটিংস) ওপর পারিশ্রমিক প্রদান করে। বলাই বাহুল্য যে, চাকরি শেষে কোম্পানির আর কোন দায় দায়িত্ব নেই। Read More
Category : বিদেশ
সৌমিক কান্তি ঘোষ প্রসঙ্গে ঢোকার আগে সুধী পাঠককে অবহিত করি যে ‘নুভেল ভাগ’ বা ‘নবতরঙ্গ’ নামক যে চলচ্চিত্র সম্বন্ধীয় আন্দোলনটি ষাটের দশকের গোড়ায় ফরাসী দেশে এবং পরবর্তীকালে সারা বিশ্বে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে তা আসলে চলচ্চিত্রের আঙ্গিকগত দিকটাকেই নির্দেশ করে। বিশেষত ছবির টেকনিকের দিকটা — ফ্রিজ শটের ব্যবহার, অধিক পরিমাণে হ্যান্ড হেল্ড ক্যামেরার ব্যবহার, স্লোমোশন <a class="read-more" href="http://purbanchal.co/entertainment/3918/">Read more</a>Read More
গণতন্ত্র হলো রাষ্ট্রীয় সকল ব্যবস্থায় সাধারন মানুষের সর্বাধিকার । রাষ্ট্রপ্রধান হলো দেশের সাধারণ জনগণের দ্বারা নির্বাচিত জনসাধারণের প্রতিনিধি যে জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পাদন ও জনকল্যাণে কাজ করতে বাধ্য Read More
হুমায়ূন আহমেদ: যার কলমে হেসে উঠতো গদ্য ড. শিবলী চৌধুরী আজ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। কেনো যেনো তাঁকে নিয়ে দুটো কথা লিখতে ইচ্ছে হলো এখানে! কারণ হয়তো এর সাথে আমাদের নব্বুইয়ের দশকের কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ভারতীয় লেখকদের উপন্যাস পড়তাম। সমরেশ মজুমদারের বই-ই বেশি পড়েছিলাম মনে পড়ে। সুনীল, শীর্ষেন্দু, বুদ্ধদেব গুহ, বুদ্ধদেব বসুও বাদ যায়নি। আর মনে পড়ে স্টেশন প্রিন্ট নামে কিছু বই খুবই কম দামে পাওয়া যেত রেলওয়ে স্টেশনের বুকস্টলগুলোতে, এই দশ থেকে তিরিশ টাকার মধ্যে। মনে উঁকি দিচ্ছে বিমল মিত্রের 'সাহেব বিবি গোলাম', বঙ্কিমচন্দ্রের 'দুর্গেশনন্দিনী' বা 'কপালকুণ্ডলা', আর শরৎ চন্দ্রের (কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবো) বইগুলো নামমাত্র মূল্যে কিনে পড়তাম। সোনালী সেই সময়ে পড়া আরও দুটি বইয়ের কথা মনে পড়লো। ভারতীয় লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবীর 'ন হন্যতে' বইটা পড়েছিলাম একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়। লেখিকার fiancee বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার মির্চা এলিয়াদের লেখা 'লা নুই বেঙলি' বইRead More
শ্রীলঙ্কা ধ্বংসের কারণ কি লুকিয়ে আছে বিশ্ব-মন্দার মধ্যে? তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য ব্রিটিশরা এই দেশটিকে বলতেন "জুয়েল অফ ক্রাউন"। মাত্র ২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক ঋণের বোঝায় হিমসিম খাচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দে রাজাপক্ষে। পারিবারিক শাসন শ্রীলঙ্কায়। গতকাল দুজনেই দেশ ছেড়ে ভাগলবা। আগামী ২০ শে জুলাই নির্বাচনের মাধ্যে শাসক দলের বিক্রম সিংঘে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে চলেছেন। জনগণ এই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। বিভিন্ন কারণের ফল হিসেবে বিশ্বজোড়া মহামন্দাকে তো ধরাই যায়। তাছাড়া অভ্যন্তরীন কিছু কারণ তো আছেই শ্রীলঙ্কার এই দুরাবস্থার পিছনে। যেমনঃ- Read More
উত্তরপূর্ব ভারত সহ বিশ্বের এক বড় অংশ ভয়াবহ বন্যা, প্লাবন ও ধ্বসে বিপর্যস্ত। নীরব ও নিশ্চুপ থাকা এখন অপরাধ
উত্তরপূর্ব ভারত সহ বিশ্বের এক বড় অংশ ভয়াবহ বন্যা, প্লাবন ও ধ্বসে বিপর্যস্ত। নীরব ও নিশ্চুপ থাকা এখন অপরাধ। সন্তোষ সেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রকৃতির রুদ্ররুপ প্রত্যক্ষ করছেন বিশ্বের নানান প্রদেশের মানুষজন, বর্তমানে যা এক ভয়াবহ রূপে হাজির হয়েছে বিশ্ববাসীর সামনে। আসলে মুষ্টিমেয় মানুষের অতি লোভ, ফুলে ফেঁপে ওঠা পুঁজির নতুন নতুন বিনিয়োগ ও আরো আরো মুনাফার অন্ধগতির কারণে প্রকৃতি পরিবেশ লুঠ হচ্ছে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে। কর্পোরেটের স্বার্থে আর কিছু মানুষের তথাকথিত সুবিধের অজুহাতে অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিক উন্নয়নের রথের চাকায় পিষ্ঠ হচ্ছে জল জঙ্গল জমি নদী পাহাড় –সব, সবকিছুই। হেক্টরের পর হেক্টর বনভূমি ধ্বংস করে ধরিত্রীর বুক ফাটিয়ে তুলে আনা হচ্ছে কয়লা, লোহা, বক্সাইট। কয়লা ও পেট্রোলিয়ামের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি বিপুল পরিমাণে ব্যবহারের কারণে পৃথিবীর জ্বর বাড়ছে, দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের পরিবেশবিরোধী নানা রকম ক্রিয়াকলাপের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, মিথেন, ওজোন, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর উপস্থিতি বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরের উষ্ণতা বেড়ে গিয়ে তা প্রভাবিত করছে পৃথিবীর জলবায়ুকে। Read More
প্ল্যাটফর্ম ক্যাপিটালিজম ও গিগ অর্থনীতি। তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য গিগ ইকোনমি বোঝার আগে, গিগ ওয়ার্ককে বুঝতে হবে। সবাই জানি যে প্রায় প্রতিটি ব্যবসার জন্য কিছু স্থায়ী এবং কিছু অস্থায়ী কর্মী প্রয়োজন। অর্থাৎ ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্থায়ী কর্মচারীদের মাসিক বেতন দেওয়া হয়। যেখানে অস্থায়ী কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট কাজ বা প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য নিয়োগ করা হয় এবং প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে তাদের কাজ থেকে ছুটি দেওয়া হয়। সহজ কথায়, এই ধরনের কর্মচারীদের যারা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য নিয়োগ করা হয় তাদের গিগ ওয়ার্কার বলা হয়। অতএব, গিগ ইকোনমি সম্পর্কে বলতে গেলে, এটি একটি মুক্ত বাজার ব্যবস্থা যেখানে অস্থায়ী পদে কর্মচারী নিয়োগ করা হয় এবং কোম্পানিগুলি একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য স্বল্পমেয়াদী ভিত্তিতে কর্মচারী নিয়োগ করে। Read More
আ ডল্স হাউস নাটকটি যখন ১৮৭৯ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত হলো, তখন সমগ্র ইউরোপের গতানুগতিক নিস্তরঙ্গ জীবন যাত্রায় হঠাৎ করেই যেন এক বোমার বিস্ফোরণ ঘটলো। আর এতে শতাব্দী প্রাচীন পিতৃতান্ত্রিক মূল্যবোধ অকস্মাৎ এক চরম ধাক্কা খেলো। সময়টা ছিলো এমন যখন স্ত্রীকে স্বামীর অনুগত দাসী জ্ঞান করা হতো। স্বামী তার স্ত্রীকে কতোটুকু ভালবাসলো, আর কতোটাই বা মর্যাদার আসনে বসালো – সেগুলো কখনোই বিবেচ্য বিষয় ছিলো না। সামাজিক বিধানই বলুন আর প্রথাগত রীতিনীতিই বলুন বিষয়টা ছিলো এমন যে স্ত্রীরা স্বামীর দ্বারাই নির্দেশিত হবে, স্বামীর চোখেই বিশ্বকে দেখবে, স্বামীর চিন্তা-চেতনার সাথেই নিজেকে খাপ খাইয়ে নেবে। আর এ সব কিছুই তথাকথিত নিয়মতান্ত্রিকভাবেই চলছিলো। কিন্তু সময়কে ছাড়িয়ে যাওয়া এক মহান নাট্যকারের আবির্ভাবে পুরুষতন্ত্রের এসব প্রতিষ্ঠিত আদর্শিক মূল্যবোধ হঠাৎ করেই যেন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালো।Read More
আহমদ ছফা বাংলাদেশের সমকালীন বুদ্ধিবৃত্তির পরিমণ্ডলে একজন প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবি। একথা বললে উনোক্তি বা অত্যুক্তি কোনোটিই হবে না। জাতীয়তাবাদী ও বামপন্থী মহলে তো বটেই এমনকি ডানপন্থী মহলেরও কিছু কিছু অংশে আহমদ ছফার গ্রহণযোগ্যতা আছে বলে মনে হয়। বিভিন্ন চিহ্নের মধ্য দিয়ে এর সাক্ষ্য প্রমাণ মেলে বৈকি।Read More
বীর মুক্তিযোদ্ধা ভাওয়াইয়া যুবরাজ কছিম উদ্দীন ড. মো. এরশাদুল হক অনুপম সৌন্দর্যবোধ, অপূর্ব মননশীলতা, মিত আদর্শের তেজদীপ্তি, দুর্নিবার মূল্যবোধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত সৈনিক হিসেবে যে কয়েকজন প্রথিতযশা ক্ষণজন্মা ও বিদগ্ধ সঙ্গীতশিল্পীর বিচরণে উত্তরবঙ্গ ধন্য হয়েছে তাঁদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা কছিম উদ্দীন বিশেষভাবে অগ্রগণ্য। ভাওয়াইয়ার অঙ্গনে শিল্পী কছিম উদ্দীন এক বিস্ময়কর নাম। ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাস উদ্দীনের পর ভাওয়াইয়া সঙ্গীতে শিল্পী কছিম উদ্দীন আজও নিষ্প্রভ হয়ে আছেন। তিনি ছিলেন একাধারে কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, দোহার এবং অভিনেতা। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এ শিল্পী ভাওয়াইয়া সঙ্গীতে এক নতুন দিগন্তের দ্বার উন্মোচন করেন। ভাওয়াইয়া সঙ্গীতে যোগ করেন এক নতুন মাত্রা। বলা যায়, বিশ্বের দরবারে ভাওয়াইয়াকে পরিচিত করে তুলতে আব্বাস উদ্দীনের পর যে নামটি সর্বাগ্রে স্মরণীয় সেটি হলো কছিম উদ্দীন। Read More