ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ঝিমুনি ধরেছে। আর কয়েকজনের পরেই তাঁর লাইন। খিদেও পেয়েছে। খিদে চেপে রেখেও ঘণ্টা খানেকের উপরে দাঁড়িয়ে আছে গোপী। সেই সকালে চাঁদমণি থেকে বেড়িয়ে আট কিলোমিটারের বেশি পায়ে হেঁটে বাজারে আসা।Read More
Category : রবিবারের সাহিত্য
মা নিষাদ ভেবেছিলাম, বন্ধুরা এসে খুঁজে নেবে শব্দভেদী বাণ আর হৃদস্পন্দনের সম্পর্ক ভেসে উঠবে চৌদ্দ মধুকর। অথচ ভিড় এসে ঢেলে দিয়ে গেলো ঝাঁঝালো নির্বাসনী তরল। দেড়ফুট আয়ুর ভেতর হাতড়ে হাতড়ে চোখ খুঁজি আর বেঁচে থাকতে চেয়ে ঈর্ষা জমে যায়। মনখারাপ বিষয়ক প্রবন্ধের ভেতর মোটা অক্ষরে লেখা থাকে 'মতি আর গৌরাঙ্গের মিলন হয়নি' গম্বুজের চুড়োয় পড়েছে সোনার পড়ত রাস্তার দুধারে ভিখারি কাঙাল হরিদাস গ্রামে গ্রামে বার্তা দিয়ে ফেরে। বন্ধুরা কবিতা লেখে আমি তিনমহলার ঝরকাRead More
১. ছায়ার আর্তনাদ ছায়ার আর্তনাদ শুনলে চোখ বাঁধানো বরফের কথা মনে পড়ে আজকাল দৃশ্যরাও সব রূপান্তরকামী । যে কোন প্রচ্ছদে মানানসই। শেয়ালের পিঠে চড়ে শূন্যরা বেড়াতে যায়। মূর্খবাদ কতটা কঠিন এ দেশ আজও শিখলো না। কফি হাউসের ভেতর বিবর্ধক কাচেরা জ্ঞানবৃক্ষের ফল খেয়ে রবীন্দ্রভবন পেরিয়ে যায় বাথরুমে ঢেঁকুর তোলে সারারাত আর মাঝরাতে মশারীর কৌণিক বিন্দুর মাথায় একটা মুন্ডুহীন শরীর দীর্ঘ শ্বাসের হাওয়ায় উড়তে থাকে। Read More
নড়ে ওঠার গল্প কার্সিয়াং থেকে সামান্য দূরেরেলিসন্ দ্যা কাফের ঝুলন্ত চেয়ারে বসেচা খাওয়া থেকে পিছোতে পিছোতেএই এককামরার ফ্ল্যাটের চিলতে রান্না ঘরে ঘুরতে ফিরতে কেঁপে ওঠা শোবার ঘরভোরের স্বপ্ন দিয়ে জুড়েশূন্য থেকে সিকিম পর্যন্ত… তুমি সেই এক যে ছিল রেলিসন্ দ্যা কাফেরঝুলন্ত চেয়ারে একটুতেই নড়ে ওঠার গল্প।—–@—– ভালোবাসার ঘর প্রায় ভুলে গেছি ওর হাঁটা, চলা, ঘোরাফেরামুখের <a class="read-more" href="http://purbanchal.co/robibarersahitto/3905/">Read more</a>Read More
এ জীবন ছন্দময়। সে ছন্দের ভিতর কত রঙের প্রলেপ। বৃষ্টির তুমুল বিকেলে হঠাৎ মনখারাপ। উদাত্ত কণ্ঠে সুবিনয় রায় পরজ রাগে গাইছেন, “গভীর রজনী নামিল হৃদয়ে, আর কোলাহল নাই/ রহি রহি শুধু সুদূর সিন্ধুর ধ্বনি শুনিবারে পাই”।Read More
আর সেই রাতে শ্যামলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।আশেপাশের জগৎকে তখন সে বোধ দিয়ে ভেবে দেখে , সেই বোধ নিতান্ত প্লাস্টিকের মতো একঘেয়ে , ছেয়ে আছে তার সব।তার ঘরের পোষা গাছ - আদুরে জল পেয়েও চুপ।দমবন্ধ করে আছে দেওয়াল।Read More
শুভনাথ “চোখের যতটা মণি তার চেয়ে দীর্ঘ হয়ে দেখোধরো আমি রয়েছি মর্গেছায়ার বাতাসে চোখ ঘষে দেখোকোন পাপ লেগে আছে কি না!” সমীর রায় ‘আকাশে চাঁদট দেখ কেমন ত্যাজ মেরে ফুটেছে। লিসচয় চাঁদটকে কেউ ভালো-মুন্দ খেতে দেয়। পুলাও, মাংস, দই, মিষ্টি কত কিছু ফল-মাকর। তবে চাঁদট যতই ফুলে উঠুক। উর তো আর সংসার নাই। ইকা ইকাই <a class="read-more" href="http://purbanchal.co/robibarersahitto/3866/">Read more</a&Read More
“আঁচলের মিল ঠোঁটে তিল ত্বকরেখা মেরুর আকাশে পেলব কুয়াশা খুঁজে খুঁজে এখনো তিমিরা ফিরে আসে।” - নবারুণ ভট্টাচার্য তিলপাহাড়ির চেনা জল-হাওয়া এখন ঝিনুককে অনেকটা সুস্থ করে তুলেছে। গ্রামের মেটে রঙের দেওয়ালগুলিতে এখন ঝিনুকের আঁকা ছবি দেখা যায়। যাকে শহুরে ভাষায় বলে আদিবাসী দেওয়াল চিত্র। মন ভালো না থাকলে ঝিনুক খড়ি মাটির সাথে বচ ফলের আঠা মিশিয়ে, কিংবা এলে মাটি বা পোড়া খড়ের ছাই আবার কখনো কখনো বাজারি রঙ দিয়ে দেওয়ালগুলিকে ভরিয়ে তোলে। ফাঁকা সময়ে শালপাতা বোনে। নিম কাঠি কিংবা মহুয়া কুড়োতে যায়। বাড়ির টুকটাক কাজ করে। মাঝে মাঝে বাবা মা এর সাথে মাঠের কাজেও যায়। তবে এখানে সে লোকের জমিতে কাজ করতে যায় না। আজ দুবছর ধরে সে নিজেকে নিমমহলি থেকে সরিয়ে রেখেছে। মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্নের মত সেই পৈশাচিক রাতটা তাকে তাড়া করে। তবে মাঝে মাঝে তপনের সাথে সুখের স্মৃতিগুলোও ক্ষততে প্রলেপ বুলিয়ে দিয়ে যায়। তবে এই সময়টা ধরে ঝিনুক একেবারে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এখন সে কোন উৎসবে প্রাণ খুলে যায় না। মেলাতেও যায় না। ভয় হয় তাঁর। যদি নিমমহলির কোন মানুষের সাথে দেখা হয়ে যায়। এমনটা নয় যে নিমমহলি থেকে কোন মানুষ তিলপাহাড়িতে আসে না। অনেকেরই যাওয়া আসা আছে।Read More
কিন্তু আছে অনেক অনেক রক্তপাত বিষ্ঠা আবর্জনা এখনো আমাদের চারিপাশে…” -মায়াকভস্কিRead More
নাবিক আলির রিক্সা শুভনাথ এশিয়া মহাদেশের প্রায় বেশিরভাগ শহর কিংবা শহরতলির মানুষের যাতায়াতের লাইফলাইন বলতে রিক্সার নাম প্রথমেই উঠে আসে। এই রিক্সা বড় রাস্তা থেকে অলিগলি পৌঁছে গিয়ে সচল রাখে আস্ত একটা ট্রাফিক সিস্টেমকে। ভোরের আলো ফোটার আগেই উঠে পড়ে তমাল মিয়াঁ। টর্চের আলো জ্বেলে সুইচ অন করে ইলেকট্রিক আলো জ্বেলে নেয়। বিছানা গুটিয়ে একপাশে রাখে। বাইরে টুলগুলো বের করে দেয়। মুখ হাত ধুয়ে বাইরের টেবিলে গ্লাসগুলো সাজিয়ে নেয়। গ্যাসওভেন ও সিলিন্ডার ঠিক জায়গায় বসায়। রাতে ধুয়ে রাখা সশপ্যানে চা বসায়। অন্য দিকে কাঠের উনুনে চপ-ঘুগনির আলু ও কলাই সেদ্ধ করতে বসিয়ে দেয়। এই হল তার রোজের রুটিন। সূর্য ওঠার আগে থেকে রাত পর্যন্ত যে জায়গাটি তাঁর দোকান রাতের কিছুক্ষণের জন্য সেই দোকানটি হয়ে ওঠে তাঁর ঘর। বিশ্রামের জায়গা। তমালের ঘর আছে তবে সেখানে সে যায় না। স্টেশনে দোকান হওয়ার কারণে ফার্স্ট ট্রেন থেকে লাস্ট ট্রেন পর্যন্ত তাঁর ডিউটি। তমালের দুই ছেলে শহরে কাজ করে। বউ ছেড়ে চলে গেছে অনেক বছর আগে। আর বিয়ে করেনি তমাল। তাই অসুস্থতা ছাড়া তমালের ছুটি নেই। এই মফঃস্বলের স্টেশনে তমালের কাছের মানুষ বলতে একজনই। নাবিক।Read More