নান্দী: 'বাঙালি' যাত্রাপালাটির জন্ম হয়েছিল আজ থেকে পঁচাত্তর বছর আগে 'The Great Calcutta Killing' এবং তার ঠিক পরে ঘটে যাওয়া নোয়াখালির ভয়াবহ দাঙ্গার রেশ মিলিয়ে যাবার আগেইRead More
Category : Uncategorized
ভোর * ভোরের স্নানটা সেরে ফেললাম আজ শিশিরের জলে, ঈষৎ উষ্ণ সে, গায়ে জড়িয়ে নিতেই হেসে ওঠে খিলখিল, যেন আমার শরীর এক ছোট্ট উপত্যকা, গড়িয়ে পড়ছে ঢালু বেয়ে... কুয়াশার মিহিন টাওয়েলে মুছি শরীর, আহা, কি নরম পেলব তার বুনন খানি! যেন ফিরে আসা হারানো মসলিন, কিংবা তোমার হাতের তালু, মাখিয়ে দিচ্ছে অলিভ ওয়েল আমার কৃষ্ণ ত্বকে... টুপ করে ঝরে পড়ে বেশ কয়েকটি সবুজ পাতা আমি পাশেই বয়ে চলা হ্রদের জলে তাদের ভিজিয়ে নিই, হয়ে যায় এক কাপ গ্রীন টি, ফুটে থাকা কলমির কাপে পান করি. .. পরিমিত অক্সিজেন নিয়ে হাওয়া আমাকে ঘিরে ধরে, যেন তারা আমাকে দিয়ে চলেছে গার্ড অফ অনার, আমি হাঁটছি, এক মুকুটহীন রাজা, কুর্নিশ করছে দুধারের দূর্বা, ভুঁই চাঁপা... মৃত্যুর মিছিল * মৃত্যু ব্যতীত আর কোন মিছিল নেই। এপিটাফ কিংবা শোক বার্তা লিখতে লিখতে আমাদের সাদা কাগজগুলি ভরে উঠছে কালো কালো অক্ষরে! ফোন বাজলেই বুঝে ফেলি, আমরা কিছু বলি না, নীরবে পান করে যেতে থাকি শোকের শরবত! আমাদের চোখ অশ্রু নয়, ঝরাতে থাকে বরফের কুচি! আমরা ক্রমে পাথর হয়ে উঠতে শুরু করি, আমাদের সংগীতগুলি কোমল রেখাবে বেজে চলে, আমাদের গন্তব্য আজিমপুর এবং বনানীর দিকে স্থির হয়ে পড়ে, আমাদের কারো হাতে কাঠ কারো হাতে কোদাল, কারো হাতে অগ্নি! শিল্পী * শিল্পীর কি থাকে দিনশেষে? হাহাকার! সবকিছু ফেলে চলে যেতে হয় একদিন, যা কিছু তার সৃজন, মহাকাল তাহাদের করে নেয় আত্মসাৎ ! বিনিময়ে রঙিন একটি চাদর, একটি মেডেল ও একটি মানপত্র গছিয়ে দেয় হাতে! শিল্পী হাসি মুখে সেসব নিয়ে বাড়ি ফেরেন! বাড়িটি তখন হয়তো খাদ্য শূন্য, ক্ষুধা রাশি রাশি! কি করেন একজন শিল্পী? তিনি নির্মাণ করেন সৌন্দর্য, তিনি অজস্র ফুল ফুটান, তিনি পৃথিবী থেকে আদিম বর্বরতাকে বিদেয় করে সেখানে গড়ে তোলেন একে একে সভ্যতার অনুপম ঘর! মানুষ ক্রমে সুন্দর হয়, তারা বাঁচে শিল্পানন্দের আশ্রমে! Read More