• March 26, 2023

Category :

বিদেশ

পৃথিবীর গতি ঠিক কোন দিকে?

রাশিয়ার এই আক্রমণে একদিকে যেমন বহু মানুষ প্রাণ হারান, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি রাশিয়ান শেলের আঘাতে প্রায় গুঁড়িয়ে যাওয়া বীজগুলো ঘরবাড়ি থেকে একথা স্পষ্টতই আন্দাজ করা যায় যে ইউক্রেনের সরকারকে গদিচ্যুত করতে দৃঢ় প্রকল্প ভ্লাদিমির পুতিন।এক আলোচনা সভায় US এর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং NATO এর অন্যান্য সদস্যরা সিদ্ধান্তে আসেন যে পূর্ব ইউরোপে NATO এর অন্তর্ভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলো কে রক্ষা করার জন্য NATO তার নিজস্ব বাহিনী পাঠাবে। যদিও সদস্য দেশগুলোকে ঠিক কতটা সাহায্য করবে তারা, অথবা কি পরিমান বাহিনী পাঠানো হবে তা বিশদে জানায়নি NATO।Read More

বিদেশ

ইউক্রেনে যুদ্ধ আসলে কিসের দ্বন্দ্ব

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার কূটনৈতিক সমাধান সূত্র বার করতে যখন ব্যস্ত নিরাপত্তা পরিষদ তখনই রাশিয়ার সর্বোচ্চ অধিনায়ক ভ্লাদিমির পুতিন সে দেশের সময় অনুযায়ী ভোর ৫.৫৫ মিনিটে (২৪.০২.২২) ঘোষণা করলেন পূর্ব ইউক্রেনের ডানবাসে সামরিক অভিযান চালাবে রুশ বাহিনী, তিনি বলেন এই অভিযান ইউক্রেন দখল করতে নয়, নাৎসিদের কবল থেকে ইউক্রেনকে মুক্ত করতে এই অভিযান। তারপরেই ডানবাস, ক্রিমিয়া ও বেলারুস- এই তিন দিক থেকে ইউক্রেনের আকাশ জুড়ে বোমার রোশনাই ও আওয়াজে সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে ইউক্রেনের জনগণ, অনেকেই পোল্যান্ডে পাড়ি দিতে শুরু করে, অনেকেই মাটির তলায় মেট্রো স্টেশনে আশ্রয় নেয়। এ যেন ঠিক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রেপ্লিকা।Read More

দেশ

হিজাব, আল্লাহু আকবর ও এস. ইরফান হাবিবের খোয়াইশ

এ লেখা সাহিব বর্ণিত ক্রোনোলজি নিয়ে। আমরা ক্রোনোলজি খেলব। সংবাদপত্র, ইংরেজি সংবাদপত্রে কোনও একটা ইস্যু নিয়ে পরপর কয়েকদিন, বা একইদিনে পরপর লেখা প্রকাশিত হলে, তাকে ইংরেজি row বলে চিহ্নিত করা হয়। সাম্প্রতিকতম উদাহরণ, হিজাব। আমরা কিছুদিন হিজাব রো দেখেছি। এখন আনিস রো। ইংরেজি row শব্দের তো নানাবিধ অর্থ। আমরা, এসব শব্দের অর্থ নিজেদের মত করে বুঝেও যাই। হিজাব রো মানে, হিজাব নিয়ে আরও খবর, আনিস রো মানে, আনিস নিয়ে আরও খবর। এই রো গুলি, খেয়াল করলে দেখা যাবে ঘটনাভিত্তিক। দিল্লি ব়্যালি রো, রেড ফোর্ট ফ্ল্যাগ রো, জামিয়া ইসলামিয়া রো, কর্নাটক হিজাব রো। আনিস, এখনও তত রো হয়ে উঠতে পারেননি, মরে যাবার পরেও।     রো-গুলি সাধারণত, জেনেরিক কোনও বিষয় নিয়ে হয় না। রাজস্থান দলিত টর্চার রো হতে পারে, কিন্তু দলিত অপ্রেসন রো হয় না। দেগঙ্গা রায়ট রো হতে পারে, কিন্তু মুসলিম কিলিং রো হয় না। কর্নাটক হিজাব রো হতে পারে, কিন্তু কমিউনাল ফিলিংস অ্যামং লমেকার্স  রো হয় না।     এরকম যে হয় না, তার কারণ এরকম হবার নিয়ম নেই। কেন নিয়ম নেই, তা সাধারণত অচর্চিতই থেকে যায় ও যাবে, কারণ তেমন কোনও রো বানাতে গেলে তো ভারতের সংবিধান, ভারতের রাষ্ট্রচরিত্র, বিস্ফোরণে চার্জশিট প্রাপ্ত সংসদ সদস্যের জেলের বাইরে থাকা কিন্তু কেরালার সাংবাদিকের জেলে পচার মত বিষয়গুলি সবই কোনও কোনও না রোয়ের মধ্যে চলে আসবে। অত জেনেরিক রো বানাতে গেলে ভারত ও ভারতীয়ত্বের ধারণা, চলমান ধারণা, বড় বেশি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। তত আঘাত, সইবে না, কাহারও। Read More

দেশ

ওড়িশ্যা ঢিনকিয়াতে  JSW প্রকল্পের বিরোধী প্রতিবাদী মানুষ এবং মানবাধিকার কর্মীদের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন- একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট(১৮.১২.২০২১)

পস্কো ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড জগৎসিংপুর থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছিলো ২০১৭ সালের মার্চ মাসে। জগৎসিংপুর একটি উপকূলবর্তী জেলা যা কয়লা ও লৌহ আকরিকে সমৃদ্ধ।এই পশ্চাদপসারণের পেছনে দায়ী গ্রামবাসীদের ১২ বছরের সংঘবদ্ধ আন্দোলন।এই প্রকল্পের সাথে জড়িত ছিলো ৫০,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ।বনবিভাগ এই প্রকল্পটিকে ২০১১ এর মে মাসে ছাড়পত্র দিয়েছিলো যাতে ১,২৫৩.২২৫ হেক্টর জমির চরিত্র বদলে ফেলে একটা পূর্ণাঙ্গ স্টীল প্ল্যান্ট গড়ে তোলা যায়।বন অধিকার আইন ২০০৬ এর অন্তর্গত বন অধিকার সংক্রান্ত পুনর্বাসনের বিষয়গুলি নিয়ে এটি তীব্র প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিল। পস্কো বিদায় নেওয়ার পর জুন ২০১৭ তে উড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বাধীন হাই- লেভেল- ক্লিয়ারেন্স অথরিটি জমিটি JSW উৎকল স্টীল লিমিটেডকে(JUCL) দিয়ে দেয়।JUCL হলো জিন্দাল স্টীল ওয়ার্কস(JSW) এর অধীন একটি কোম্পানি।তারা চাইছিলো ১৩.২ মিলিয়ন টন পার অ্যানাম(MPTA) উৎপাদন ক্ষমতা বিশিষ্ট একটি সুসংহত স্টীল প্ল্যান্ট বানাতে।যেখানে থাকবে ৭০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা বিশিষ্ট একটি ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং ১০ MPTA ক্ষমতা বিশিষ্ট একটি সিমেন্ট গ্রিন্ডিং মিক্সিং ইউনিট। রাইট টু ফেয়ার কম্পেনসেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি ইন ল্যান্ড অ্যাকুইজিশন রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসেটেলমেন্ট অ্যাক্ট(LARR), ২০১৩ অনুযায়ী ২৭০০ একর জমি যা পস্কোর জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাসট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন(IDCO) জোর করে অধিগ্রহণ করেছিল তা এলাকার অধিবাসীদের অবশ্যই ফিরিয়ে দিতে হবে।যদিও ওড়িশা সরকার ২০১৫ সালে কিছু নীতি সংশোধনের মাধ্যমে যা LARR এর বিপরীত স্থির করেছিল যে এই ধরণের জমি রাজ্য সরকার 'ল্যান্ড ব্যাংকে' রাখতে পারে।অন্য রাজ্য সরকারগুলোও একই পন্থা অবলম্বন করেছিলো। প্রায় ২ বছর পরে মিনিস্ট্রি অফ এনভায়রনমেন্ট, ফরেস্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জের অধীন ফরেস্ট অ্যাডভাইসারী কমিটি এই সংক্রান্ত ছাড়পত্র প্রদান করেছিলো।পূর্বে স্থায়ীকৃত ১২৫৩.২২৫ হেক্টরের বদলে এবার এলাকা কমে দাঁড়িয়ে ছিলো ১০৩৩.৬৯১ হেক্টর। Read More

দেশ

রাজনৈতিক দলগুলোতে মুসলিম নেতাদের প্রকৃত দশা

আগে যখন হুগলি শিল্পাঞ্চলের চটকলগুলোতে শ্রমিক আন্দোলন হত, সেগুলোতে তখন প্রায়ই দেখা যেত একজন শ্রমিক নেতা তাঁর নেতৃত্বগুনে সবাইকে এক ছাতার তলায় এনে মালিকপক্ষের সামনে দাবীদাওয়া পেশ করছে, জনপ্রিয় হচ্ছে। অনলবর্ষি বক্তব্য দিয়ে সবার মন জয় করছে। পরে একদিন উপরমহল নমনীয় হওয়াই মালিকদের সঙ্গে বসার কথা হল, গেটের বাইরে শ্রমিকদের রেখে সে তাঁদের প্রতিনিধি হয়ে ঝাঁ চকচকে অফিসটার বাতানুকূল ঘরে কথা বলতে ঢুকল। এদিকে গেটের ওপারে শ্রমিকদের মনে উৎকন্ঠা মিশ্রিত আশা ভরসার অবস্থা। ফিরে এসে শ্রমিক নেতা জানাল যে, মালিকপক্ষকে তাঁরা যতটা খারাপ ভাবত, আদতে ততটা না। মালিকেরা শ্রমিকদের যে দাবিটা মেনেছে সেটা জানিয়েই সঙ্গে আরও হাজারটা শর্ত যে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দিয়েছে এবং সেটা মানা যে উচিৎ--সেটাও জানিয়ে দিত। কারও আর বুঝতে বাকি রইল না কালকের আগুনঝরানো শ্রমিক নেতা নিজেকে বিক্রি করে এসে এখন মালিকপক্ষের প্রতিনিধি হয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে আপোষরফা করতে এসেছে। এসব দৃশ্য সিনেমাতেও অনেক দেখে থাকবেন। বাংলার মুসলমানদের দশা ঠিক এরকমই । যে নেতাটা কাল সংখ্যালঘুরা বঞ্চিত বঞ্চিত করে মুখ দিয়ে ফেনা তুলে, বড় বড় রাজনৈতিক দলেরই ব্রাহ্মণ্যবাদী চক্রান্তের পর্দা ফাঁস করে, পিছিয়ে পড়া জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়-- সেই নেতাই পরদিন তার সামনের জনসমাগমকে পুঁজি করে ওইসব বামুন দলগুলোর নিপীড়কদের একটু পায়ের ধুলো, একটা ভোটের টিকিট, একটা লালবাতির গাড়ি, মন্ত্রিসভায় একটি নাম কা ওয়াস্তে পদ পেলেই কেমন ঘুরে যায়। গ্রামের যে মুসলিম ছেলেটা একটু সাহিত্য পড়ে, লিখতে পারে, সে জুতোর শুকতলা ক্ষয় হওয়ার পর একদিন কলকাতার বড় পত্রপত্রিকায় তার একটা লেখা বেরোলই তখন লেখার গুনগত মান উন্নয়নের জন্য আরও পড়াশোনা করার বদলে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠর মানদন্ডে নিজের ধর্মনিরপেক্ষতার প্রমানে -- তার সম্প্রদায় কত ধর্মান্ধ আর সে কতটা প্রগতিশীল এইসব গালগল্প দিয়ে শর্টকাটে জনপ্রিয় হতে। ফুটেজ পায়ও, বাম-ডানের কাছ থেকে অল্টারনেট করে পিঠ চাপড়ানি । মনের রোগ বাড়তেই থাকে। লেখার মান পড়তে থাকলেও সংখ্যালঘুর প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠর পুষে রাখা বিদ্বেষগুলোকে নিয়ত কনফার্মেশন দেয়ার ফলে সার্কিটে টিকে থাকে। লেখকের মত নেতাটাও টিকে থাকে কোটা আর টোকেনের ফলে। তার সেই মুসলিম পরিচয় পার্টিগুলোর নির্বাচনের সময় সম্পদ। যে নেতার সেই মুসলিমত্ব দলগুলো মনে করে সংখ্যলঘুরা তেমন খাচ্ছে না , তাকে একবার রাজ্যসভা বা রাজ্য সরকারের কোনও অখ্যাত সংস্থায় চেয়ারম্যান-প্রেসিডেন্ট করে সাইডলাইন করে দেয়া হয় ! অনুগত ভৃত্য সেটা পেয়েই খুশি--লাল বাতির গাড়িটা তো সঙ্গে থাকবে কিছু বছর ! তারাই আবার মুসলিমদের সামনে এলে নানা বক্তব্যে, টুইটার-ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে, পলিটিক্যাল নসবনামা টেনে প্রমান দেয়ার চেষ্টা করবে সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সে কতটা আপন। অথচ কাজের সময় এলে লবডঙ্কা। এদের যত হুংকার জেলায়---মুসলিমদের সামনেই । কলকাতা এলেই , দলের অভ্যন্তরে সব ভেজা বেড়াল। দলও জানে এরা তাদের না, তারাও জানে দলটা আমাদের না। একে অপরের স্বার্থ পূরণে একটা ফ্রেন্ডশিপ উইথ বেনিফিটস টাইপ সাময়িক হাত না ছুঁয়েই হাত মেলানো ! এইসব আজকের গল্প না, যে দলই বাংলায় ক্ষমতায় থাক পশ্চিম বাংলার মুসলিম সমাজে এইসব সবদিনেরই গল্প। এই গল্প সিনেমায় দেখেননি হয়তো, কিন্তু আমরা রোজ দেখি। করবেন নাকি এগুলো নিয়ে একটা সিনেমা ? পার্টিতে যতই নগণ্য হোক-- এদের গল্পের সঙ্গে কিন্ত 'নায়ক'-এ উত্তমকুমারের 'অরিন্দম' চরিত্রের মিল আছে ! রোজ এখানে একটা করে অরিন্দম জন্মাচ্ছে,মারা যাচ্ছে, আবার একটা উঠতি যুবক অরিন্দম হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। যে কিছুটা নায়ক হয়ে গেছে বড় নায়কদের আলোয় আলোকিত হয়ে, সে কিন্তু স্বল্পখ্যাতির আড়ালে তার মনের মধ্যে থাকা একাকিত্বের গল্প শুনাবে এমন কোনও অদিতির (শর্মিলা ঠাকুর) মত সাংবাদিক খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ কাগজের অফিসগুলোর তো চায় সন্ত্রাস,বোম, আল কায়দা,খুন এইসব গরম গরম টপিক। নইলে খামোখা গেঁয়ো মোসলমানের মনের খবর তারা ছাপবে কেন ? পাবলিক খাবেও না । আর কেউ তা ছাপলেই নেতাটির লালবাতির গাড়ি পরদিন ভ্যানিশ ! তোমার মন নেই কুসুমুদ্দিন, আছে গোলামী -- মানসিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সব! শাহনওয়াজ আলী রায়হান : গবেষক ও প্রাবন্ধিক।Read More

বিদেশ

জাতীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে “নেতাজি গবেষণা পর্ষদ, বাংলাদেশ”

২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের আজকের দিনে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার দাবীতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে সালাম, রফিক, বরকত, শফিক ও জব্বার সহ নামজানা আরও অনেকে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়ে গিয়েছেন। আমরাই পৃথিবীর একমাত্র জাতি যারা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছি। বাংলা ভাষার মর্যাদাকে অক্ষুণ্ণ রাখা আমাদের সকলের কর্তব্য।Read More

পশ্চিমবঙ্গ

আনিস খানের হত্যার প্রতিবাদ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মিছিল

পূর্বাঞ্চল নিউজ ডেস্ক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও বিভিন্ন গণ আন্দোলনের নেতা আনিস খান কে রাজনৈতীক প্রতিহিংসায় শহীদ করা হয়েছে,এমনটাই দাবি আলিয়া ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের ।প্রাথমিক সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, পুলিশের পোশাক পরে রাতে আনিসের বাড়িতে ঢুকে বাড়ির ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে খুন করা হয় আলিয়ার ছাত্র আনিসকে।পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মরদেহ নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। আনিস খানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল করে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে পদ্মপুকুর হয়ে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ঘুরে আবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ হয়। মাঝখানে পুলিশ ব্যারিকেড করে ছাত্রদের আটকানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ব্যাপক ছাত্র-ছাত্রীদের জমায়েত সেই ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল কলকাতার রাজপথ কাঁপিয়ে আনিসের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবি জানায়। এছাড়াও শনিবার রাতে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের ছেলে-মেয়েরা পার্কসার্কাস সেভেন পয়েন্ট ব্লক করে।Read More

বিদেশ

আদিবাসী আক্রোশ

১৯৯৫ সালে পশ্চিম মিচোয়াকান রাজ্যের রাজধানী, মোরেলিয়াতে মূর্তিগুলি স্থাপন করার পর থেকে পুরেপেচারা মূর্তিগুলির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে আসছে এবং বারবার তাদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।মিচোয়াকানের সর্বোচ্চ আদিবাসী কাউন্সিল বলেছে যে, মূর্তিগুলি তাদের পূর্বপুরুষদের নৃশংস শোষণকে মহিমান্বিত করেছে।Read More

পশ্চিমবঙ্গ

একজন শিল্পীর মৃত্যু

একজন শিল্পীর মৃত্যু সুমন ভট্টাচার্য এক সরলরেখায় দাঁড়িয়ে,অর্থাৎ ১৮০ ডিগ্রি থেকে যে তিন কাঠিতে বল রাখা যায়, গোল করা যায় সেটা সুরজিত সেনগুপ্ত প্রথম আমাদের জানিয়েছিলেন| গত শতকের ৭ এর দশকে শিল্ড সেমিফাইনালে দক্ষিণ কোরিয়ার দলের বিরুদ্ধে লাল হলুদ জার্সি গায়ে সুরজিত সেনগুপ্তের ওই গোলটা আজও আমার চোখে লেগে আছে| জেনে গিয়েছিলাম কোনও শিল্পী ফুটবলার হলে বল পায়ে ওইরকম সোয়ার্ভ করাতে পারেন| গোলকিপার এবং স্ট্রাইকার একই সরলরেখার উপর দাঁড়িয়ে, এই অবস্থায় বল গোলকিপারকে টপকে জালে জড়িয়ে দিতে গেলে পায়ে যে সোয়ার্ভ করানোর দক্ষতা থাকতে হয়, যে অসম্ভব ক্ষমতা, সুরজিত সেনগুপ্তের সেটা ছিল| মনে রাখবেন কলকাতা ময়দানে, শিল্ড সেমিফাইনালে একটি বিদেশি দলের বিরুদ্ধে সুরজিত সেনগুপ্তের করা ওই অসাধারণ গোলের অনেক দিন পরে ইউরোপীয় কাপে ডাচ তারকা মার্কো ভন বাস্তেন প্রায় কাছাকাছি ধরনের একটি গোল করে গিয়েছিলেন যা আজও আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বকালের সেরা গোলের তালিকায় ঢুকে আছে| আমরা আজও ইউটিউবে বা ভিডিওতে বাস্তেনের ওই গোলটি দেখি| কিন্তু সুরজিত সেনগুপ্তের ওই গোলটির কোনও ভিডিও অনেক খুঁজেও পাওয়া যায় না| পেলে হয়তো বাঙালির মনে থাকত, আজকের প্রজন্ম জানতো সুরজিত সেনগুপ্ত আসলে কতটা শিল্পী ফুটবলার ছিলেন| শিল্পী ফুটবলার| এই শব্দবন্ধটাই বোধহয় আজকে প্রয়াত ফুটবলার সম্পর্কে যথার্থ বিশেষণ| গত শতকের সেই ৭ কিংবা ৮ এর দশকে যখন আমরা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চিনি না, কেবল টিভির দৌলতে গোটা দুনিয়ার ফুটবল একেবারে আমাদের রান্নাঘরে মা কাকিমাদের কাছে পর্যন্ত পৌছে যায়নি,তখন বাংলায় ছাপা কিছু খেলার পত্রিকাই আমাদের কাছে ফেসবুকে পরমা সুন্দরীর ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এর মতো ছিল| আজ যেমন অন্যের টাইমলাইনে গিয়ে ছবি দেখতে অনেকে বুঁদ থাকেন, গত শতকের ওই দশকগুলোতে আমার মতো অনেক কিশোরই খেলার পত্রিকার ছবিতে মগ্ন থাকত| সেই ফেলে আসা সময়ের দুই অবিস্মরণীয় তারকা সুরজিত সেনগুপ্ত আর মজিদ বাসকর| একটি খেলার পত্রিকায় একজন খ্যাতকীর্তি ক্রীড়া সাংবাদিক লিখেওছিলেন, আসলে গোটা মাঠটা ছিল সুরজিতের কাছে ক্যানভাস| নিজের অসামান্য ড্রিবলের দক্ষতা দিয়ে, বিপক্ষের ডিফেন্স চেরা থ্রু দিয়ে সুরজিত সেনগুপ্ত সেই মাঠে, সেই ক্যানভাসে ছবি আঁকতেন| অনেক পরে যখন নেহরু কাপ, দূরদর্শনে বিশ্বকাপের সম্প্রচার কিংবা মাঝে মধ্যে লাইটহাউস বা নিউ এম্পায়ারে জায়ান্টস অফ ব্রাজিল দেখে যখন আন্তর্জাতিক ফুটবলের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হচ্ছে, যখন জর্জ বেস্ট এর সেই অবিস্মরণীয় ড্রিবল বা লাতিন আমেরিকার ফ্রান্সিসকোলিকে দেখছি, বিশ্ব ফুটবলের শিল্পসুষমাকে চিনছি, তখন চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হতো, আমাদেরও একজন সুরজিত সেনগুপ্ত ছিল| মনে রাখবেন সুরজিত সেনগুপ্ত সেই বিরল বাঙালি হিন্দু ফুটবলার, যিনি মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের মতো মহমেডানেও চুটিয়ে খেলেছেন| সেই জন্যই সুরজিত সেনগুপ্ত বাঙালি আইকন| এমন আইকন যিনি কোনও সংবাদপত্রগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ হতে পারেন, কোনও পত্রিকাগোষ্ঠীর ক্রীড়া পত্রিকার সম্পাদকও হতে পারেন, কিন্তু এই সবকিছুকে ছাড়িয়ে বাঙালির অহঙ্কার| আজ আসলে সুরজিত সেনগুপ্ত মারা গেলেন না, পুড়ে ছাই হয়ে যাবে বাঙালিয়ানার সেই অহঙ্কার। সুমন ভট্টাচার্য ঃ প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক।Read More