পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর ও ফুলিয়া অঞ্চল তাদের তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত।তাঁতে বোনা সূক্ষ্ম কাজের আরামদায়ক শাড়ি কলকাতা ও অন্যান্য বড়ো শহরের দোকানে বেশি দামে বিক্রি হলেও অঞ্চলের তাঁত শিল্পীদের অবস্থা ক্রমশ নিম্নগামী।অপ্রতুল সরকারি সাহায্য, গতানুগতিক উৎপাদন ব্যবস্থা, নূন্যতম মজুরি ইত্যাদির পাশাপাশি বিগত তিন বছরের করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতি তাঁতিদের দুরাবস্থা আরো বাড়িয়ে তুলেছে।এই সার্ভেটি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে করা হয়েছিল।শান্তিপুর এলাকার আটটি বাড়ি থেকে তাঁতিদের অবস্থা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।প্রতিটি বাড়িরই অন্তত একজন প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য, তাঁত শিল্পের কোনো না কোনো অংশের সাথে যুক্ত রয়েছেন।Read More
Category :
পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারত। আর কিছু দিনের মধ্যেই হয়ত চীন কে পিছনে ফেলে ভারত সামনের সারিতে চলে আসবে। আর ভারতের এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির পিছনে অনেকেই মুসলমান সমাজ কে সরাসরি দ্বায়ী করেন। তাদের যুক্তি হল যেহেতু এদের ধর্মীয় কারনে জন্মনিয়ন্ত্রনের নানা বিধি নিষেধ আছে, সেই কারণে “এদের এক এক জন ‘আল্লার নামে’ মুরগীর বাচ্চার মতই ডজন ডজন বাচ্চা পায়দা করে”। এমন ও কথা শোনা যায়, এই একই কারণে আর কিছু দিনের মধ্যেই ভারত নাকি মুসলিম রাষ্ট্রে পরিণত হবে। হিন্দুদের আর অস্থীত্বই খুঁজে পাওয়া যাবে না। ভারতে যত সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা ও ধর্মীয় বিদ্বেষের ঘটনা ঘটে, তার মধ্যে মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই প্রচারটাই এক গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে দেখা দেয়। কিন্তু প্রকৃত সত্য কি এটাই, না অন্য কিছু? হাঁ, ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জাতীয় গড়ের থেকে ডজন ও নয় আবার ডবল ও নয়, মাত্র ০.২০% বেশি। তথ্যটা পড়ে অনেকে অবাক হয়ে যাচ্ছেন ত। হাঁ আমিও আপনাদের মতই প্রথমে অবাক হয়েছিলাম। জনগণের মধ্যে প্রচার আর প্রকৃত সত্যের মধ্যে এই ফারাক দেখে। সমস্ত মৌলবাদী শক্তি হিটলারের মত ফ্যাসিবাদী শক্তির গোয়েলবসীয় প্রচার কে হাতিয়ার করে, ময়দানে তারা মানুষ ক্ষেপাতে থাকে। “মিথ্যা বল, বারে বারে বল, জোর গলায় বল, মিথ্যা সত্যে পরিণত হবে”। গোয়েলবসের এই নীতিকে ভিত্তি করেই, ভারতের মৌলবাদী শক্তিও মুসলিম সমাজের ব্যাপক জনসংখ্যা বৃদ্ধির মিথ্যা প্রচারের যে স্রোত, তা তারা তৈরী করতে পেরেছে। এখন আমরা দেখে নেব এই জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের রিপোর্ট কি বলছে। ভারত সরকারের (NFHS-5)-National Family Health Survey 2019-2021Read More
হুমায়ূন আহমেদ: যার কলমে হেসে উঠতো গদ্য ড. শিবলী চৌধুরী আজ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। কেনো যেনো তাঁকে নিয়ে দুটো কথা লিখতে ইচ্ছে হলো এখানে! কারণ হয়তো এর সাথে আমাদের নব্বুইয়ের দশকের কিছু স্মৃতি জড়িয়ে আছে। আমি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কিংবা দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ভারতীয় লেখকদের উপন্যাস পড়তাম। সমরেশ মজুমদারের বই-ই বেশি পড়েছিলাম মনে পড়ে। সুনীল, শীর্ষেন্দু, বুদ্ধদেব গুহ, বুদ্ধদেব বসুও বাদ যায়নি। আর মনে পড়ে স্টেশন প্রিন্ট নামে কিছু বই খুবই কম দামে পাওয়া যেত রেলওয়ে স্টেশনের বুকস্টলগুলোতে, এই দশ থেকে তিরিশ টাকার মধ্যে। মনে উঁকি দিচ্ছে বিমল মিত্রের 'সাহেব বিবি গোলাম', বঙ্কিমচন্দ্রের 'দুর্গেশনন্দিনী' বা 'কপালকুণ্ডলা', আর শরৎ চন্দ্রের (কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবো) বইগুলো নামমাত্র মূল্যে কিনে পড়তাম। সোনালী সেই সময়ে পড়া আরও দুটি বইয়ের কথা মনে পড়লো। ভারতীয় লেখিকা মৈত্রেয়ী দেবীর 'ন হন্যতে' বইটা পড়েছিলাম একাদশ কিংবা দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময়। লেখিকার fiancee বিদেশি ইঞ্জিনিয়ার মির্চা এলিয়াদের লেখা 'লা নুই বেঙলি' বইRead More
শ্রীলঙ্কা ধ্বংসের কারণ কি লুকিয়ে আছে বিশ্ব-মন্দার মধ্যে? তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য ব্রিটিশরা এই দেশটিকে বলতেন "জুয়েল অফ ক্রাউন"। মাত্র ২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা বৈদেশিক ঋণের বোঝায় হিমসিম খাচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া, প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দে রাজাপক্ষে। পারিবারিক শাসন শ্রীলঙ্কায়। গতকাল দুজনেই দেশ ছেড়ে ভাগলবা। আগামী ২০ শে জুলাই নির্বাচনের মাধ্যে শাসক দলের বিক্রম সিংঘে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতে চলেছেন। জনগণ এই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। বিভিন্ন কারণের ফল হিসেবে বিশ্বজোড়া মহামন্দাকে তো ধরাই যায়। তাছাড়া অভ্যন্তরীন কিছু কারণ তো আছেই শ্রীলঙ্কার এই দুরাবস্থার পিছনে। যেমনঃ- Read More
উত্তরপূর্ব ভারত সহ বিশ্বের এক বড় অংশ ভয়াবহ বন্যা, প্লাবন ও ধ্বসে বিপর্যস্ত। নীরব ও নিশ্চুপ থাকা এখন অপরাধ
উত্তরপূর্ব ভারত সহ বিশ্বের এক বড় অংশ ভয়াবহ বন্যা, প্লাবন ও ধ্বসে বিপর্যস্ত। নীরব ও নিশ্চুপ থাকা এখন অপরাধ। সন্তোষ সেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই প্রকৃতির রুদ্ররুপ প্রত্যক্ষ করছেন বিশ্বের নানান প্রদেশের মানুষজন, বর্তমানে যা এক ভয়াবহ রূপে হাজির হয়েছে বিশ্ববাসীর সামনে। আসলে মুষ্টিমেয় মানুষের অতি লোভ, ফুলে ফেঁপে ওঠা পুঁজির নতুন নতুন বিনিয়োগ ও আরো আরো মুনাফার অন্ধগতির কারণে প্রকৃতি পরিবেশ লুঠ হচ্ছে প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে। কর্পোরেটের স্বার্থে আর কিছু মানুষের তথাকথিত সুবিধের অজুহাতে অপরিকল্পিত ও অবৈজ্ঞানিক উন্নয়নের রথের চাকায় পিষ্ঠ হচ্ছে জল জঙ্গল জমি নদী পাহাড় –সব, সবকিছুই। হেক্টরের পর হেক্টর বনভূমি ধ্বংস করে ধরিত্রীর বুক ফাটিয়ে তুলে আনা হচ্ছে কয়লা, লোহা, বক্সাইট। কয়লা ও পেট্রোলিয়ামের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি বিপুল পরিমাণে ব্যবহারের কারণে পৃথিবীর জ্বর বাড়ছে, দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। গত ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মানুষের পরিবেশবিরোধী নানা রকম ক্রিয়াকলাপের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, ক্লোরোফ্লুরো কার্বন, মিথেন, ওজোন, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোর উপস্থিতি বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে বায়ুমণ্ডলের নিচের স্তরের উষ্ণতা বেড়ে গিয়ে তা প্রভাবিত করছে পৃথিবীর জলবায়ুকে। Read More
<!-- wp:paragraph --> <p>মুখ-ফেরতা হতে হতে কারও কারও ডাকনামটাই আসল নাম হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ‘প্রবোধকুমার’ নামটা কে আর মনে রাখে? পাঠক যাঁকে চেনেন, তিনি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রকমই ঘটে বাদল সরকারের বেলাতেও। এই প্রবলপ্রতাপ নাট্যব্যক্তিত্ত্ব যে আসলে সুধীন্দ্রনাথ সরকার তা আর কার মনে আছে? কিন্তু সেই নামের গেরোতেই ষাটোর্ধ্ব বাদলবাবুর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের এম. এ. ক্লাসে ভর্তি হওয়া প্রায় আটকে যাচ্ছিল!</p> <!-- /wp:paragraph --> <!Read More
“এখন আবার আগুন চাইছে…তুমি কি জাতপাত, নিয়ম রীতি সব ভুলে গেছো নাকি? চামার, ধোপা যে যখন পারছে নিজের বাড়ি মনে
"এখন আবার আগুন চাইছে...তুমি কি জাতপাত, নিয়ম রীতি সব ভুলে গেছো নাকি? চামার, ধোপা যে যখন পারছে নিজের বাড়ি মনে করে চলে আসছে। আর তুমিই বা কি ভেবেছো? এটা ধর্মশালা না হিন্দু বাড়ি? ওকে বলো এখান থেকে চলে যেতে, নয়তো মুখে নুড়ো জ্বেলে দেবো।" সাত্যকি দাসগুপ্ত ও অন্বেষা মুখার্জীর লেখা অনুবাদ করেছেন শ্রেয়া চক্রবর্তী ব্রাহ্মণ পুরোহিতের স্ত্রী তার স্বামীকে ঠিক এই ভাবেই ভর্ৎসনা করেন যখন দুখী নামের এক দলীয় মজদুর তার কাছে ছিলিম জ্বালানোর আগুন চায়। ওমপুরি অভিনীত সদগতি (১৯৮১) সিনেমার একটি দৃশ্য। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্র দুখী এক ব্রাহ্মণ পুরোহিতের কাছে গেছে তার মেয়ের বিয়ের তারিখ ঠিক করতে। ফলত, Cust hierarchy এর Read More
প্ল্যাটফর্ম ক্যাপিটালিজম ও গিগ অর্থনীতি। তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য গিগ ইকোনমি বোঝার আগে, গিগ ওয়ার্ককে বুঝতে হবে। সবাই জানি যে প্রায় প্রতিটি ব্যবসার জন্য কিছু স্থায়ী এবং কিছু অস্থায়ী কর্মী প্রয়োজন। অর্থাৎ ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্থায়ী কর্মচারীদের মাসিক বেতন দেওয়া হয়। যেখানে অস্থায়ী কর্মচারীদের একটি নির্দিষ্ট কাজ বা প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য নিয়োগ করা হয় এবং প্রকল্পটি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে তাদের কাজ থেকে ছুটি দেওয়া হয়। সহজ কথায়, এই ধরনের কর্মচারীদের যারা একটি নির্দিষ্ট প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য নিয়োগ করা হয় তাদের গিগ ওয়ার্কার বলা হয়। অতএব, গিগ ইকোনমি সম্পর্কে বলতে গেলে, এটি একটি মুক্ত বাজার ব্যবস্থা যেখানে অস্থায়ী পদে কর্মচারী নিয়োগ করা হয় এবং কোম্পানিগুলি একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য স্বল্পমেয়াদী ভিত্তিতে কর্মচারী নিয়োগ করে। Read More
' সমকালীন ভাবনায় পরিবেশ সমাজ বিজ্ঞান ' লেখক: সন্তোষ সেন – বিজ্ঞান শিক্ষক, বিজ্ঞান ও পরিবেশ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক। বিশেষজ্ঞ নয়, সাধারণ পাঠকের উপযোগী বিজ্ঞান লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন খুব কম লেখকই। বিশেষত তা যদি আঞ্চলিক ভাষায় হয়। সেটা সম্ভবত এই কারণে যে এই জাতীয় লেখার পাঠক কম। বিজ্ঞান শুনলে পাঠকরা কিছু সমীকরণ আর লেখচিত্র ভাবেন, কিংবা ভাবেন একগাদা অচেনা শব্দের সমাহার, যার অর্থ দুর্ভেদ্য। বিজ্ঞান ভাবনার বীজ এদেশে সাহিত্যের মাটিতে সহজে শেকড় চালান করে দিতে পারে না। একটা পুরোনো সমাজে বহু প্রাচীন, কালের বিচারে অপ্রয়োজনীয় এমন স্তরে-স্তরে জমা ভাবনাগুলো শক্ত হয়ে চিন্তার এই পাথুরে জমি তৈরি করে। সেখানে জল- হাওয়ায় উপস্থিতি নেহাতই কম। বিজ্ঞানের বীজ অঙ্কুরোদগমে এই জমি প্রধান বাধা। Read More
মানভূমের বিবাহ গীতি তপন পাত্র আমাদের সামাজিক জীবনে বিবাহ একটি অপরিমেয় গুরুত্বপূর্ণ মানবিক অনুষ্ঠান । নাগরিক জীবনযাত্রায় বিবাহ অনুষ্ঠান ব্যক্তিবিশেষ , পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন-কুটুম্বাদির মধ্যে সীমাবদ্ধ । কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম সীমান্ত বাংলা তথা মানভূম- পুরুলিয়ার লৌকিক জীবনযাত্রায় এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট সমাজের ভূমিকা বিশেষ মর্যাদার সঙ্গেই স্বীকৃত । এই অংশের তপশিলি জাতি , উপজাতি সহ লোকায়ত জীবনে বিবাহ অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণের দরকার হয় না , প্রয়োজন হয় না যাগ-যজ্ঞাদি ক্রিয়াকর্মের । বিবাহ উপলক্ষে এক ধরনের গীতির ভূমিকা অবিচ্ছেদ্য , যা মূলত সমবেত নারীদের কন্ঠে গেয় । এই যৌথ সংগীতের এমন এক বিশেষ লৌকিক রূপ আছে যে কারণে তা খাঁটি লোকসঙ্গীতের অভিধায় অভিধিতRead More