গিগ ইকোনমি হল ইন্টারনেট এবং অ্যাপের উপর নির্ভরশীল একটা মুক্ত এবং বিশ্বব্যাপী বাজার ব্যবস্থা, যেখানে কর্মসংস্থান সাময়িক এবং মজুরি নামমাত্র। প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্পমেয়াদী চুক্তির মাধ্যমে তাদের ইচ্ছামতো কর্মীদের দক্ষতা অনুযায়ী একটা ভদ্রস্থ মাইনের অনেক নিচে কাজে নিয়োগ করে এবং কর্মীদের কাজের পরিমান এবং উপভোক্তার দেওয়া মূল্যায়নের (রেটিংস) ওপর পারিশ্রমিক প্রদান করে। বলাই বাহুল্য যে, চাকরি শেষে কোম্পানির আর কোন দায় দায়িত্ব নেই। Read More
Category :
চিরঘুমের দেশে নাসিম এ আলম(১৯৬৬ -২০২২) এম রুহুল আমিন জীবন ও সৃষ্টি নব্বইয়ের দশকে পশ্চিমবঙ্গে শক্তিশালী উদীয়মান কবি হিসাবে যে কয়েকজন উঠে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে নাসিম এ আলম প্রথম সারিতেই থাকবেন। দেশ পত্রিকায় তাঁর কবিতা নিয়মিত ছাপা হয়েছে। তাঁর আর একটি পরিচয় তিনি বিশিষ্ট সাহিত্যিক, স্বদেশী আন্দোলনের সমর্থক,পশ্চিমবঙ্গ মুসলিম অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও কাজী নজরুল ইসলামের স্নেহধন্য এম আব্দুর রহমানের নাতি(মেয়ে ফাতেমা খাতুনের পুত্র )। তRead More
করুনাময়ীতে টেট উত্তীর্ণ হবু শিক্ষকদের আন্দোলনে তৃণমূল সরকারের পুলিশ যে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ঘৃণ্য নমুনা হাজির করেছে তার বিরুদ্ধে গোটা রাজ্য আজ প্রতিবাদমুখর।সেই প্রতিবাদে গলা মিলিয়ে আজ আসানসোল - রানীগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন গণসংগঠন বিএনআর মোড়ে প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে।বক্তব্য রাখেন এআইসিসিটিইউ এর প্রদীপ ব্যানার্জী,সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, ইফটু( সর্বহারা) কানাই বার্নওয়াল,অল ওয়েস্ট বেঙ্গল সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ ইউনিয়নের পার্থ ঘোষ,সংখ্যালঘু- আদিবাসী -দলিত মঞ্চের স্বপন দাস,আসানসোল সিভিল রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সুমন কল্যাণ মৌলিক, স্বাতী ঘোষ, স্বদেশ চ্যাটার্জী, সুরিন্দার কুমার,সমর ভট্টাচার্য প্রমুখ।সভায় বক্তারা মমতা সরকারের স্বৈরাচারী আচরনের তীব্র নিন্দা করেন ও দুর্নীতি মুক্ত শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান।Read More
ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে ঝিমুনি ধরেছে। আর কয়েকজনের পরেই তাঁর লাইন। খিদেও পেয়েছে। খিদে চেপে রেখেও ঘণ্টা খানেকের উপরে দাঁড়িয়ে আছে গোপী। সেই সকালে চাঁদমণি থেকে বেড়িয়ে আট কিলোমিটারের বেশি পায়ে হেঁটে বাজারে আসা।Read More
মনে পড়ে 'হীরক রাজার দেশে' -র সেই বিখ্যাত সংলাপ? "লেখা-পড়া করে যে, অনাহারে মরে সে" কিংবা, "যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা ভগবান"? পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান শাসক দলের অবস্থা যেন তারই প্রতিধ্বনি। গত ১৮ই অক্টোবর থেকে আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছিলো টেট উত্তীর্ণরা। Read More
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ও সমাজকর্মী জি এন সাইবাবাকে বেকসুর খালাস করার বম্বে হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করার পরে সমাজকর্মী হিমাংশু কুমার বিচারকদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন, যেখানে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বিচার ব্যবস্থায় তাঁদের ভূমিকা সম্পর্কে কথা বলেছেন।বেশ কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে,প্রকাশ্য অবিচার করার জন্য বিচার ব্যবস্থাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।এমনকি বলেছেন যে, তিনি এই চিঠির জন্য আদালত অবমাননার দায়ে দোষী এবং তাকে জেলের সাজা দেওয়া হোক।হিমাংশু কুমারের সম্পূর্ণ চিঠি-সম্পাদকRead More
গত ২ অক্টোবর (গান্ধিজির জন্মদিনে) মাত্র পঁচাত্তর বছর বয়সে প্রখ্যাত মার্কসবাদী চিন্তক এবং লেখক-বুদ্ধিজীবী রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্য প্রয়াত হওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ঘনিষ্ট জনমহলে তাঁকে নিয়ে চর্চার সূত্রপাত হয়েছে। এটি একদিক দিয়ে শুভসূচক। রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আমারও পরিচয় ছিল। এবং সেই পরিচয় খুন কম দিনের নয়।Read More
মা নিষাদ ভেবেছিলাম, বন্ধুরা এসে খুঁজে নেবে শব্দভেদী বাণ আর হৃদস্পন্দনের সম্পর্ক ভেসে উঠবে চৌদ্দ মধুকর। অথচ ভিড় এসে ঢেলে দিয়ে গেলো ঝাঁঝালো নির্বাসনী তরল। দেড়ফুট আয়ুর ভেতর হাতড়ে হাতড়ে চোখ খুঁজি আর বেঁচে থাকতে চেয়ে ঈর্ষা জমে যায়। মনখারাপ বিষয়ক প্রবন্ধের ভেতর মোটা অক্ষরে লেখা থাকে 'মতি আর গৌরাঙ্গের মিলন হয়নি' গম্বুজের চুড়োয় পড়েছে সোনার পড়ত রাস্তার দুধারে ভিখারি কাঙাল হরিদাস গ্রামে গ্রামে বার্তা দিয়ে ফেরে। বন্ধুরা কবিতা লেখে আমি তিনমহলার ঝরকাRead More
বীরভূম জেলায় দূর্নীতি মানেই সকলে বালি, কয়লা, পাথর, গোরু পাচার। মূলত এই বিষয়গুলিই জানেন। এতে তো অনুব্রতর রাশ ছিলই। এর বাইরেও একাধিক দূর্নীতি রয়েছে। সেগুলি একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন৷ যেমন, আবাসন যোজনার বাড়ি থেকে শুরু করে রাস্তা নির্মাণের ঠিকা, পঞ্চায়েতে গাছ লাগানো থেকে শুরু করে বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করে পুকুর ভরাট, থানা অনুযায়ী পুলিশ ওসি-অফিসার পোস্টিং থেকে শুরু করে টোল আদায় কেন্দ্রের ঠিকা, ড্রেন নির্মাণ থেকে শুরু করে বিলাশবহুল ফ্ল্যাট, আবাসন, রেস্তোরাঁ নির্মাণ, জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রেও আকাশছোঁয়া দূর্নীতি।Read More
আম্মা: মিড-ডে মিল কর্মীদের লড়াইয়ের এক নাম জুবি সাহা গনগনে আঁচের সামনে চোখমুখ ঝলসে যায়, কিন্তু কাজে এতটুকু ঢিলে দিলে হয় না, সমানে হাত চলতে থাকে। সময়ের মধ্যে বাচ্চাদের খাবারটা রেডি করে না দিলে ওরা শুকনোমুখে অপেক্ষা করবে। সকাল থেকে কাজ শুরু হয়। দোকান থেকে মালপত্তর নিয়ে আসা, সবজি কাটা, উনুন ধরানো, রান্না শেষ করে সমস্ত বাসনপত্র, রান্নাঘর ধোয়ামোছা করে কাজ শেষ হয়। এর বাইরেও কিছু কাজ থাকে, যেমন কখনো বাচ্চাদের খাইয়ে দেওয়া, বাথরুম পরিষ্কার করা, জ্বালানির কাঠ জোগাড়, সেগুলোকে মাঝেমধ্যে রোদে দেওয়া, স্যার-ম্যাডামদের চা করে দেওয়া। রোজ ৪ টাকা ৯৭ পয়সায় (জ্বালানির খরচ সহ) বাচ্চাদের 'পুষ্টিকর' খাবার বানিয়ে দেন, বড়দের ৭ টাকা ৪৫ পয়সা। খাবার ভালো হয় না বলে অভিভাবকদের অভিযোগ শুনতে হয়, অনেকের চোখে 'চোর' হয়ে যেতে হয়Read More