‘অগ্নিপথ’ এর অগ্রগামিতা!

অংশুক
দেশ জুড়ে জ্বলছে আগুন।কারণ? ‘অগ্নিপথ’ শুরু হতে চলেছে।কোনো অ্যাকশন ছায়াছবি নয় কিন্তু;এক্কেবারে সরকারি সিদ্ধান্ত।নতুন এক যোজনা এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থাৎ বিজেপি সরকার।তারই বিরুদ্ধে দিকে দিকে শুরু হয়েছে বিপুল আন্দোলন এবং সে আন্দোলনের চরিত্র যথেষ্ট উগ্র।আদপে যোজনাটি ঠিক কী তা আগে জেনে নিই—
অগ্নিপথ স্কিমের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্তদের চার বছরের পরিষেবা শেষ করার পরে এককালীন ১১.৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে । তাঁরা কোনও গ্র্যাচুইটি , পেনশন বা অন্য কোনও অবসরকালীন সুবিধা পাবেন না।কিন্তু সেনাবাহিনীর ২৫ শতাংশ আসন অগ্নিবীরদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
এই যোজনার বিরুদ্ধে জ্বলে উঠেছে দিকে দিকে আগুন।সমস্তিপুর,বেগুসরাইয়ে প্রতিবাদীরা জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন ট্রেন।জোহানাবাদ অঞ্চলে লরি ও বাস।বিহারে ৮ টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।বিহার ছাড়া উত্তরপ্রদেশ সহ আরো ৬ রাজ্যে শুরু হয়েছে আন্দোলন।বাংলাতেও এসে পড়েছে তার আঁচ।বাংলায় বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।পাঞ্জাবে ক্রমবর্ধমান অগ্নিপথের আঁচ।শাসক বিজেপি সরকার পড়েছে প্রবল প্যাঁচে।সেই সুযোগে কংগ্রেসও বিরোধী হিসেবে প্রবল সমর্থন জানিয়ে বলেছে যে এই যোজনা প্রত্যাহার করতে হবে।

স্বৈরাচারী শাসকের ভূমিকায় দাঁড়িয়ে মোদী ও তার পারিষদদের কী ভূমিকা হতে পারে তা অবশ্যই প্রশ্ন।পাশাপাশি সমগ্র পরিসর ধীরে ধীরে সামরিকিকরণের একটি পন্থাও হয়ে উঠতে পারে এই অগ্নিপথ স্কিম।
অগ্নিবীরদের প্রয়োজনে রাষ্ট্র যে কোনো সময় ব্যবহার করতে পারবে।যেভাবে বারংবার ধর্ম, নিরাপত্তা ও সেনাবাহিনী নিয়ে রাজনৈতিক পাশার চাল কী এবার উলটো হয়ে গেল? এসব প্রশ্নোত্তর থাকলই। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তর থেকে উঠে আসছে একধরণের বিরোধ,এই সিদ্ধান্ত নাকি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করবে।নানান মহলের আলোচনার মধ্যে ভারতজুড়ে আগুন জ্বলাটা কিন্তু থেমে নেই।
অংশুক : ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মী।