বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থানের ১২৫ ঘন্টা

মীর রাকেশ রৌশান
যখন আকাশে অন্ধকার বিরাজ করে তখন হীরার মত জ্বলজ্বল কর, বিশ্বভারতীর ছাত্ররা তা সফলভাবে দেখিয়েছে। তারা গত ১২০ ঘন্টা ধরে উপাচার্যের গেটের সামনে বসে আছে এবং তারা ঘোষণা করেছে যে উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন বন্ধ করবে না। এটা এতটাই বিস্ময়কর যে কর্তৃপক্ষের কেউ ছাত্রদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেনি বরং উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার চেষ্টা করছেন। তিনি ইতিমধ্যেই ভর্তি প্রক্রিয়া, ফলাফল প্রকাশ এবং অন্যান্য অফিসিয়াল কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন যা ছাত্র, শিক্ষক এবং অন্যান্য অশিক্ষক কর্মীদের হয়রানি ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা প্রথম নয় যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে কিন্তু এই ধরনের আচরণ দেখা যায়নি, তাছাড়া, ছাত্রদের থেকে এটা স্পষ্ট যে তারা লড়াই ছাড়া হার মানবে না। তাদের দাবিগুলি স্পষ্ট, যেমন ভিসিকে পদত্যাগ করতে হবে, সমস্ত স্থগিতাদেশ এবং বহিষ্কার প্রত্যাহার করতে হবে, ভর্তির প্রক্রিয়া, ফলাফল প্রকাশের মতো সমস্ত অফিসিয়াল বিষয় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে হবে।
এই বিষয়টি এবার শুধুই বিশ্বভারতীতে সীমাবদ্ধ নেই,ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। সোসাল মিডিয়াতে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের জন্য আওয়াজ উঠেছে।বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন।বুধবার যাদবপুরের ৮বিতে এই মুহূর্তের অন্যতম বড় রাজনৈতিক সংগঠন ফ্যাসিস্ট আর এস এস বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলাও অবস্থান করেছেন।এই সংগঠনের সেন্ট্রাল কমিটির মেম্বার কুশল দেবনাথ সহ অন্যান্যদের আজ অবস্থানে বক্তব্য রাখতে দেখা গেছে।পাশাপাশি উক্ত সভায় তাঁরা ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ৪-ই সেপ্টেম্বর ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দেখা করবেন এবং গোটা রাজ্য জুড়ে ফ্যাসিস্ট বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর পদত্যাগের জন্য আন্দোলন গড়ে তুলবেন।
বুধবার নাট্যকর্মী অমৃতা ও রণজয় নাটক ‘ওরা ঘুমাইবো’র প্রদর্শন করেন।শিল্পী শুভেন্দু সরকারের থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ফ্যাসিস্ট পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নিয়মিত কার্টুনের কাজ সোসাল মিডিয়াতে দেখা গেছে।
ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলন এই সময় ১২৫ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে।ছাত্র সংগঠন ডিএসএ বুধবার ইউজিসি ও এম এইচ আর ডি দপ্তরে মেল করে বিস্তারিত জানিয়েছে যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়।