বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি আদায়ের লড়াইয়ে অনড়

পূর্বাঞ্চল নিউজ ডেস্ক:আলোচনায় বসতে নারাজ বিশ্ব ভারতী কর্তৃপক্ষ।আদালতের রায় অবমাননা করে ছাত্রাবাস না খুলে অফলাইন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করায় স্বত:স্ফুর্ত ভাবে সেমিস্টার বয়কট এর সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। ইতিমধ্যে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গতকাল একটি নোটিশ বের করে তাতে পরিষ্কার বলা হয়, যারা সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশ নেবে না তাদের অকৃতকার্য করা হবে। ১৫ দিন ধরে বিশ্ব ভারতীর কেন্দ্রীয় কার্য্যালয়ে অবস্থানরত পড়ুয়ারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিকেল ৪টের সময় বাংলাদেশ ভবনে সাধারণ সভা চলাকালীন কর্মসচিব, যুগ্মকর্মসচিব(এক্সাম) সহ একাধিক আধিকারিকদের ঘেরাও করা হয়। মধ্যরাতে শান্তিনিকেতন থানার ওসি, এস- ডি-পিও(বোলপুর)সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী বাংলাদেশ ভবনে আসে ঘেরাও হওয়া অধিকারীকদের মুক্ত করতে। কিন্তু ফল হিতে বিপরীত হয়। ছাত্র ছাত্রীদের বিক্ষোভের রোষে পুলিশ বাহিনীকে ফিরে যেতে হয়। শেষমেস চাপে পড়ে যুগ্মকর্মসচিবকে নোটিশটি প্রত্যাহার করতে হয়। আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রীদের দাবি,যতক্ষণ না অবদি তিনটি দাবি- হোস্টেল খোলা,ইউজিসি গাইডলাইন অনুযায়ী ষাট শতাংশ সিলেবাস অনলাইনে পড়িয়ে অফলাইনে পরীক্ষা না নেওয়া এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সীমা বাড়ানো; মানা হবে তাদের ঘেরাও কর্মসূচি চলবে। আজ প্রানীবিদ্যা, ইন্ত্রিগ্রটেড সায়েন্স, গণনাশাস্ত্র, কলা ভবন, পার্সিয়ান বিভাগে পরীক্ষা বয়কট করে ছাত্র ছাত্রীরা। দুপুরে রেজিস্টার আশীষ আগরওয়াল ছাত্র আন্দোলনের চাপে পরে পদত্যাগ করলেও টা গ্রহণ করে নি কর্তৃপক্ষ। ঘেরাও এখনও অব্যহত। নাম প্রকাশে এক অনিচ্ছুক ছাত্রী জানায়, আমরা দীর্ঘদিন ধরে অতি শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালাচ্ছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে আলোচনায় না বসে হাইকোর্টে যাচ্ছে মামলা করছে, ছাত্র ছাত্রীদের বহিরাগত তকমা দিচ্ছে। তাই তারা এই ঘেরাও তত দিন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যত দিন তাদের তিনটে দাবি মানা না হচ্ছে।