নষ্ট হতে বসেছে বাস

নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর দিনাজপুর : করোনা সংক্রমনের জেরে স্কুল বন্ধ হয়ে আছে দেড় বছর ধরে। আর সেই সময় থেকে পড়ে থেকে নষ্ট হতে বসেছে স্কুলের বাস। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার সদর রায়গঞ্জের স্কুল বাস মালিকরা। উল্লেখ্য উকি মারি করোনার প্রভাবে প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়েছিল দুই হাজার কুড়ি সালের মার্চ মাসে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশজুড়ে সমস্ত স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। 2021 সালে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে আনলক পিরিয়ড চললেও খোলেনি কোন স্কুল প্রতিষ্ঠান। ফলে দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে সমস্ত স্কুল বাস। স্কুল এর সামনে কিম্বা বাড়ির গ্যারেজে সেগুলো পড়ে রয়েছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ জেলা সদরের জন্য 40 থেকে 50 টি স্কুল বাস চলাচল করে। এই সমস্ত বাস দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থায় পড়ে থেকে বাসের টায়ার টিউব থেকে বাসের অন্যান্য যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘকাল ধরে উপার্জনহীন হয়ে পড়েছেন স্কুল বাসের মালিক রা। আগামীতে স্কুল খুললেও সেই স্কুল বাস গুলি মেরামত করে চালানো সম্ভব হবে না। সেটা ব্যয় সাপেক্ষ ব্যাপার। সেটা স্কুল বাস মালিকদের পক্ষে সম্ভব হবে না। বাস মালিকরা জানিয়েছেন বাস রাস্তায় না থাকলেও তা বজায় রাখার জন্য সরকারকে ট্যাক্স ফিটনেস ও ইন্সুরেন্স এর জন্য প্রতিদিন 500 টাকা করে দিতে হচ্ছে ঘর থেকে। ফলে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছি আমরা। কিভাবে পরিস্থিতি সামাল দিব বুঝে উঠতে পারছিনা। স্কুল বাস বন্ধ থাকায় সংসার চালানো দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে বাসকর্মীদের। বাস না চলায় তাদের বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে তীব্র সমস্যায় পড়েছেন তারাও । বাধ্য হয়ে এই কর্মীদের অনেকেই সবজি বা ফল বিক্রি করতে শুরু করেছেন। পুলকার মালিক ও কর্মীদের এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বাস ও মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্লাবন প্রামানিক। তিনি বলেন প্রচন্ড সমস্যায় রয়েছে স্কুল বাস মালিকরা। তীব্র আর্থিক ক্ষতির মুখে তারা। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সে দিকে তাকিয়ে রয়েছি আমরা।
বাইট সুশান্ত বিশ্বাস বাস মালিক
অচিন্ত্য কুন্ডু বাস চালক