• March 24, 2023

Category :

পশ্চিমবঙ্গ

মুর্শিদাবাদ সোনাঝুরির হাট

মুর্শিদাবাদ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে ৪১ টি স্টল এসেছিল এই মেলায়, ছোট পরিসরের মেলা হলেও বিরাট সাড়া ফেলেছে এই মেলা। ৪১ টি স্টল এর মধ্যে ৮ টি স্টল মুর্শিদাবাদের। শোলা শিল্প, কাঁথা স্টিচ ব্যাগ, নারকেল ছোবড়ার কাজ,কাঁথা স্টিচ শাড়ি, পুতির গহনা ইত্যাদি। হুগলি জেলা থেকে এসেছিল বড়ি, পাপড়, মসলা, আমসত্ত্ব ইত্যাদি।বোলপুর শান্তিনিকেতন থেকে এসেছিল পোশাকের স্টল, এছাড়াও ছিল ডোকরা শিল্পের গহনা।Read More

রবিবারের সাহিত্য

আফজল আলির কবিতা

আমার শহরে কবে আসছেন ডানা মেলে চলে গেছে রোদ্দুর, স্বপ্ন দেখা বারণ তবু যেন মনে হয় বলছে -আমার শহরে কবে আসছেন মেঘ ছায়া পার হয়ে অনেক দূর , মন ব্যক্ত করে সিঁড়ি সিঁড়ি সন্ধ্যা প্রচণ্ড ব্যাকুল ওই তো দিগন্ত , নিরামিষ করিডোর হয়ে মাখন মাখন সরগম তুলে ,মনে হয় তবু যেন বলছে - আমার শহরে কবে আসছেন যাব একদিন হাতছানি দিয়ে ছন্দ শহরের বুকে বিরাম যেখানে ঘুম থেকে তোলে ,কুয়াশার কাচ চোখে মাথার ভিতরে জাল বোনে দৃশ্যের বিনুনি কথা রূপালি ব্যথার ফেস-ওয়াশ তুলতুলে গালখানা হৃদয় ভেঙেছে জ্যোৎস্না শায়েরী অমোঘ কথার প্রত্যয় কারবারি ভুলে যাই সব, ভুলে যাই সব শিকল ছিঁড়ে উড়িয়ে দেওয়া পাখির কলরব সময় সরছে , ঘাড় ঘুরিয়ে তবু যেন বলছে আমার শহরে কবে আসছেন , কবে আসছেন শহরে হাতের দাগ এবং চায়ের কাপ আজ সকালে দেখলাম কাপটা ঠিক জায়গাতেই আছে জলের বোতল এবং চামচ রাখার পটটিও এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না যে ওগুলো সরে যেতে পারে তবু চা খাওয়ার সময় হাতের দাগটা আমি দেখতে পেলাম হাতের দাগ এবং চায়ের কাপ আজ দিনটা কি একটু অন্যরকম হতে পারে কেন নিজেকে define করতে পারছি না বড়ো জোর আমি চাইছিলাম বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে আমাকে পাহারা দিচ্ছিল একটি (a+b)² এর ফর্মুলা এখন শীতকাল, সিলিং ফ্যান নিয়ে আলোচনা মুলতুবি নিম্নচাপে গরম ফিরে আসতে পারে , এসেছেও গতকাল অনেক ছবি ওকে দিয়েছিলাম, একটা ভিডিও ক্লিপ ও তবু মনে হচ্ছে এ সময়টা আমাকে থাপ্পড় দেবেই তখন আমি কোথায় যাব , জ্যামিতি নাকি পরিমিতি চায়ের কাপটা কিছু বলছে না দেখে একটু অবাক-ই হচ্ছিRead More

দেশবিদেশ

ব্লকচেন(Blockchain) প্রযুক্তির শুরুয়াত

২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থার মধ্যে যখন ধ্বস দেখা দিল তখন ধ্বসের কারণ অনুসন্ধানরত অর্থনীতিবিদদের বলতে শোনা গেল যে, ধ্বসের কারণ ও মাত্রার পরিমাপ অনুধাবন করা সম্ভবপর হচ্ছে না। এই চ্যালেঞ্জ থেকেই নতুন হিসাবশাস্ত্রের অনুসন্ধান, তার থেকেই জন্ম ব্লকচেন প্রযুক্তির। ২০০৮ সালে Satashi Nakamoto নামে জাপানি এক প্রযুক্তিবিদের হাত ধরে এই প্রযুক্তির আগমন। কিন্তু জন্মলগ্নেই এই বিটকয়েন ব্লকচেন (Bitcoin Blockchain) এক হ্যাকিং-এর স্বীকার হয়। হ্যাকিং অংকুরে বিনষ্ট করা গেলেও বিটকয়েন ব্লকচেন-এর বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা সামনে চলে আসে। ২০১৪ সালে ১৬ বছর বয়স্ক টরেন্ট প্রবাসী বুটারিন (Buterin) ইথুরিয়াম ব্লকচেন (Ethereum Blockchain) আবিষ্কার করেন, যার আকার অনেক বৃহৎ। নামকরণটি ইথার (Ether) থেকে নেওয়া হয়েছে।Read More

দেশপশ্চিমবঙ্গ

পাপিয়া মাণ্ডির পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ

পাপিয়া মাণ্ডির লড়াইয়ের পাশে দাঁড়িয়ে ২১ ডিসেম্বর ২০২১ রাজ‍্যের কয়েকটি জায়গায় বিক্ষোভ কর্মসূচী সংগঠিত হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ও চন্দ্রকোনা, পূর্ব বর্ধমানে বোহার গদাইতলা বাজার, হুগলির ধনেখালি বিডিও অফিস এবং কলকাতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ‍্যালয়ে বিভিন্ন সংগঠনের উদ‍্যোগে প্রতিবাদী কর্মসূচী সংগঠিত হয়। পাপিয়া মাণ্ডির পাশে দাঁড়িয়ে জাতিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সুবিচারের জোরালো আওয়াজ তোলা হয়। মূল বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচীটি ছিল সবংএ। ভারত জাকাত মাঝি পারগাণা মহল (ভাজামাপাম) সবং ও পিংলা মুলুকের ডাকে সবং তেমাথানি মোড়ে কয়েকশ আদিবাসী নরনারী প্রথাগত পোশাকে, তুমদাঃ-টামাক্ ও ঘরোয়া অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জমায়েত হন এবং প্রতীকী বৃক্ষরোপণের মাধ‍্যমে প্রকৃতি আরাধনা করে এক সুশৃঙ্খল মিছিল সমগ্র এলাকা পরিক্রমা করে সবং সজনীকান্ত মহাবিদ‍্যলয়ের দরজায় হাজির হয়। দরজা বন্ধ দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে, বিশেষত মহিলারা। কলেজের সামনে ব‍্যাস্ত হাইরোড অবরোধ করে বসে পড়েন সবাই। বিশাল পুলিশ বাহিনী দফায় দফায় আলোচনা চালায় নেতৃত্বের সাথে। প্রায় ৪৫ মিনিট অবরোধ চালিয়ে রাস্তা জুড়ে মিছিল করে ফিরে আসা হয় তেমাথানি সভাস্থলে। সভা চলে সন্ধ‍্যা অবধি। প্রথমে বক্তব‍্য রাখেন ফুলো-ঝানো তিরলো গাঁওতার নেত্রী স্বরস্বতী হাঁসদা ও সব শেষ বক্তা ছিলেন পাপিয়া মাণ্ডির ছোট ভাই পূর্ণেন্দু মাণ্ডি। তার মাঝে একে একে বক্তব‍্য রাখেন বিক্ষোভ কর্মসূচীর অন‍্যতম প্রধান উদ‍্যোক্তা মিঠুন মুর্মু, বাবলু হাঁসদা, সনাতন হেমব্রম, বিশ্বনাথ হেমব্রম, মনোরঞ্জন মুর্মু, রবি সিং সহ বিভিন্ন নেতৃত্বস্থানীয় পারগাণা মহল। আমন্ত্রিতদের মধ‍্যে থেকে বক্তব‍্য রাখেন মলয় তেওয়ারি ও ডিডি মুর্মু। সভাস্থল ও মিছিলকে শ্লোগানে উজ্জীবিত রেখেছিলেন পিংলা মুলুকের গোডেৎ পারগানা বিজয় হেমরম ও করকাই পিড় জগ পারগানা কুমার কিসকু। সভা পরিচালনা করেন খড়গপুর তল্লাটের গোডেৎ পারগানা অলোক বেসরা। আদিবাসী সমাজের মানুষেরা ছাড়াও বহু সাধারণ মানুষ আগ্রহভরে সভায় অংশ নেয় এবং মিছিলের সময়ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমর্থন লক্ষ‍্য করা যায়।Read More

দেশ

বিবি জুলিয়ানা

মধ্যযুগীয় ইতিহাসে সে যুগের বহু খ্যাতিসম্পন্না নারীর গল্প ও উপাখ্যান আমরা দেখতে পাই। তাঁদের মধ্যে রাজিয়া সুলতান, নূরজাহান, মুমতাজ মহল, জাহানআরা বেগমকে নিয়ে বহু কিস্যা কাহিনী প্রচলিত।কিন্তু এর বাইরেও বহু নারী ছিলেন সেযুগে যাঁদের নিয়ে কোথাও সেইভাবে কিছু বলাই হয়নি।এরকমই এক নারী হলেন জুলিয়ানা।এই পর্তুগিজ নারী মুঘল কোর্টে একসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি সাক্ষী ছিলেন বহু রহস্যময় আলোচনা ও বন্ধ দরজার পিছনের গুপ্ত কথোপকথনের। ডোনা জুলিয়ানা ডি কোস্টা ছিলেন মুয়াজ্জমের প্রিয় ভালোবাসার পাত্রী।মুয়াজ্জম পরে বাহাদুর শাহ প্রথম রূপে মুঘল তখ্তে বসেন ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরে একজন বিতর্কিত সম্রাট রূপে। জুলিয়ানার ছিল মনোহরণকারী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, ফলে খুব সহজেই তিনি বাহাদুর শাহ প্রথমের খুব কাছের মানুষ হতে পেরেছিলেন। তিনি তাঁর কাজের মধ্য দিয়ে যে পরিবর্তন মুঘল ও ইউরোপীয় সম্পর্কে আনতে সক্ষম হয়েছিলেন তার জন্য ইতিহাসের পাতায় তাঁর নাম আলাদা করে উল্লেখ করা প্রয়োজন।কিন্তু দুঃখের বিষয় তা করা হয়নি।Read More

আসামত্রিপুরাদেশপশ্চিমবঙ্গ

বিএসএফের কাজের এলাকা বাড়ালে নাগরিক যন্ত্রণা বাড়বে

সালটা ২০০৪। অক্টোবর মাসে মনিপুরের ৩২ বছরের মনোরমা থাংজুনের বিবস্ত্র মৃতদেহ মিলল আসাম রাইফেলসের শিবিরের কাছে রাস্তার ধারে এক জঙ্গলে। তাঁকে আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা তার তিন দিন আগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। মা, ভাইয়ের চোখের সামনে দিয়ে। মৃতদেহের স্তনে ক্ষত ও যোনি বন্দুকের গুলিতে ক্ষতবিক্ষত। তিনি সমাজকর্মী হিসাবে পরিচিত ছিলেন, ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াতেন, বিদ্যালয়ে পাঠাতেন, খেলা করাতেন, শেখাতেন। তবে তাঁর বদগুণ ছিল, কোন অন্যায় হছে দেখলে, শুনলে বা জানলে প্রতিবাদে সোচ্চার হতেন। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়, “দেশকে নিরন্তর পীড়ন হইতে বাঁচাইবার জন্য এক দল লোকের তো বুকের পাটা থাকা চাই, অন্যায়কে তারা প্রাণপণে প্রমাণ করিবে, পুনঃপুনঃ ঘোষণা করিবে।"(‘কর্তার ইচ্ছায় কর্ম’)। অপরাধীদের শাস্তি হয়েছিল কি? জানা যায়নি। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সামরিক, আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা বাড়তি সুযোগ পেয়ে থাকেন। কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁরা ফৌজদারি অপরাধ করলেও সাধারণ আদালতে তাঁদের বিচার হবে না যদি কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মতি না মেলে। সেনাদের বিভাগীয় বিচারের ব্যবস্থা আছে বটে, কিন্তু তাতে অভিযোগকারীর আমজনতার অংশ গ্রহণ সামান্য। ডাক পেলে তিনি নিজে হাজির হতে পারবেন, আইনজীবী কিংবা অন্য কোন বন্ধুর সহায়তা নিতে পারবেন না। চলতি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নাগাল্যান্ডের মন জেলার কয়লা শ্রমিকরা ফিরছিলেন একটা ছোট গাড়িতে হপ্তান্তে বাড়িতে। এমনটাই তাঁরা ফেরেন প্রত্যেক হপ্তায়। আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানেরা সামনে থেকে গাড়িতে গুলি চালিয়ে দশ জনকে মেরে ফেললেন। খবর পেয়ে ছুটে আসা ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের ছয় জনকেও প্রাণ দিতে হলো। নাগাল্যান্ডের পুলিশের তদন্ত রিপোর্টের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিবৃতিতে অমিল দেখা গেল। বারে বারে কেন্দ্রীয় সরকার অপরাধী সেনাদের পাশে থেকেছে। না হ’লে নাকি তাদের মনোবল নষ্ট হয়ে যাবে। সেনা বাহিনীর জওয়ানেরা দেশ রক্ষার জন্য অনেক কষ্ট স্বীকার করেন, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তাঁদের সীমান্তে পাহারা দিতে হয়। কিন্তু সাধারণ নাগরিক কেন তাঁদের বেখেয়ালের শিকার হবেন? সরকার বিরোধীরা ২০০৪ সালেও সোচ্চার হয়েছিলেন, ২০২১ সালেও হয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন(আফস্পা নামে যা আখ্যাত) বাতিলের আবার দাবি তুলছেন। শুধু কেন্দ্রীয় সরকারে ও বিরোধী দলে রঙের পরিবর্তন হয়েছে। মনমোহন সিং তাঁর মেয়ের এক বই প্রকাশনী অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছিলেন যে কোন রাজনৈতিক দলের স্বরূপ বোঝা যায় না যখন তারা বিরোধী পক্ষে থাকে। মনমোহন সিং তখন ছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। Read More

পশ্চিমবঙ্গ

আর কতদিন চলবে এ বাংলায় প্রহসনের নির্বাচন?

গতকাল আমাদের প্রিয় শহর কলকাতার কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পন্ন হল বাতাসে বারুদের গন্ধ ও মাটিতে রক্তের দাগের মধ্য দিয়ে৷ ঠিক সাত মাস আগে এ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে রাজ্যের বর্তমান শাসক দল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসীন হয়েছে, আর অন্যদিকে স্বাধীনতার পর এই প্রথম বাংলাতে বামশূন্য বিধানসভা প্রত্যক্ষ করলো বাংলার জনগণ৷ সেইসাথে উল্লেখ করতে হয় আসন সংখ্যার নিরিখে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেও কার্যত ছন্নছাড়া ভারতীয় জনতা পার্টি৷ প্রতিদিন ভারতীয় জনতা পার্টির নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নেতৃত্ব রাজ্যের শাসক দলে নাম লেখাচ্ছে৷ এসব ঘটনার পর রাজ্যের অতি বড়ো তৃণমূল বিরোধীর মনের মধ্যেও কোন সংশয় ছিল না এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে অসুবিধা হবে৷ তথাপি কোলকাতা সাক্ষী থাকলো রাজ্যের শাসক দলের সৌজন্যে এক প্রহসনের ভোট৷ তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেসের নিজের মধ্যে কি আস্থার অভাব ছিল? না এরাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে গণতন্ত্রের উৎসব এই সংস্কৃতিতে চলবে! Read More

দেশপশ্চিমবঙ্গ

অসুস্থ প্রকৃতি পরিবেশে মানুষ সুস্থ থাকবে কীভাবে?

বর্তমান সময়ের দাবি-- বিপর্যস্ত প্রাণ প্রকৃতি পরিবেশকে মেরামত করতে স্থানীয়ভাবে কর্মসূচি গ্রহণ, কিন্তু ভাবনাটা হোক আন্তর্জাতিক। শুধু কয়েকটি গাছ লাগানো বা প্লাস্টিক বর্জন করার মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ গণ অবলুপ্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা যাবে না। শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, ভাবতে হবে গভীরে গিয়ে বৃহৎ পরিসরে। বাজার সর্বস্ব ভোগবাদের জন্য শুধুই অপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন ও দূষণ সৃষ্টি নয়। এর বিকল্প হিসেবে উঠে আসুক প্রকৃতির বিপাকীয় ফাটলের মেরামত ও তার পুনরুৎপাদন" (reproduction of nature) এর মার্ক্সীয় ভাবনা।Read More

দেশপশ্চিমবঙ্গ

কয়লাঞ্চল বাঁচাও মঞ্চ, পশ্চিমঙ্গের প্রতিনিধি দলের দেওয়া-পাঁচামি অঞ্চলে পরিদর্শনের রিপোর্ট

কয়লাঞ্চল বাঁচাও মঞ্চের এক প্রতিনিধি দল ১১ই ডিসেম্বর তারিখ বীরভূম জেলার দেওচা-পাঁচামি অঞ্চল পরিদর্শন করে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ১। গৌতম ঘটক, ২। ইন্দ্রজিৎ মুখার্জী, ৩। গৌতম মন্ডল, ৪। দুগাই মূর্মু। এলাকা পরিদর্শন কালে এলাকার জনসাধারণ ও আদিবাসীদের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের দীর্ঘক্ষন কথা হয়। খোলামুখ খনি খোলার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি তারা অনাগ্রহ ও বিরুদ্ধ মত পোষণ করে। এই এলাকার এক আদিবাসি পাড়া গবরবাথান যা চাঁন্দা পঞ্চায়েতের সাগরবান্দী গ্রামের মধ্যে অবস্থিত। সেখানকার আদিবাসীরা ব্যপক সংখ্যায় জমায়েত হয়ে প্রতিনিধি দলকে বলে যে শহরের বাবুরা এখানে এসে তাদের ছবি তুলছে ও কথা রেকর্ড করছে। তবুও শহরে গিয়ে মিথ্যে বলছে যে তারা গ্রাম ছেড়ে যেতে রাজি। খুবই জোড়ের সঙ্গেই তারা জানিয়েছে যে গ্রাম তারা ছেড়ে দেবে না। কোন টাকার বিনিময়েও না। আদিবাসী মহিলা পুরুষেরা পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছে যে দশ বিশ লাখ টাকা দিয়ে তারা কতদিন খাবে। তারা চাষ আবাদ করে ও খেটে খেতে চায়। গ্রাম ছাড়তে তারা রাজি নয়। কোন মতেই তারা গ্রাম ছেড়ে যাবে না। এমন কি জোড় করে ছাড়াতে গেলে তারা একজোট হয়ে লড়বে।Read More

রবিবারের সাহিত্য

মানস মণ্ডলের কবিতা

মুহূর্তটা মানস মণ্ডল আমি সেই মুহূর্তটা যাকে উষাপর্ব বলে ভুল করে লোকে সূর্যও করে ইশারার কয়েকটুকরো তুলে নিয়ে সকালের কোলে মাথা রেখে বিকেলের গায়ে হেলান দেওয়া বুকে করে মুহূর্তটা পাশ ফেরে পৃথিবী ডেকেছে পৃথিবীর হাঁটা ব্যাপারে একটা চমৎকার আছে ওলট-পালট আছে একটা নতুন সন্ধ্যা আর আকাশের দোলাচলের মাঝে একটুকরো আবার এসো মাঝে মাঝে ফিরে আসে দাঁড়ায় একটু সুধাদির পুরনো চাঁদের জানলায় Read More