"পানশালা নয়, পাঠশালা চাই… " এসএফআই এর বিক্ষোভ সমাবেশ হয় মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ভগবানগোলায়। সোমবার এসএফআই এর ভগবানগোলা লোকাল কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন সার্কেল ইন্সপেক্টর শ্যাম প্রসাদ সাহা ও ভগবানগোলা থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দীপক হালদারের নেতৃত্বে এক বিশাল পুলিশ বাহিনী সমাবেশ স্থানের চারিদিক ঘিরে রাখেন। বিক্ষোভ সমাবেশের যখন শিক্ষক ও ছাত্ররা মিছিল করে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে গিয়ে ডেপুটেশন দিতে চান তখন তাদের বাধা দেয় পুলিশ। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় এসএফআই-এর কর্মী সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে। ধাক্কাধাক্কির পরে কিছু এসএফআই কর্মী সমর্থকরা বাইরে বেরিয়ে আসে এবং রাস্তার উপর বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তখন তাদের বাধা দিয়ে পুলিশ মুর্শিদাবাদ জেলার এসএফআই কমিটির সভাপতি সাহাদাত হোসেন, ভগবানগোলা লোকাল কমিটির সভাপতি আবদুল্লা, সম্পাদক সোহেল রানাকে আটক করে পুলিশ। সংগঠনের সদস্য তথা এক প্রাইমারি শিক্ষক বলেন, যখন মেলা খেলা সব চলছে তখন কেনো স্কুল কলেজ খোলা হচ্ছে না। করোনা কি শুধু স্কুল বিল্ডিংয়ের ভিতরে রয়েছে? খোলা জায়গায় স্কুল করলে সেইখানে কি করোনা যাবে না ! সংগঠনের পক্ষ থেকে হুশিয়ারি দেওয়া হয় পুলিশ প্রশাসনকে, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের বিনা শর্তে মুক্তি না দিলে এর থেকেও বড়ো আন্দোলনে যাবে তারা। Read More
Category :
রাজদীপ বিশ্বাস রুদ্র সাধারণ ভাবে " নিষিদ্ধতা " এবং " আমেরিকা " শব্দদুটি পরস্পর বিপ্রতীপ - এমন একটি ধারণা অন্তত এশীয় মানসে বহুল খ্যাত। " ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতার পীঠস্থান " আমেরিকায় সেন্সরশিপ বা ব্যান নামক স্বৈরিতা যে থাকতে পারে এমনটা অনেকেই বিশ্বাস করতে পারবেন না সহজে। কিন্তু প্রসঙ্গটি যখন আসে বইয়ের বিষয়ে তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ধারণা যে বেশ সংকুচিত হয়ে আসে সেটা দেখা গিয়েছিল গত বছরের আমেরিকান লাইব্রেরীর রিপোর্টে। রক্ষণশীল সংগঠনগুলির সংগঠিত চাপে বই নিষিদ্ধকরণ এবং বইয়ের ওপর সেন্সর যে আমেরিকায় ক্রমবর্ধমান, রিপোর্টে সেইটি স্বীকার করা হয়েছিল। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিষিদ্ধতার কারণ - " আপত্তিকর নগ্নতা "! সম্প্রতি এরই নবতম সংযোজন - মাউস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলবোর্ড নগ্নতার অভিযোগে আর্ট স্পাইগ্যালমানের " মাউস " কে ব্যান করেছে - দিন তিনেক আগে এইরকম একটি পোস্ট যখন নিউজফিডে দেখেছিলাম, ব্যাপারটা ঠিক বোধগম্য হয়নি। " মাউস " য়ে " আপত্তিকর " নগ্নতা! কোথাথেকে পাওয়া গেলো! ভেবে অবাক হয়েছিলাম। এও মনে হয়েছিল ভুলভাল জিনিস হয়ত। কিন্তু না। ভুল ভাল না। আসলেই " স্বাধীনতার " মহান পীঠস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হয়েছে আর্ট স্পাইগ্যালমানের পুলিৎজার জয়ী গ্রাফিক উপন্যাস &Read More
খড়গপুর আইআইটির ক্যালেন্ডার(২০২২)- প্রমাণের নামে ভারতের সিন্ধু ও বৈদিক সভ্যতা সম্পর্কে এক ধর্মীয় মৌলবাদী চিন্তার মিথ্যা প্রচার
গত ১৮ই ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান খড়গপুর আইআইটির একটি বাৎসরিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন ‘the calendar was aimed at bringing out the truth’.শিক্ষামন্ত্রীর মতে, এত দিন এক মিথ্যার ইতিহাস আমরা জানতাম, আগামী দিনে সেই সত্য তাঁরা প্রকাশ করবেন। এই ক্যালেন্ডার প্রকাশ করার পিছনে যাঁর প্রধান ভূমিকা তিনি হলেন অধ্যাপক জয় সেন। তিনি Centre of Excellence for Indian Knowledge System-এর চেয়ারম্যান। তিনি এই ক্যালেন্ডারের শুরুতেই উল্লেখ করেছেন ‘Rebutting the Aryan invitation Read More
সীমিতা মুখোপাধ্যায় ১ — বৃষ্টিস্নাতা? — হ্যাঁ, বলো, মার্জিত। — আমাকে পাঁচ হাজার টাকা ধার দিতে পার? সামনের বৃহস্পতিবার ফেরত দিয়ে দেব। — হ্যাঁ, দিতে পারি। — ঠিক আছে। কাল তাহলে যাদবপুর এইট-বি বাসস্ট্যান্ডে দেখা করছি। — ক'টার সময়? — সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ যদি যাই? — ওকে। এসো। কল রেকর্ডটা শুনে গল্ফগ্রিন থানার মেজোবাবু বললেন— ক্যাশ দিয়েছিলেন? কল রেকর্ড ছাড়া এই টাকা লেন-দেনের আর কোনো প্রমাণ নেই? — না। — টাকাটা কবে দিয়েছিলেন? — ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। — তারিখ? — ৪ঠা সেপ্টেম্বর। — আর কোনো কল রেকর্ড? — হ্যাঁ আছে। পরেরটা শুনুন। বৃষ্টিস্নাতা পরের কল রেকর্ডটা চালাল। — মার্জিত, তুমি সেই আমার থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছিলে, মনে আছে? — হ্যাঁ, মনে আছে। — চারমাস হতে চলল। এবার ফেরত দাও। — ঠিক আছে। কাল পার্কস্ট্রিটে এশিয়াটিক সোসাইটির সামনে পাঁচটা নাগাদ চলে এসো। টাকা ফেরত পেয়ে যাবে। — ওকে। কথার খেলাপ যেন না হয়। শুনে মেজোবাবু বললেন— তারপর? — শুনে নিন পরের কল রেকর্ডটা। — আপনার ফোনটা একবার দিন। বৃষ্টিস্নাতা তার আইফোনটা মেজোবাবুর দিকে এগিয়ে দিল। মেজোবাবু বললেন— এরপর কোনটা? — ওপর থেকে তৃতীয় কল। মেজোবাবু কল রেকর্ড চালালেন। — হ্যালো, মার্জিত? আমি পার্কস্ট্রিটে দাঁড়িয়ে আছি। আজ তো টাকাটা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। তুমি আসবে না? — আমি টাকাটা আজ দিতে পারছি না। তুমি বাড়ি ফিরে যাও। শুনে মেজোবাবু বললেন— এইভাবে ভদ্রলোক দুবছর ধরে ঘোরাচ্ছেন? — হ্যাঁ। পরের কল রেকর্ডটা শুনুন। চতুর্থ কল রেকর্ড শুরু হল। — মার্জিত, তুমি কি টাকাটা ফেরত দেবে না? এক বছর তো হতে চলল। — হ্যাঁ হ্যাঁ, দেব না কেন। এতদিন লকডাউন চলল তাই যেতে পারিনি। — লকডাউন তো কী? ইচ্ছে থাকলে ঠিকই ফেরত দেওয়া যায়। ফোন পে, গুগল পে কত কী উপায় আছে। — আমি তোমার বাড়ি গিয়ে ক্যাশ দিয়ে আসব। — কবে? — দুদিন সময় দাও। দেখছি। মেজোবাবু বললেন— তারপর তিনি আর দেখে উঠতে পারলেন না। লাস্ট কলটা কবেকার? — পরশু রাতের। — শুনি। মেজোবাবু প্লে বাটনটায় টাচ করলেন। — মার্জিত, তুমি ওই পাঁচ হাজার টাকা ফেরত দেবে কি দেবে না বলে দাও। — দেব না। — কেন? তুমি তো ধার হিসেবে নিয়েছিলে। — হ্যাঁ, তা নিয়েছিলাম। কিন্তু, ফেরত দেব না। — আমি এবার পুলিসে যেতে বাধ্য হব। — সে তুমি যা পার করে নাও। মেজোবাবু বললেন— তা ভদ্রলোক করেন কী? বেকার? — না, ডাব্লিউবিসিএস অফিসার। — বলেন কী! তিনি পাঁচ হাজার টাকার জন্য এই রকম করছেন? — হ্যাঁ, শুনলেন তো। — দু-বছর ধরে মার্জিতবাবুর সঙ্গে আপনার এই পাঁচ বারই কথা হয়েছে? — না, আরও অনেকবার টাকার জন্য তাগাদা দিয়েছি। সব কল রেকর্ড করা হয়নি। — ভদ্রলোকের ফোন নাম্বার দিন। বৃষ্টিস্নাতা মার্জিতর ফোন নাম্বার দিল। মেজোবাবু ফোন করলেন। — মার্জিত চট্টোপাধ্যায় বলছেন? — হ্যাঁ, আপনি কে? — আমি গল্ফগ্রিন থানা থেকে বলছি। — বেশ। বলুন। — মিস বৃষ্টিস্নাতা বসুকে চেনেন? — চিনি। — তাঁর কাছ থেকে বছর দুই আগে পাঁচ হাজার টাকা ধার করেছিলেন। — হ্যাঁ। — টাকাটা ফেরত দিয়েছিলেন? — না। — আপনি থানায় নিজে আসবেন? না, গাড়ি পাঠিয়ে নিয়ে আসতে হবে? — নিজেই আসব। — কাল বিকেল পাঁচটা নাগাদ টাকাটা নিয়ে থানায় চলে আসুন। মিটিয়ে ফেলুন। — আমি টাকা দেব না। — কারণ? — আমার কাছে এখন টাকা নেই। — আপনার তো সরকরি চাকরি। জেল-হেফাজত হলে তো চাকরিতে সাসপেনশন হয়ে যাবে। — গেলে যাবে। কী করব? ঠিক আছে। কাল বিকেল পাঁচটায় গল্ফগ্রিন থানায় যাচ্ছি। ফোন কেটে দিয়ে মেজোবাবু বৃষ্টিস্নাতাকে বললেন— এভাবে বলা হয়তো উচিত নয়, তাও বলছি, আপনাকে দেখে তো বেশ উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে বলেই মনে হচ্ছে, হঠাৎ পাঁচ হাজার টাকার জন্য এত মরিয়া হয়ে উঠলেন কেন? অবশ্যই আপনার হকের টাকা, ফেরত পাইয়ে দেবার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব, তাও জানতে ইচ্ছে হয়। — দেখুন, ও যদি গরিব-দুঃখী হত, আমি মাফ করে দিতাম। কিন্তু, ওর যথেষ্ট রেস্ত আছে। তাছাড়া, টাকা ফেরত দেবার নাম করে ও আমাকে যথেষ্ট হ্যারাস করেছে। আজ দিচ্ছি, কাল দিচ্ছি করে অনেক ঝুলিয়েছে। সত্যি কথা বলতে কী, আমি আর টাকাটা ফেরত চাই না। ওর শাস্তি চাই। আমি চাই ওর একটা শিক্ষা হোক। — মার্জিতবাবুর কি এইরকম লোকের টাকা মেরে বেড়ানো স্বভাব? — সে জানি না। জানলে কি আর টাকা ধার দিতাম? — বটে। আপনি কী করেন? — আমি শর্ট ফিল্ম বানাই। — বাবা কী করেন? — বাবা কী করেন তাই দিয়ে কী হবে? আমি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে। নিজস্ব পরিচয় আছে। বাবার পরিচয়ে বাঁচতে চাই না। — আর মা? — সেটাও বলব না। — বেশ। নিজের ঠিকানা আর ফোন নাম্বারটা দিয়ে বাড়ি চলে যান। বৃষ্টিস্নাতা তাই করল। বৃষ্টিস্নাতা বেরিয়ে যাবার পর অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর আলেখ্যর প্রবেশ। মেজোবাবুর কামরায় ঢুকে আলেখ্য বলল— মেয়েটি হেব্বি স্মার্ট, দেখতেও … হি হি, চমৎকার! মেজোবাবু আলেখ্যকে বেশ পছন্দ করেন, এটাও জানেন আলেখ্যর একটু আড়ি পাতা স্বভাব আছে। মেজোবাবু বললেন— তা, সব শুনে কী মনে হল? — খটকা। — পুরো কেস জন্ডিস। — ঠিকানা তো দিয়ে গেছে, চলুন না একটু এনকোয়েরি করে দেখি। — দুর দুর! কোন যুগে পড়ে আছ এখনো। ফেসবুকটা খোলো। সব ইনফরমেশন ওখানেই পাওয়া যায়। বৃষ্টিস্নাতার প্রোফাইল খুঁজে পেতে বিশেষ বেগ পেতে হল না। সাড়ে চার হাজার ফলোয়ার! মেজোবাবু আলেখ্যকে বললেন— মেয়ে যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে ফিল্ম স্টাডিতে পিএইচডি করেছে। বেশ কয়েকটা শর্ট ফিল্ম বানিয়েছে। কী আবার পুরস্কার-টুরস্কার পেয়েছে, দেখছি। — বাবার নাম, নিখিলেশ রায়, তিনি যাদবপুর ইউনিভার্সিটির প্রফেসর। — মেয়ে বসু আর বাবা রায়! — মা, পুণ্যলতা বসু। বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজের অধ্যাপক। — মেয়ে তার মানে মায়ের পদবী ব্যবহার করে। — ডিভোর্স কেস না নারীবাদী কেস? — দাঁড়াও দেখছি। আমার ক্লাসমেট রাজা তো বিজয়কৃষ্ণ গার্লস কলেজে পড়ায়। ওকে একটা ফোন করি। মেজোবাবু রাজাকে ফোন করলেন। আলেখ্য চুপচাপ বসে শুনতে লাগল। — হ্যালো, রাজা? — আরে তুই! কতদিন বাদে! কেমন আছিস? — আমি বিন্দাস। তোর থেকে একটা ইনফরমেশন নেওয়ার ছিল। — বল। — তুই পুণ্যলতা বসুকে চিনিস? তোদের কলেজেরই অধ্যাপিকা। — চিনব না মানে! উনি তো আমাদের প্রিন্সিপাল! — কোথায় থাকেন জান? — গল্ফগ্রিনে। ওঁর স্বামী তো যাদবপুরের প্রফেসর। — আচ্ছা। — ভীষণই ভদ্রমহিলা। পরিবারও ভালো। ওঁর বিষয়ে হঠাৎ পুলিস এনকোয়েরি কেন? — আরে, ব্যাপারটাকে পুলিস এনকোয়েরি হিসেবে দেখছিস কেন? আমি কি তোর কাছে পারসোনালি কিছু জানতে চাইতে পারি না? তাছাড়া, পুলিসের কাজ কি শুধু চোর-ডাকাত ধরে বেড়ানো? কত রকমের ভেরিফিকেশন করতে হয়, জানিস? পাসপোর্ট বল, ভিসা বল, চাকরি বল … — ও আচ্ছা, বুঝেছি বুঝেছি। — তবে, কথাটা পাঁচ কান করিস না। দুনিয়ায় উজবুকের তো অভাব নেই। কী না কী ভেবে বসবে। — না না। তুই তো জানিস, আমি সাতে-পাঁচে থাকি না। — আর তোর খবর বল। — ভালো রে। আরও দু-একটা কথা চালাচালি করে মেজোবাবু ফোনটা কেটে দিলেন। এবার আলেখ্যর উদ্দেশ্যে বললেন— ডিভোর্স নয়। মা-বাবা একসঙ্গেই থাকেন। পিওর নারীবাদী কেস। — এদিকে দেখুন, দু-সপ্তাহ আগে বৃষ্টিস্নাতা ঢাকুরিয়া আমরি-তে ভর্তি ছিল। লোকেশন দিয়ে স্ট্যাটাস। — কী লিখেছে? — "রিলিজড"। — হয়েছিলটা কী? — চলুন না, ঢাকুরিয়া আমরি-তে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করি। — কমেন্টগুলো পড়ো। সব উত্তর পেয়ে যাবে। মিনিট খানেক পরে, আলেখ্য বলে উঠল— এই দেখুন স্যার, ঋত্বিক বসু লিখেছে— "বাড়ি আয়, তোর জন্য অনেক ক্যালানি অপেক্ষা করে আছে।" — ঋত্বিক বসু কোনো আত্মীয় হবেন হয়তো। আর অস্বাভাবিক কিছু? — হ্যাঁ, মেঘাবৃতা মিত্র লিখেছে— "আর যেন কোনোদিন না শুনি।" — মেঘাবৃতাটা কে? — এও অপরূপ সুন্দরী। মনে হয় বৃষ্টিস্নাতার স্কুল ফ্রেন্ড। দুজনেই 'কারমেল'-এ পড়ত দেখছি। — আর কিছু পাও নাকি দেখো। — পেয়েছি। স্বর্ভানু কর্মকার, পেশা— ফিল্ম এডিটিং, লিখেছে— &Read More
জৈদুল সেখ বাড়িতে গৃহবন্দী হয়ে তারা ক্লান্ত।আর নয়, এবার তারা স্কুলে যেতে চায়। এমনই চিত্র দেখা গেল কান্দী মহকুমায়। স্কুলে পঠন পাঠন শুরু করার দাবিতে সালারে বিডিও কে ডেপুটেশন দেন এবিটিএ শিক্ষক সংগঠন। অন্যদিকে কান্দিতে পথসভা করেন এবং এসডিও কে ডেপুটেশন দেন অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি। শুক্রবার কান্দি মহকুমার পাঁথুপিতেও এবিপিটিএ শিক্ষক সংগঠন পথ সভা করেন। স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসায় পঠন পাঠন বন্ধের সুবাদে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থান অ্যাপ তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেছে। তার ফলে ফুলেফেঁপে উঠছে কর্পোরেট সংস্থানগুলো।অন্য দিকে গ্রাম-গঞ্জের ছেলেরা পড়াশোনা কোন সুযোগ পাচ্ছেনা।আর সেই অ্যাপ কিনে পড়াশোনা করানোর মত সামর্থ্য নেয় বেশিরভাগ মানুষের। স্কুল কলেজ বন্ধের সুযোগ নিচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার। অনেক প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল উঠে যাচ্ছে।তাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি রাস্তায় নামতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের। বিগত সপ্তাহে এবিটিএর সভায় বক্তব্য দিতে দেখা গেছে দেবকুণ্ড হাইমাদ্রার ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী মানুসরা,তার বক্তব্য উঠে এসেছে স্কুলে যেতে না পারার ব্যথার কথা। এবার পথ নামলো কান্দির খুদে পড়ুয়ারা।স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় পঠন-পাঠন শুরু করার দাবি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আওয়াজ উঠছে।রাস্তায় নামতে দেখা গেছে SFI থেকে শুরু করে AISA,DSO,PDSF,AIRSO,RSF সহ বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে।এছাড়া স্কুল কলেজে পঠন-পাঠন শুরু করার দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা গেছে 'লকডাউন বিরোধী গণ উদ্যোগ 'নামক সংগঠনকে,যা APDR সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ উদ্যোগ।তারা মহাকরণ অভিযানে গেলে প্রায় ২৪ জন মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। এখন দেখার বিষয় বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও কি পথে নামবে নাকি চোখবুঁজে সব কিছু সহ্য করবে...Read More
হাওড়া শহরের স্থানীয় অনেক মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের অংশ 'ডুমুরজলা'। তাই অনেকে ডুমুরজলাকে হাওড়ার ফুসফুসও বলে থাকে।আজ ডুমুর জলা ধ্বংসের পথে।আর সেই জন্যই শহরের নাগরিকদের একমাত্র ফুসফুস্ 'ডুমুরজলা'-কে বাঁচানোর দাবিতে সাধারণ নাগরিকদের পক্ষ থেকে গঠিত 'সেভ ডুমুরজলা জয়েন্ট ফোরাম'। তারা ২৮ শে জানুয়ারী সকালে ডুমুরজলা বাস্কেটবল মাঠের সামনে থেকে প্রচার অভিযান শুরু করে। বিভিন্ন পথ অতিক্রম করে হাওড়া ময়দানে এই অভিযান ঐ দিনের মতো শেষ হয়। রাজনীতি, ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই এই অভিযানে হওয়ার আহ্বান জানায় 'সেভ ডুমুরজলা জয়েন্ট ফোরাম'। অভিযানে উপস্থিত বক্তারা ডুমুরজলার প্রাকৃতিক পরিবেশ, খেলাধূলার পরিবেশ ও গরিব মানুষের বাসস্থান ধ্বংসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং হাওড়া শহরের নাগরিকদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার অধিকারের দাবিতে বক্তব্য তুলে ধরেন। শিশুরাও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার দাবি জানায়। সাথে সাথে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগানো এবং লিফলেট বিলি করা হয়। এই অভিযানে সকল শ্রেণীর নাগরিকদের আন্তরিক সমর্থন পাওয়া যায়। রাজ্য সরকার অনুমোদিত 'খেলনগরী' হবে প্রকৃতি ধ্বংস করে।অপরে দিকে এই প্রকৃতিই প্রায় ১৫ লক্ষ হাওড়াবাসীর ৬০ শতাংশ অক্সিজেনের যোগান দেয়।যেখানে গোটা পৃথিবীতে জুড়ে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে প্রকৃতি রক্ষার করার স্লোগান উঠছে।অন্য দিন বর্তমান রাজ্যের শাসক কংক্রিটের খেলনগরীতে করতে চাইছে।ঠিক সেই সময় খেলনগরীর প্রকল্প বন্ধ করে প্রকৃতি বাঁচানোর জন্য হাওড়ার অলিতে-গলিতে কিছু ছেলে-মেয়ে স্লোগান তুলছে ' ডুমুরজলা বাঁচাও'।Read More
দুঃখের বিষয়, স্বাধীন ভারতের স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাক্রমে যেকোন শ্রেণির পাঠ্যবইগুলোতে স্বাধীনতা সংগ্রামী মুসলিম নেতৃত্বের নাম দূরবীক্ষণ দিয়ে খুঁজতে হয়! পাঠ্য বই-এ শুধু মীর জাফরের নাম পাওয়া যায়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে পাঠ্যবইয়ের পাতায় জগত শেট, বাবু কৃষ্ণদেব, উমিচাঁদ, রায়দুর্লভ,কান্তমুদি, নন্দকুমার, গোবিন্দ সিং নাম খুঁজে পাওয়া যায় না। ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ এবং ১৮৫৭ থেকে ১৯৪৭ এর স্বাধীনতা পর্যন্ত যেসব মুসলিম বিপ্লবী নেতা নেত্রীদের জেল দীপান্তর ও ফাঁসি হয়েছে তাদের নাম স্কুল কলেজের পাঠ্য ইতিহাস বই-এ কৌশলে গোপন রাখা হয়েছে। ১৭৫৭ থেকে ১৮৫৭ এবং ১৮৫৭ থেকে ১৯৪৭ এর স্বাধীনতা পর্যন্ত যেসব মুসলিম বিপ্লবী নেতা নেত্রীদের অবদানের প্রকৃত ইতিহাস আড়াল করে রাখা হয়েছে। ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল অর্থাৎ ১৯০ বছরের সুদীর্ঘ মুসলিম আন্দোলনের জেলখাটা ও রক্ত দেওয়া কেমন করে বেমালুম নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হল সেটা ভয়াবহ বিস্ময়কর ব্যাপার।Read More
অবশেষে অসমের জোরহাটের বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছে 'বুল্লি বাই' অ্যাপ নির্মানের মাস্টারমাইন্ড ২০ বছরের নীরজ বিষ্ণোই। দিল্লি পুলিশের তথ্য প্রকাশ্যে আসতে খুলে যাচ্ছে একের পর এক রহস্য৷ জানা গেছে নীরজ ভীষণভাবে পর্ন আসক্ত। সম্পতি তার ল্যাপটপে ডাউনলোড করা হয়েছে প্রায় ১৫৩টি পর্ন ফিল্ম। এছাড়াও বিভিন্ন অশালীন, যৌনগন্ধী কনটেন্ট পাওয়া গেছে৷ সবচেয়ে আশ্চর্যজনকভাবে প্রকাশ্যে এসেছে বয়স্ক মুসলিম মহিলাদের প্রতি তার অস্বাভাবিক যৌন বাসনার কথা। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বয়স্ক মুসলিম নারীদের নিয়ে সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসির ব্যাপারে। এর আগে বুল্লি বাই-এর মতোই 'সুল্লি ডিলস' নামে ওয়েবসাইট খোলা হয়েছিল। যেখানে প্রতিবাদী মুসলিম মহিলাদের ভার্চুয়াল নিলাম করার জন্য তাদের ছবি পোস্ট করার ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল৷ তাতেও নীরজের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে৷ 'ধন্যি ছেলের অধ্যবসায়!' মাত্র ১৫ বছর বয়সে ভার্চুয়াল দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় নীরজের। তারপর প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে কর্মকাণ্ডের জাল বিস্তৃত করতে থাকে৷ বোন স্কুলে অ্যাডমিশন না পাওয়ার ‘বদলা’ নিতে মাত্র ১৬ বছর বয়সে সেই স্কুলের ওয়েবসাইট হ্যাক করে। সে যাত্রায় নিস্তার পেলেও ক্রমশ তৈরি হতে থাকে একজন সাইবার অপরাধীর ভিত৷ চলতে থাকে নানান পরীক্ষা। কুকীর্তিকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস৷ যার বর্তমান রূপ পুলিশের জালে ধরা পড়া নীরজ বিষ্ণোই৷ Read More
২৫ জানুয়ারী কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রতিনিধিদল দেউচা পাচামী সংলগ্ন এলাকায় যায়। আন্দোলনকারী আদিবাসীদের সাথে সাক্ষাৎ করে। দেওয়ানগঞ্জ, হরিনসিঙা প্রভৃতি গ্রাম থেকে আসা উপস্থিত আদিবাসীরা জোরের সাথে জানায় জমি জীবিকা পরিবেশ ধ্বংসকারী কয়লা খনি চাই না। জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে তথাকথিত "সম্মতি"-র প্রশ্নে তাঁরা বলেন যে এ বিষয়ে সরকার প্রশাসন সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করছে। কিছু সামাজিক নেতার মাধ্যমে মিথ্যা কথা বলে সই করিয়ে বড় ধরণের প্রতারণা চালাচ্ছে সরকার এখানকার অধিকাংশ নিরক্ষর মানুষদের সাথে। তাঁরা আরও বলেন, আমরা নিজেদের জমি চাষ করে জীবনধারণ করবো। জমি হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হতে চাই না। তাই কয়লা খনি চাই না। এই এলাকায় চাষাবাদ হয় না বলে একটা মিথ্যা প্রচার করা হয়ে থাকে। তাহলে আমরা বেঁচে আছি কি করে? এখানে অনেক জমিতে বছরে দু'বার চাষ হয়। Read More
কোয়েল সাহা আম জাম কাঁঠালে, রোদ ছায়া ঘেরা বাগান। ইংরেজীতে স্পেস। যে স্পেস নাম ও পরিচিতিতে B 1 253। কল্যানী নদীয়াতে। নিরব-নির্জন শীত চাদর মুড়ে থাকা স্পেসে শহর পাড়া গাঁয়ের জনা তিরিশেক মানুষ এসে জুটেছিলেন ১৬/০১/২০২২। উদ্দেশ্য একটাই তর্ক-বই-বাজনা-খাবার-নাচ-গান-ছবি-নাটক প্রতিটি মাধ্যমের মধ্যেকার ছোট ছোট অদৃশ্য পাঁচিল গুলো ভেঙে সমতার যাতায়াত ও পরিসর তৈরী করা। মহামারীর নিদানে নির্জনে ঘুমিয়ে থাকা চেতনাকে উসকে দেওয়া। যেমন মহামারীর প্রকোপে মানুষ ঘর বন্দি তখন নিবেদিতা দ্বৈপায়ন বন্দি না হয়ে থিয়েটারের মালমশলা মগজ আর ঝোলায় পুড়ে বেড়িয়ে পড়েন গোটা বাংলার এপাড়া সেপাড়া গলির মোড়ে। পিয়ালী ঠিক তেমনি নিজেকে দিয়েছেন গানের তালিম। সেই তালিম দেওয়া গান হাওড়া জেলার, ঘরের ফাঁক ফোকড়ে আটকে না রেখে পরের পর জেলা টপকে চলে এসেছ, সুদূর ইতালি ভাষার সুরে স্বপ্ন বোনার ইঙ্গিত নিয়ে। সৃজনী ও সুতপা রবীন্দ্র গান, সলীল বাবুর গণ সঙ্গীতের কথায় ও সুরে সময়টাকে আরও স্পষ্ট করে দিলেন। সময় কেবল মহামারীতে আটকে পড়া শোক স্তব্ধতা নয়। এ দেশের কৃষক সমাজ দেখিয়েছেন সংঙ্কল্প-সংঘর্ষ-সেবা। হার না মানা দাবি নিয়ে কৃষক আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ দেশ বাসিকে জুগিয়েছে ভরসা। ভরসার কম্পাঙ্ক আমাদের আকাক্ষার জোয়ার হয়ে বিনা বাক্যে মেনে নেওয়া মানিয়ে নেওয়ার পরিধিকে খন্ডন করে চেতনার পরিসরকে করেছে তীব্র। এ প্রসঙ্গে সুচেতনার স্পেস রাজনীতির বক্তব্য আর এক সতন্ত্র দিক নির্দেশ করল। আলোচনার আর এক পিঠে সমীর সাহা পোদ্দার সমকালকে স্পষ্ট উচ্চারণ করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও শঙ্খ ঘোষের কবিতা পাঠের মধ্যে দিয়ে। বহুবচন প্রকাশনি তার পুস্তক ভান্ডার। দিল্লির কৃষক আন্দোলন, কাঁকিনাড়ার দাঙ্গা বিদ্ধস্ত উচ্ছেদ সময়ের দলিল হয়ে উঠে আসা সন্দীপের ফটোগ্রাফি। ছবি ও বই এর অকপট স্বীকার উক্তি মাধ্যম হিসাবে আলাদা হলেও সময়ের বৃত্তে ছুঁয়ে থাকা চেতনাকে শানিয়ে রাখার মন্ত্র। ২ থেকে ৫ টার ব্যবধানে প্রতিটি মাধ্যম একক প্রতিনিধি না হয়ে যৌথ ধ্বনি হয়ে ওঠার প্রচেষ্ঠা জারি রাখে। সেই জারি থাকা প্রচেষ্টা নিয়ে ভেদ ভাগের ছুৎমার্গকে দূরে সরিয়ে প্রতি মাসের একটা রবিবার এই উদ্দেশ্য পূর্তির দিন হিসাবে পালন করবে Read More