• March 22, 2023

Category :

আসাম

জন্মভূমির বর্ণ-পরচয়

জন্মভূমির বর্ণ-পরচয় তানিয়া লস্কর একটি ভূভাগ যার নাম আসাম। সেখানে দুটি ভাষা বাংলা এবং অসমিয়া। তাদের সম্পর্ক কোন এক কিংবা একাধিক ঐতিহাসিক কারণে রূপকথার সুয়োরাণী-দুয়োরাণীর মতো। সেই স্বাধীনত্তোর কাল থেকেই সম্মূখ সমরে দাঁড়িয়ে আছেন দুটি ভাষাগোষ্ঠীর লোক। এর মাঝখানে হারাদন-রংমন ইত্যাদি নানা আপত সেকুলার বাণি আওড়ানো হয় যদিও। তবে আসল সত্যটি হলো সেই ১৮ শতকের শেষ দশক থেকে বাঙালিরা চক্ষশূল হয়ে আছেন অসমে। স্বাধীনতার সময় থেকেই 'অসম শুধু অসমিয়াদের জন্য' ধরনের গর্জন শুণতে হয়েছে। এর দু-দশক যেতে না যেতেই ১৯৬১ সালে অসমিয়া ভাষাকে একমাত্র দাপ্তরিক ভাষা করার ফরমান জারী হয়। এর প্রতিবাদে আমজনতা রাস্তায় নেমে এলে শিলচর রেলষ্টেশনে গুলি চলে। ১১টি তাজা প্রাণের আত্মাহুতির বদলে বাংলার প্রানপ্রতিষ্টা হয় আসামে। এরপর ১৯৭২ এ যগন-যিশু। ১৯৮৬ তে বাচ্চু চক্রবর্তী। প্রতি দশকে বাঙালিকে এক একবার শহীদ হতে হয়েছে। দগদগে ঘা এ ভরা অসমে বাঙালির আত্মপরিচয় গাঁথা। সার্কুলার যুগের পর শুরু হয় আইন আর জাজমেন্টের যুগ।এনারসি-ডিভোটার-ডিটেনশন। ৯০ এর দশক থেকে রাস্তা ছেড়ে কোর্ট কাছারিতে কাঁটা-ছেড়া হতে হচ্চে আমাদের। । আক্রমণ আজও অব্যাহত। তবুও লড়ে যাচ্ছেন মানুষ। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেই অসম লড়াইয়ে কার ভূমিকা কি? Read More

দেশপশ্চিমবঙ্গ

AYUSH, শল্যতন্ত্র এবং আয়ুর্বেদ – সার্জারির নতুন ধরন

AYUSH, শল্যতন্ত্র এবং আয়ুর্বেদ – সার্জারির নতুন ধরন ডঃ জয়ন্ত ভট্টাচার্য ১৯ নভেম্বর, ২০২০-তে ভারত সরকারের সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান মেডিসিন (CCIM)–এর তরফে একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় “P.G. Regulation (Ayurved)” (যদিও শব্দটি Ayurved নয়, Ayurveda)। অল্প কথায় বললে যারা আয়ুর্বেদ নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে তাদের মধ্যে যারা “শল্যতন্ত্র” নিয়ে পড়েছে তারা মোট ৩৭ রকমের সার্জারি করতে পারবে। এর মধ্যে অনেকগুলো “মেজর সার্জারি”ও আছে। আর যারা “শালক্যতন্ত্র” নিয়ে স্নাতকোত্তর হবে তারা চোখ, ইএনটি, মুখ, দাঁত সংক্রান্ত চিকিৎসা করতে পারবে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর ডাকে এর প্রতিবাদে মডার্ন মেডিসিনের প্রশিক্ষিত চিকিৎসকেরা ১১ ডিসেম্বর, ২০২০, সারা ভারতে কোভিড-১৯-আক্রান্ত রোগী ছাড়া অন্য সমস্ত রোগী দেখা বন্ধ রাখেন। আয়ুর্বেদের “শল্যতন্ত্র” কি মডার্ন মেডিসিনের সার্জারির সমার্থক? লকডাউন এবং করোনা সংক্রমণে পর্যুদস্ত ভারতের জনসমাজে চুপিসারে কেন এরকম গেজেট নোটিফিকেশন বেরোয় (যেমন পাস হয় নতুন কৃষি বিল ইত্যাদি)? এই গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী যারা শল্যতন্ত্র নিয়ে এমএস করবে তারা গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্ত সার্জারি করতে পারবে সেগুলো এরকম – “25. Foreign body removal from stomach. Pyloromyotomy. 26. Use of Read More

বিদেশ

লুসাই নৃ-গোষ্ঠী

লুসাই নৃ-গোষ্ঠী মেঘের রাজ্য সাজেকের সবচেয়ে বৈচিত্রময় সৌন্দর্য হচ্ছে লুসাইগ্রাম। এই গ্রামের সৌন্দর্যে মুগ্ধতা আসবেই।পাহাড়ি সৌন্দর্যের সাজেক রাঙ্গামাটি জেলার একেবারে উত্তরে মিজোরাম সিমান্তে অবস্থিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন হচ্ছে সাজেক। আয়তন প্রায় ৭০২ বর্গমাইল। সাজেকের উত্তরে ভারতের ত্রিপুড়া, দক্ষিণে রাঙ্গামাটির লংগদু, পূর্বে ভারতের মিজোরাম ও পশ্চিমে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলা অবস্থিত। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উচ্চতার সাজেক ভ্যালি প্রাকৃতিক ভূ-স্বর্গ হিসেবে সকলের কাছে সমাদৃত। প্রকৃতি এখানে সকাল বিকাল রঙ বদলায়। মন যা চায় প্রকৃতি যেন সেইভাবেই উপস্থাপন হয়। সারি সারি পাহাড় আর পাহাড়ের গায়ে মেঘের চাদর দেখে যেকোনো বিষন্ন মন সৃষ্টির সৌন্দর্যে মেতে উঠে।নৈস্বর্গিক সাজেক ভ্যালিকে রাঙামাটির ছাদ বলা হয়। কর্ণফুলী নদীর উদ্ভূত সাজেক নদী থেকেই সাজেক ভ্যালির নাম এসেছে। সাজেকের কংলাক পাহাড় থেকে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা যায় এবং হিলভিউ রুম থেকে সুউচ্চ সবুজের সমারোহ উপভোগ করা যায়। সাজেকে বাঁশের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী মানুষেরা তাঁদের বাড়িঘর বাঁশের মাচানের উপর তৈরি করে বসবাস করে। পর্যটকদের থাকার ঘরগুলো বাঁশের মাচান দিয়ে তৈরি। পাহাড়ের গায়ে তৈরি করা এই ঘরগুলো যেন পাহাড়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে বহুগুণ।Read More

খেলাপশ্চিমবঙ্গ

১৯৪৩ সালে আইএফএ-এর অনুমোদনলাভ করে ইস্পাত নগরীর এই ক্লাব

১৯৪৩ সালে আইএফএ-এর অনুমোদন লাভ করে ইস্পাত নগরীর এই ক্লাব দূর্বাদল চট্টোপাধ্যায় সত্তরের দশকে আইএফএ শীল্ড প্রতিযোগিতার পুল ম্যাচের একটি খেলায় পরিপূর্ণ ক্রীডাঙ্গনের দর্শকাসন। টানটান উত্তেজনামূলক খেলায় একদিকে ক্রীড়াঙ্গন থেকে ভেসে আসছে দর্শকদের চীৎকার। অপরদিকে টিকিট সংগ্রহে ব্যর্থ হয়ে খেলার চূড়ান্ত ফলাফল জানতে কয়েক শত ফুটবলপ্রেমী উদ্বিগ্নতার সঙ্গে অপেক্ষারত ক্রীড়াঙ্গনের বাইরে । তারা সকলেই ক্রীড়াঙ্গনের লাউড স্পীকারের মাধ্যমে আকাশবাণী কলকাতা কর্তৃক সরাসরি সম্প্রচারিত বাংলা ধারাভাষ্য শুনছেন। এহেন ঘটনা কলকাতা শহরের কোন ক্রীড়াঙ্গনে নয়। ১৯৭৩ সালে আইএফএ শীল্ডের এই খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিল্পাঞ্চলের অতি পরিচিত বিউসি’র বার্নপুর স্টেডিয়ামে। সেদিনের খেলায় দুই অংশগ্রহণকারী দল ছিল বার্নপুর ইউনাইটেড ক্লাব (বিউসি) বনাম কলকাতার এরিয়ান্স। খেলায় বেতার ধারাভাষ্য দিয়েছিলেন বিখ্যাত বাংলা ধারাভাষ্যকার অজয় বসু। উল্লেখ্য, সে বছরই আইএফএ শীল্ডের কয়েকটি পুল ম্যাচের জন্য মনোনীত হয় বিউসি’র নিজস্ব বার্নপুর স্টেডিয়াম। পুল ম্যাচে কালীঘাট, ওয়ারি, ইউপি-১১ ও এরিয়ান্সের মতন শক্তিশালী দলকে পরাজিত করে পুল চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল বিউসি। পশ্চিম বর্ধমান জেলার বার্নপুর ইউনাইটেড ক্লাব এক উল্লেখযোগ্য ক্রীড়াকেন্দ্র। ইস্পাতনগরী বার্নপুরের এই ক্লাব বিউসি নামেই বেশি পরিচিত। ইস্কো ও স্টীল কর্পোরেশন অফ্ বেঙ্গলের পৃষ্ঠপোষকতায় বিউসি স্থাপন হয় ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। ইস্কোর আন্তঃ বিভাগীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও রাউটলেজ শীল্ড টুর্নামেন্ট আয়োজনের মাধ্যমে বিউসি’র ক্রীড়া কর্মসূচী শুরু । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাউটলেজ একজন ব্যক্তির নাম। তিনি একসময় ‘স্টীল কর্পোরেশন অফ বেঙ্গল’-এর সঙ্গে যুক্ত ‘মেসার্স ইন্টারন্যাশানাল কোম্পানি’র চীফ রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের পদে নিযুক্ত ছিলেন। রৌপ্য দ্বারা নির্মিত শীল্ডটি তাঁরই দান করা ছিল। Read More

পশ্চিমবঙ্গ

উন্নয়নের কয়লা খনি ও প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস-এক ছাত্রের চোখে।

উন্নয়ন এর মানে যদি হয় শিল্পের নামে খনি বা বড় বাঁধ তৈরি করে আদিবাসী, সংখ্যালঘু এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা থেকে উচ্ছেদ করা আর পরিবেশ দূষণ বাড়ানো বা জলবায়ু পরিবর্তনকে আরো দুর্বিষহ করা, তবে সেই উন্নয়ন আমরা চাই না। আর বস্তিবাসী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে, জলাভূমি বুজিয়ে শহরে বড় বড় বহুতল , শপিংমল নির্মাণ বা গাছ কেটে, নয়নজুলি বুঝিয়ে রাস্তা চওড়া, ফ্লাইওভার তৈরি যদি উন্নয়নের সংজ্ঞা হয়, তবে প্রকৃতি ও মানব বিরোধী সেই উন্নয়নেরও আমরা বিরোধী। তথাকথিত এই উন্নয়নের থেকে আসলে লাভবান হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলির ছত্রছায়ায় থাকা নেতা-বাবু-ঠিকাদার-মাফিয়া ও পুঁজিপতি তথা কর্পোরেট কোম্পানিগুলি।Read More

দেশ

সুপ্রিম কোর্টের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিক্রিয়া

সুপ্রিম কোর্টের সিডিশন আইনের ওপর স্থগিতাদেশ নিয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিক্রিয়াRead More

আসামদেশ

জোর যার মুলুক তার

এই মাত্র খবরটা পেলাম। শুনেই জানি না কেন চিৎকার করে উঠলাম। সেই সাথে টের পেলাম চোখে জল আটকানো যাচ্ছে না। না না দুঃখে নয়, রাগেও নয়, ঘেন্নায়, নিজের উপর ঘেন্নায়। দাঁতগুলো কিড়মিড়িয়ে উঠলো যেন। নিজেকে ভীষণ অসহায় মনে হচ্ছে। ছেলে বলছে মা ভাতটা মেখে খাইয়ে দাও । তার উপরেও খিঁচিয়ে উঠলাম। না খেলেও হবে। আজ থেকে অনেকেই উপোস থাকবে। একদিন না খেলেও হবে। বলছি আর পড়াশোনা না করলেও হবে । ছেলে নিজেই মুখ ফুলিয়ে ভাত খেলো। ঘুম থেকে উঠেই খবরটা ছেলের বাবার থেকেই পাওয়া, বলছিলো- দেখো পুরো আসাম থেকে জেসিবি এসেছে হুঁহুঁ প্রায় ২০০টা ভাবতে পারো। হ্যাঁ বিষয় ডলু চা বাগান। শুধু চা বাগান নয়, বিষয় সেখানে বসবাসরত প্রায় দু-তিন হাজার মানুষ, চা বাগানটাকে যারা গত ১০০ বছর ধরে সিঞ্চন করে সবুজ করে রেখেছে নিজেদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমে একবেলা আধপেটা খেয়ে। বিষয় পরিবেশ, বিষয় উচ্ছেদ, বিষয় হিন্দু রাষ্ট্র, বিষয় হিন্দু মুসলমান, বিষয় আমাদের তোষামোদি, বিষয় সুশীল সমাজ, বিষয় বরাকের কবি সাহিত্যিকদের নির্লিপ্ততা, বিষয় আমি নিজেও। কেন জানি না টাইটানিকের ডোবার দৃশ্যটা মনে পড়ছে। হুড়হুড় করে জল ঢুকছে। সেই টাইটানিক যে জাহাজ নির্মাণের পর বলা হয়েছিল এ নাকি কখনো ডুববে না, এতটাই মজবুত করে বানানো হয়েRead More

বিদেশ

চীন-পাকিস্তান সংযোগকারী ঐতিহাসিক সেতুর সলিল সমাধি বনাম জলবায়ু পরিবর্তন

চীন-পাকিস্তান সংযোগকারী ঐতিহাসিক সেতুর সলিল সমাধি বনাম জলবায়ু পরিবর্তন। সন্তোষ সেন।। গত ৭ই মে, ২০২২ চীন-পাকিস্তান সংযোগকারী একটি ঐতিহাসিক ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে পড়ল, তলিয়ে গেল জলের তলায়। পাকিস্তানের কারাকোরাম হাইওয়ের সন্নিকটে চীনের সাথে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক এই ব্রীজটির নাম 'হাসানাবাদ সেতু'। ব্রীজটির ভেঙ্গে পড়ার কারণ সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তা হলো– এপ্রিল মাস জুড়ে পাকিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ওখানকার গড় স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে আট থেকে দশ ডিগ্রি বেশি। অত্যধিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং তাপপ্রবাহের কারণে একটি বিশাল আকারের বরফের পাহাড় (Shisper glacier) সম্পূর্ণরূপে গলে যায়, যার ফলে নদীতে প্রবল জলস্ফীতি ভাসিয়ে নিয়ে গেল এই ব্রীজকে। বাজারী সংবাদপত্রে এইসব হাড়হিম করা খবর আমরা দেখতে পাব না তা নিশ্চিত। কিন্তু বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্রীজটির ধ্বংসসাধনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে প্রচুর মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে তাদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো থেকে জানা যাচ্ছে – প্রবল জলস্রোতের কারণে সেতুর সাথে সাথে দুটি জল-বিদ্যুৎ কেন্দ্র, প্রচুর বাড়ি, আবাসন, প্রশাসনিক ভবনও জলের তলায় তলিয়ে গেছে। আসলে এসবই মনুষ্যসৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগ-ঘনঘটা, বলা ভালো প্রকৃতির মধুর প্রতিশোধ। বিগত কয়েক দশক ধরে নির্বিচারে অরণ্য ধ্বংস, সবুজ বনানী নিধন এবং জীবাশ্ম জ্বালানির অপরিমিত ব্যবহারের কারণে ভূউষ্ণায়ন, তীব্র তাপপ্রবাহ এবং এসবের হাত ধরে অস্বাভাবিকহারে মেরু বরফের গলন বেড়েই চলেছে। তথাকথিত ছিন্নমস্তা উন্নয়ন, নগরায়ন এবং সভ্যতার (!) রথের চাকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেভাবে প্রকৃতির নিষ্পেষণ, অত্যাচার ও লুঠ বেড়েই চলছে, তারই বদলা নিচ্ছে এবার প্রকৃতি-মা। Read More

পশ্চিমবঙ্গ

‘প্রিয় শুধু ‘হাসিবার ‘ দিন নয় অদ্য’

‘প্রিয় শুধু ‘হাসিবার ‘ দিন নয় অদ্য’ ত মো জি ৎ রা য় বাংলা ভাষা মোটামুটি ১৩০০ বছরের পুরনো। ‘ উচা উচা পাবত তই বসই শবরী বালি’ থেকে যার পথ চলা শুরু। তারপর, ‘ ‘ কোন মুখে তুমি আমার মৈচ্ছ খাইবা’ র পথ পেরিয়ে ‘ আলালের ঘরের দুলাল‘ এ ভাষা বিদ্যা সাগর মশাইয়ের হাতে সাবালক হয়। হুতুম ভাষায় আনেন মজাদার সব নকশা। তারপর তো জোড়াসাঁকোর জমিদারের আবাদ । ক্রমে ভাষার ‘ দ্বিধা থরথর চূড়ে’ নির্মিত হয় কত ‘ অমরাবতী’ , ‘ হৃদয়ের পুরোনো খাপে কখন ও জং ধরে কখন ও আবার ভেসে যায় ‘ অলকানন্দা জলে’। এ ভাষাতেই ‘ স্বপন দোলার’ নাচন জাগে , শৈশব এর আকাশে উড়ে যায় ‘ হলদে পাখির পালক’ – ব্যাঙগমা –“ ব্যাংগমি বলে – নীল কন্ঠ পাখির পালকের গল্প। আমাদের সব ‘পথের পাঁচালি’ যেন ‘ হাসুলির বাঁক হয়ে পৌঁছে যায় ‘তিস্তা পাড়ের বৃত্তান্তে’। ‘মধু সাধু খাঁ’র সাম্পান ভাসে‘ রূপসী বাংলা’ র গাঙ্গুরের জলে। এ ভাষাই ‘ বাষ্পের বেগে স্টিমারের মতো চলে, ভিসুভিয়াস হয়ে ফেটে পড়ে হাংরি কলকাতার বুকে। কত ‘যমুনাবতী বাসর রচে বারুদ বুকে নিয়ে’। ,’ বিদ্রোহী রন ক্লান্ত ভাষা ‘ জনতার মুখরিত সখ্যে ‘ মিছিলে প্রতিবাদে রক্তাক্ত হয় , ‘ প্রেমিকার ঠোঁট, আর নিশানের লাল ‘ একাকার হয়ে যায় ‘ স্লোগানে স্লোগানে’। Read More

পশ্চিমবঙ্গ

নিজ অনুপ্রেরণায় নিজেই পুরস্কৃত

নিজ অনুপ্রেরণায় নিজেই পুরস্কৃত              চন্দ্রপ্রকাশ সরকার    গ্রামবাংলায় প্রচলিত একটি শ্লেষাত্মক লোককথা এইরকম -- "আপনি রাঁধি, আপনি খাই, আপন হাতের বলিহারি যাই!" আরো একটি ছোট্ট তির্যক লোককথায় বলা হয় -- "আপন হাত জগন্নাথ!" মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা আকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্তির সংবাদসূত্রে এই দুটি লোককথা চটজলদি মনে পড়ল।     পুরস্কার সাধারণত প্রাপকের মান-মর্যাদা বৃদ্ধি করে, কিন্তু কখনো কখনো প্রাপকের যোগ্যতার প্রশ্নটি বড় হয়ে ওঠায় পুরস্কারের মান-মর্যাদাও খাটো হয়ে পড়ে। এমনই অনভিপ্রেত ঘটনা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর বাংলা আকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্তি। গত ২৫ শে বৈশাখ (৯মে,২০২২) কবিশ্রেষ্ঠ রবীন্দ্রনাথের ১৬২তম জন্মদিনের সরকারি স্মরণানুষ্ঠানে 'অক্লান্ত সাহিত্যসেবা'র স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে এই 'বিশেষ পুরস্কার'টি দেওয়া হয়েছে। তাঁর অনুপ্রেরণা ছাড়া যখন গাছের পাতাটিও নড়ে না, তখন অনুমান করা যায় তাঁর এই পুরস্কার প্রাপ্তিও তাঁরই অনুপ্রেরণায়! তবু তাঁর অন্ত:স্থলের কোথাও কি আপন যোগ্যতা সম্পর্কে কিঞ্চিৎ কুন্ঠা বা সংকোচ কাজ করেছে? নইলে অনুষ্ঠান-মঞ্চে নিজে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও এই পুরস্কারের ঘোষক বাংলা আকাদেমির সভাপতি তথা উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করতে গেলেন কেন! পুরস্কার প্রাপক মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী Read More