ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হলো নেতাজির ১২৫ তম জন্মবার্ষিকী

পূর্বাঞ্চল নিউজ ডেস্ক
আজ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু’র ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্ত-মঞ্চে অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচী পালন করেছে নেতাজি গবেষণা পর্ষদ- বাংলাদেশ। উক্ত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সাজিদ হাসান কামাল আহবায়ক, নেতাজি গবেষণা পর্ষদ। নুর জান্নাতুল মাওয়া ড্রথি, সদস্য সচিব, নেতাজি গবেষণা পর্ষদ।ড. মিলটন কুমার দেব সহকারী অধ্যাপক,ইতিহাস বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক শিক্ষার্থীবৃন্দ। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. মিলটন কুমার দেব বলেন- “নেতাজির ত্যাগ ও সেবার যে মহিমান্বিত রূপ তা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। অসহায় মানুষের মাঝে এমন ক্ষুদ্র আয়োজনেও অনেক তৃপ্তি আসে যখন নেতাজির আদর্শ অন্তরে লালন করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের মাঝে নেতাজির মতাদর্শ প্রতিষ্ঠায় যা করণীয় তাই করতে হবে। দেশ এবং মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে দেওয়ার মধ্যে জীবনের পূর্ণতা লাভ করা যায়। আজকের প্রজন্মের কাছে নেতাজির আদর্শ-বাণী পৌঁছে দেওয়াই হোক আমাদের প্রধান কর্তব্য।”
সাজিদ হাসান কামাল বলেন- “দেশসেবার যে আদর্শ-পথ তিনি তৈরি করেছেন, আমাদেরকে সেই পথে চলতে হবে। নেতাজি বলেছিলেন- ‘অনেকে দুঃখ করিয়া থাকেন, বাঙালি মাড়োয়ারি বা ভাটিয়া হলো না কেন? আমি কিন্তু প্রার্থনা করি, বাঙালি যেন চিরকাল বাঙালিই থাকে।’ নেতাজি সারাবিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন বাঙালির শক্তি। আমি বিশ্বাস করি, নেতাজির মতাদর্শ মোতাবেক যদি আমরা দেশসেবায় নিজেদেরকে পরিচালিত করতে পারি তাহলে দেশ ও বিশ্বের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।”
নূর জান্নাতুল মাওয়া ড্রথি বলেন, নেতাজী কে আজকের তরুন সমাজের আদর্শ আর চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে নিতে হবে। নেতাজীর নিজের লেখা বিষয়গুলো বেশি পাঠ করতে হবে। তিনি নেতাজীর তরুনদের স্বপ্ন এবং ভারত পথিক ( নেতাজীর অসমাপ্ত আত্মজীবনী) পড়ার প্রতি তরুনদের মনোযোগ দিতে বলেন। আজ যে ক্রান্তিকাল সময় পার হচ্ছে এখানে থেকে উত্তরণ করার বড় একটা পথ নেতাজীর আদর্শের পথ। যা আজকের তরুন সমাজ কে সঠিক লক্ষে পৌছে দিতে পারবে।