আদিবাসী আক্রোশ

ইতিহাসের প্রবাহে এমন কিছু ঘটনা ঘটে যায় যা ইতিহাসের ধারাকে পরিবর্তন করতে বাধ্য করায়, ঔপনিবেশিক শাসন তেমনই এক ঘটনা, এই শাসন পৃথিবীর বুকে নামিয়ে আনে নতুন কিছু নিয়ম যা শোষণের জন্যে খুলে দেয় নতুন পথ। নতুন কিছু রূপের পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যায় এই সময়ে। বণিক হয়ে ওঠে শাসক। জন্ম নেয় দুই নতুন শ্রেণীর। মালিক শ্রেণী ও শ্রমিক শ্রেণী। এই দুই শ্রেণীর মধ্যে শুরু হয় সংঘাত যা এখনো বর্তমান। তবে এই দুই শ্রেনীর সংঘাতের বাইরে এমন কিছু মানুষ এখনো আছেন যারা ইতিহাসে সবসময়ই নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। আধুনিকতা যাদের আধুনিক বলে স্বীকার করতে নারাজ, সেই আদিবাসীরাই আজ কিন্তু পৃথিবী জুড়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করছে। দেওচা – পাচামি থেকে শুরু করে মেক্সিকো পর্যন্ত সব জায়গাতেই আদিবাসী বিদ্রোহ লক্ষ্য করার মতো। গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি, একটি বিক্ষোভের সময় মেক্সিকোর আদিবাসী পরিষদের সদস্যরা মোরেলিয়ায় ফ্রে আন্তোনিও দে সান মিগুয়েলের মূর্তি ধ্বংস করে, যা ঔপনিবেশিক শাসনের চিহ্ন বহন করছিল। সেই চিহ্নকে চিরতরে মুছে দেওয়ার তাগিদেই তাদের এই পদক্ষেপ।
১৯৯৫ সালে পশ্চিম মিচোয়াকান রাজ্যের রাজধানী, মোরেলিয়াতে মূর্তিগুলি স্থাপন করার পর থেকে পুরেপেচারা মূর্তিগুলির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে আসছে এবং বারবার তাদের সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।মিচোয়াকানের সর্বোচ্চ আদিবাসী কাউন্সিল বলেছে যে, মূর্তিগুলি তাদের পূর্বপুরুষদের নৃশংস শোষণকে মহিমান্বিত করেছে।