মিজানুর রহমানের কবিতা

১.
আবর্তনের ভিতর
প্রতিদিন সকাল হলেই ঘুমিয়ে পড়ি বারবার,
কবরস্থ হই না ঝরে যাওয়া সবুজ পাতায়, জলহীন মরীচিকার শরীরে।
পিঁপড়ের মতো হেঁটে যাই আজরাইল এর পথে, বিচারহীন সমুদ্রে,
ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হতে চাইলে স্নানিত হই শতবার।
পুলসেরাত পেরোনোর সময় হয়নি বলে মাথার ভিতর বসন্ত মিশিয়ে যায়
আমি আবারো ফিরে আসি সোনালী মোড়ের চরকায়।
২.
সম্পর্ক
ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে নির্বাক সম্পর্ক গুলো
কখনো গাছের শরীরে আলো জ্বললে তাদের শরীরে বিশ্বযুদ্ধের আস্বাদ মেলে !
আমিও তিনটে গলি থেকে উঠে আসতে দেখছি সম্পর্কের ক্রোমোজোম,
যেখানে আলোকেই আগুন হিসেবে ধরা হয়।।
৩.
সরাইখানা
একটি দরজা বন্ধ না হতে খুলে যায় আরেক সমুদ্র,
খামচে ধরে ত্বক যেন নিশির চড়ক আমি।
সন্দিগ্ধ প্রলাপ ছিঁড়তে ছিঁড়তে পেরিয়ে যায় হাজার বিকেল…
ফুরিয়ে গেলে সমস্ত ভৌম জল
আমি হই ক্লান্ত রাত সরাইখানা ।
গভীর রাতে জানালা খুলে উকি মেরে দেখতে পাই কখনও দুধেসর, কখনও বা জীবন্ত সাপ
তবুও কিনে ফিরি প্রসঙ্গহীন মাছের গন্ধ !
এভাবেই চড়াই, শালিকেরা কেঁদে যায়, আর থেঁতলে দেয় ত্বক !
তবুও তো রক্ত দিই কারণ আমি গাছ হতে ভালোবাসি।।