ঋত্বিকা দাসের কবিতা

ঋত্বিকা দাসের কবিতা
আয়ুরেখা
নিমেষের দূরত্ব পেড়িয়ে সৃষ্টির অক্লান্ত অভিজান,শাশ্বত চেতনায় নব আগন্তুকের আগমন।অন্তিম প্রভাতে আমি স্বপ্ন দেখি এক রক্তিম পৃথিবীর!
মৃত্যুর শীতল স্পর্শে জীবনের উষ্ণতা খুঁজি বরাবর,স্বচ্ছ প্রত্যাশায় নিশিযাপন।জীবন্ত অভিধানে পতিত আয়ুরেখার গতিপথ ।
ক্লান্ত বিহ্বলতায় স্মৃতির হাতছানি,
যৌবন সমাধিস্থ নিমগ্ন আঁধারের বিলুপ্ত ইতিহাসে ।তবু সভ্যতা গড়েছি অতি সন্তর্পনে,আঁস্তাকুড়ের অপসৃত সম্পদ দ্বারা । শব্দবিন্যাসে পরজন্মের সমীকরণ ।অহমিকার মরীচিকায় নিরুদ্দেশ শিল্পসাধনা, কালের গর্ভে চেয়ে আছে ভবিষ্যতের স্ফুলিঙ্গ ।
সমাহিত হৃদয়ে মুক্তির আহ্বান খোজে সময়চক্রে আবদ্ধ মহাযজ্ঞের নৈবেদ্য।
বিবর্তন
মনে রেখ ঐ স্মৃতির পাতায় জীর্ণ সঙ্কলিত বিবর্তনের ইতিহাস,শত অনাদর অবহেলায় আজও অম্লান বিবর্ণ সম্পর্কের রূপরেখা।নিশ্চল দূরত্বে ভেসে আসে শব্দবিমুখ হৃদস্পন্দন! রঙীন নবপ্রভাতে বসন্তের মৃদুআলাপ অজ্ঞতার প্রাচীরে আবদ্ধ পৃথিবী,উন্মুক্ত রাষ্ট্রব্যবস্থায় সভ্য-অসভ্যের ঘোর ব্যবধান! চেয়ে দেখো সমাজ, মৌলবাদী ষড়যন্ত্রে মুখ ঢেকেছে ধর্ম । দূর আত্রেয়ীর চড়ে পাশবিকতার বিষাক্ত পদচিন্হ,বিভাজনের ইতিহাস জুড়ে রক্ত-নিশ্বাস! প্লাবিত জোয়ারের অন্তিম কাষ্ঠদণ্ডটুকু আগলে নতুনের আহ্বান ।শেষ স্বপ্নগুলি বেচে থাক নবজন্মের অপেক্ষায় ।
” আবারও সৃষ্টি হবে প্রাণবায়ু প্রকৃতির অমোঘ পরিশ্রমে।”
ভারসাম্য
অর্থের অনুপাতে প্রেম সদা মলিন,সুধাময়
কংক্রিট শহরে আবেগের ভারসাম্য দোদুল্যমান। অসম সম্পর্কের নান্দনিক বোঝাপড়া দাম্পত্যের শিল্পশৈলী, মস্তিষ্ককোষে সঞ্চিত অজস্র স্মৃতিখণ্ড প্রেম আশ্রিত ।
নিষিদ্ধ অঙ্গীকার অড্রিনালিন ক্ষরনের নিমিত্ত, নিসর্গের নিকট আত্মতৃপ্তির শীৎকার।শরীরি অন্তঃস্থলে পতিত হৃদয়ের নিষ্ঠুর প্রতিফলন। জলস্রোতের বিভাজনে নির্বাসিত অনাকাঙ্খিত অতীত, অচেনা সজ্জায় চেনা হৃদয়ের সন্ধানে।নীরবে থাক প্রেমটুকু অদৃষ্টের বানভাসি ঊষর গহ্বরে ।