কিচিরমিচির কিচিরমিচির আয় আমরা নাটক শিখি

কিচিরমিচির কিচিরমিচির আয় আমরা নাটক শিখি
শিপ্রা মুখার্জি(নাট্যকর্মী)
কেমন আছো শালিক পাখি বন্ধুরা! কিচির মিচির কিচির মিচির। ভালো নেই ভালো নেই। বন্ধুরা সব স্কুলে। প্রিয় দিদিমুণির গায়ের গন্ধ নেই। নেই নেই নেই। সবাই কেমন দূরে দূরে। মাঠে বসা নেই, গাছে গাছে ওড়া নেই।
এই নেই থেকেই শুরু একসাথে থাকার কিচির মিচির করার ক্লাস আয় নাটক শিখি। আসলে কিছুই শেখার নেই শুধু বন্ধুদের সঙ্গে উড়ে উড়ে গল্প করা। আমরা শুধু চেয়েছিলাম এই গল্পের পরিস্থিতি তৈরি করে দিতে। যদিও অনলাইনে তবু পরাণ খুলে খিলখিল করে ওঠার পরিসর খুলে দেওয়া।
রূপতাপস চেয়েছিল এই লক ডাউনে একটা অন্য রকম প্লাটফর্ম সেখানে না আছে ভুল ঠিকের মানে না আছে বাধ্যবাধকতা। শুধু যে যার কথা ভাগ করে নেবে গল্প ও আড্ডার ছলে।
প্রতি রবিবার বিকেল ৪টে আমরা কিচির মিচির করে জড়ো হবো অনলাইনেই। এই দিন নানা বয়সের বাচ্চারা বসবে ডালে ডালে। সেখানে নানা বয়সের বাচ্চারা বসবে গান শুনতে শোনাতে, মনের কথায় জড়িয়ে নিতে এক পাখি আরেক পাখিকে। কেউ ছোটো কেউ বা একটু বড়। তাতে কি আমাদের সমস্যাটা তো একটাই। মুক্তি নাই আর মুক্তি চাই।
শুরু হল আড্ডা, গান, ছড়া, গল্প, আর অনেক অনেক ওড়া উড়ি। কেউ কখন চাষি, কেউ ফেরিওয়ালা কেউ বা দোকানি সব নিজের চোখে দেখা না দেখার কথা বলা ও শোনা।
ক্লাসে মজা করতে করতেই শুনে নেওয়া হুঁকোমুখো হ্যাংলা। বানানো হলো তার লেজ, জেনে নেওয়া গেল নিজের নামের মানে, সাজলাম হল ব্যাঙ, ভিজলাম বৃষ্টিতে মনের আনন্দে।
আনন্দে মেতে উঠল এক ঘন্টা। আর অপেক্ষা আবার পরের রবিবারের ৪টের ঘন্টার।
এভাবেই চলছে গড়গড়িয়ে ক্লাস। চলুক। নাটকের হাত ধরে রূপতাপসের সদস্যরাও খুঁজে পেল মুক্তির আনন্দ।