• March 25, 2023

হিন্দুত্ববাদীদের দলিত কার্যসূচী সম্পর্কে দুএকটি কথা

 হিন্দুত্ববাদীদের দলিত কার্যসূচী সম্পর্কে দুএকটি কথা

তনিকা সরকার
(৩০ জুন ২০২১ হুল দিবসে একুশের ডাক গণকনভেনশনে ইতিহাসবিদ তনিকা সরকারের বক্তব্য)
একুশের ডাককে অনেক অভিনন্দন। কিন্তু এখানে কিছু বলার যোগ্যতা আমার একেবারেই নেই, কারণ আমি খুব সামান্যই কাজ করেছি দলিত আদিবাসী ইতিহাস নিয়ে। এই ইতিহাস নিয়ে অনেকেই কাজ করে এসেছেন কয়েক বছর ধরে, কিন্তু আক্ষেপের বিষয় হল বাঙ্গালির ইতিহাস চেতনা বা কোনও চেতনাতেই তার কোনও ছাপ পড়ে নি। আমরা যুগপুরুষ মহাপুরুষ মাহামানব মহামানবী যাদের বলে থাকি তাঁরা সবাই উচ্চকোটির উচ্চবর্ণের মানুষ, তাঁরা খুব একটা যে এই সমস্যাগুলো নিয়ে মাথা ঘামিয়েছেন তার সেরকম নিদর্শন আমরা দেখতে পাই না। যেমন ধরুন হুল হয়েছে এবং বিদ্যাসাগরের বিধবা বিবাহ আন্দোলন হয়েছে একদম এক সময়। অথচ দুটো যেন ভিন্ন ভিন্ন গ্রহের ঘটনা, দুটোর মধ্যে কোনও সংযোগ নেই।
অনেকেই হয়তো অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কিন্তু, দলিত আদিবাসী বর্গের নিজস্ব রাজনীতি, নিজস্ব প্রতিবাদকে এগিয়ে নিয়ে চলার কথা বলেননি বা সেই স্বাধীনতা তাঁরা দেননি। সে রবীন্দ্রনাথই হোন বা বিবেকানন্দই হোন বা অন্য যে কেউই হোন না কেন।
নিশ্চয়ই বামফ্রন্ট বা বাম রাজনীতি অনেক দলিত আদিবাসীকে সংঘর্ষে টেনে নিয়েছিল এবং বামফ্রন্টের নীতি তাঁদের অনেক উপকার করেছিলো। কিন্তু সেটা তাঁদের শ্রেণিভিত্তিক পরিচয়ের জন্য। তাঁদের আদিবাসী বা দলিত পরিচয়ের জন্য নয়। এবং তাঁদের সাংস্কৃতিক মর্যাদা দেওয়া এমনকি তাঁদের ন্যূনতম রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক অধিকারগুলিকে স্বীকার করার সেরকম দায়িত্ব তারা নেয়নি। তাঁদের শ্রেণি চরিত্রের পরিচয়টা অনেক বেশি বড় ছিল। দলিত বা আদিবাসী হিসেবে তাঁদের অবস্থান নিয়ে কোনও ভাবনা বড় বড় বামফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে আসে নি। এবং এখনও পর্যন্ত দেখা যায় যে ভারতবর্ষের অন্যান্য জায়গার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে উচ্চজাতের প্রাধান্য সবথেকে বেশি সবথেকে শক্তিশালী। এই বিশাল তাচ্ছিল্যের বিষময় ফল নিয়ে কিছু কথা বলে আমি আমার বক্তব্য শুরু করব।
সংঘ পরিবার এই তাচ্ছিল্য এই অবহেলা কীভাবে নিজেদের কাজে লাগাচ্ছে, যেসব প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান অর্গানাইজেশন এগুলোকে নিয়ে আগে এগিয়ে চলতে পারতেন তারা সেই প্রচেষ্টা করেননি বলে সংঘ পরিবার তার সুযোগটা কীভাবে নিচ্ছে?
এটা অবশ্যই স্বীকার্য যে এটা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় যে আদিবাসী বা দলিত সমাজের অবস্থার কোনও মৌলিক পরিবর্তন বা বদল সংঘ পরিবার একেবারেই চায় না। বরঞ্চ উল্টোটা। দলিতদের নিজস্ব প্রতিবাদ-রাজনীতি কোনওখানে হলেই তারা অত্যন্ত সুকঠোর হাতে তা দমন করে। এবং যে কেউ, যে কোনও মানুষ, তা সে উচ্চবর্ণেরই হোক বা নিম্নবর্ণেরই হোক, যদি সেগুলোর অনুমোদনে এগিয়ে যান তাহলে তাদের সঙ্গে সঙ্গে জেলে পুরে দেওয়া হয়, জেলের অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়। কিন্তু যেখানে তাঁরা আছেন সেখানেই তাঁদের যাতে রেখে দেওয়া যায় এবং সন্তুষ্টভাবেই রেখে দেওয়া যায় তা করতে সংঘ কয়েকটা খুব বিচিত্র অভিনব প্রক্রিয়া বার করেছে। সেগুলো সম্বন্ধে কিছু বলব।
কেমন করে দলিত আদিবাসীদের সংঘে টেনে নেওয়া যায়, তা নিয়ে সেই যবে থেকে গণতন্ত্র এসেছে আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর, তখন থেকেই সংঘ পরিবার চিন্তা করে আসছে। দ্বিতীয় সরসংঘ চালক গোলওয়ালকর তাঁর ‘উই অর আওয়ার নেশনহুড ডিফাইন্ড’ বইতে এ ব্যাপারে একরাশ প্র্যাক্টিকাল উপদেশ দিয়েছেন যা ভেবে দেখার মত। তিনি বলছেন বারবার এদের মধ্যে যাও, এদের সাথে লাগাতার কথা বল, বারবার তাদের স্পর্শ কর। এই স্পর্শ করার ব্যাপারটা উনি খুব গুরুত্ব দিচ্ছেন- তাদের আলিঙ্গন কর কথায় কথায়, তাদের লেখাপড়ায় সাহায্য কর, নিজেদের বাড়িতে অনবরত তাদের নেমন্তন্ন করে একসাথে একপাতে খেতে বস। বাড়ির মহিলাদের তিনি বলছেন, তোমার পাড়ায় কাছাকাছি যারা দলিত পরিবার আছে তাদের অন্তত একজন শিশু একজন মহিলাকে সামান্য লিখতে পড়তে শেখাও। সংঘের যুবকদের বলছেন তাদের মধ্যে গিয়ে বসবাস করে প্রাথমিক শিক্ষা চালু কর। এগুলো কিন্তু কথার কথা বা নিস্ফল উপদেশ নয়। পরের দিকে বনবাসী কল্যাণ আশ্রম বা সেবা ভারতী স্কুল এসবের ফসল, অথবা একল বিদ্যালয়। বেশিরভাগ সময় এইখানে সংঘ সেবকরা খুব কম মাইনে এমনকি বিনা মাইনেতে বছরের পর বছর কাজ করে যান একথা ভুললে চলবে না। এই বিপদটা যাতে আমরা ভালো করে বুঝতে পারি, তাচ্ছিল্য করে উড়িয়ে না দিই সেই জন্য এই কথা বলছি আমি। যে কাজটা প্রগতিশীলদের করা উচিত ছিল সে কাজটা তারা করেননি এবং সেই কাজটা এখন এদের হাতে চলে গেছে। এবং এর ফল এর প্রভাব একটা প্রকাণ্ড পড়ে। ভানোয়ার মেঘসিং বলে একজন দলিত ভদ্রলোক, মধ্যপ্রদেশের, তিনি এই সুযোগগুলো পেয়েছিলেন সংঘ পরিবারের কাছ থেকে এবং বহুদিন তিনি সংঘ পরিবারে নিষ্ঠাভরে সেবা করে গেছেন। তাঁকে লেখাপড়া শেখানো, তাঁর হস্টেলের ব্যবস্থা করা, তাঁর ভালো খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা, নানারকম, সংঘ পরিবার থেকে করা হত। এবং উনি প্রথমবার যখন বাবরি মসজিদে হানা দেওয়া হয় তার মধ্যে সামিল ছিলেন। সংঘের সমস্ত কাজ তিনি করতেন। একেবারে আকস্মিকভাবে তিনি আবিষ্কার করলেন একদিন যে সংঘের লোকের বাড়িতে গিয়ে সংঘীদের বাড়িতে গিয়ে তিনি খেতে পারেন, তাঁকে আদর করে খাওয়ানো হয়, কিন্তু তাঁর মা যদি ওদের নিমন্ত্রণ করেন নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে চান তাহলে সেই রান্না ওরা নানা ছুতোয় এড়িয়ে যায় এবং জোর করে কিছু করলে একটু দূরে গিয়ে সেটা কুকুরকে খাইয়ে দেয়। এবং এই আবিষ্কারটা না করলে উনি আজও ওখানে থেকে যেতেন, সংঘে থেকে যেতেন।
অবিভক্ত বাংলায় দলিত সম্প্রদায়ের একটা নিজস্ব ধর্ম ছিল, আমরা জানি, তা প্রচলিত ব্রাহ্মণ্য ধর্মের সম্পূর্ণ বিরোধী। দেশভাগের পর অধিকাংশ নমশূদ্র পুববাংলা থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন চাষবাস জমিজমা ছেড়ে দিয়ে। এই বাংলায় এসে তাঁদের অত্যন্ত লড়াই করে কোনও মতে টিঁকে থাকতে হয়েছিল। এখন, সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাচ্ছেন, আরএসএস-এর লোকেরা তাঁদের মধ্যে অল্পস্বল্প সাহায্যের হাত এগিয়ে দেন। যেমন সংরক্ষণ পেতে সাহায্য করা, ওই কাগজপত্রগুলো নিয়ে ডিল করা। এগুলোতে ওরা সাহায্য করে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে ন্যূনতম সাহায্যের বদলে তাঁদের বিষাক্ত সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অংশীদার করে তোলে। তাঁদের মনে দেশভাগের সেই পুরোনো বহু পুরোনো তিক্ত স্মৃতি খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আবার জাগিয়ে তোলে, খুঁচিয়ে ঘা করা যাকে বলে। অনবরত তাঁদের কানে ঢালতে থাকে, তোমাদের এই হয়েছিল ওই হয়েছিল, এবং অবশ্যই অনেক বেশি বাড়িয়ে বলেন। এবং এই করে করে একই সঙ্গে তাঁদের সাহায্যও করেন এবং তাঁদের নিজস্ব রাজনীতির মধ্যে টেনে আনেন। আমরা তো জানি মোদি বাংলাদেশে গিয়েও নমশূদ্র গুরুদের জন্মস্থানে মাথা ঠুকে এসেছেন, প্রতি নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতারা গিয়ে আম্বেদকরের মূর্তির সামনে মাথা ঠেকান। আমরা যখন প্রথম ১৯৯০ সালে বিজেপি অফিসে গিয়েছিলাম ইন্টারভিউ করতে তখন দেখেছিলাম অফিসে একটাই মাত্র ছবি রয়েছে, একটি ফোটোগ্রাফ, এবং সেটি আম্বেদকরের। এসব প্রতীকী রাজনীতি। এতে কারও খুব একটা কিছু আসে যায় না। এবং তখনই আসে যায়, যখন দলিত মানুষেরা নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে অবহিত হয়ে প্রবল প্রতিবাদ করেন। তখন তাঁদের কীভাবে কোনঠাসা করা হয় সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু, এই দুটোর মধ্যে একটা বিশাল জায়গা আছে সেখানে অনেকটা কাজ চলছে।
আদিবাসীদের জন্য অন্য নিয়ম। সাভারকর বলেছিলেন অনেকদিন আগেই, খুব ফ্র্যাঙ্কলি বলেছিলেন, আর্য সবর্ণ গোষ্ঠীর লোকেরা বাইরে থেকে এসে ভারতবর্ষ দখল করে, যারা আদিবাসী ছিলেন তাদের ক্রীতদাসে পরিণত করে। সেই ইতিহাস কিন্তু এখন নতুনভাবে লেখা হচ্ছে। এখন বলা হচ্ছে যে সবর্ণ আর্য এবং আদিবাসীদের উৎপত্তি একই সোর্স থেকে, এবং তাঁরা পরস্পরের আত্মীয়, তাঁরা এক পরিবারের লোক। এবং পরিবারের ভেতরে তো একটা বৈষম্য থাকেই, কেউ বড় হয় কেউ ছোট হয়, কাজেই একই রক্ত যদি শরীরে বয় তাহলে সেই সব ভেদ নিয়ে আমাদের বেশি মাথা ঘামাবার দরকার নেই। এবং তাঁরা অত্যন্ত চেষ্টা করে, মানে প্রচুর প্রয়াস করে আদিবাসী ধর্মের সাথে ব্রাহ্মণ্য হিন্দু ধর্মের দেবদেবীর মিথকের মিলগুলো, বলা যায় আবিষ্কার করছেন বা বানাচ্ছেন। আদিবাসী উপকথাকে তাঁরা হিন্দু মিথকের সাথে গেঁথে দিচ্ছেন। কুলুর আদিবাসীদের মধ্যে যেমন বহুকালের প্রথা বা বিশ্বাস যে দেবতারা তাদের গুপ্ত জীবনকাহিনী বিশেষ কোনও আদিবাসী মিডিয়ামকে গোপনে জানান, এবং তিনি তা রাজাকে জানান এবং রাজা তা জনসমক্ষে ব্যক্ত করেন। এখন কুলুর প্রাক্তন রাজা ঘোর আরএসএস এবং তিনি দেবতাদের তথাকথিত এই বাণীগুলো সাম্প্রদায়িক একটা চেহারা দিয়ে চারদিকে প্রচার করেন এবং লোকে তাঁকে বিশ্বাসও করে। লক্ষ্যণীয় হল, যেটা সবচেয়ে ভয়ের ব্যাপার, এই যে নতুন করে ইতিহাস লেখা হচ্ছে, এর মধ্যে আরএসএস-এর লোকেরা খুব চেষ্টা করে স্থানীয় আদিবাসীদের, তারা টিচার হোন বা তারা পুরোহিতের কাজ করুন, বা যাই করুন না কেন, তাঁদেরও ইতিহাসবিদ হিসেবে টেনে নিচ্ছেন, তাঁদেরও ইতিহাসবিদের সম্মানটা দিচ্ছেন যেটা আমরা কখনও করি নি, কখনওই করি নি। এসবের পরিণাম আমরা গুজরাটে ২০০২ সালে দেখেছি যেখানে আদিবাসীরা নানা জায়গায় মুসলমানদের আক্রমণ করেছেন। অরুণাচল প্রদেশে সেখানে আবার আরএসএস রামকৃষ্ণ মিশনের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এই ধরণের ইতিহাস রচনা করছে, এই ধরণের ‘গঠনমূলক’ কাজ করছে। সেইখানে ক্রিশ্চানদের ওপরে আদিবাসীদের টেনে নিয়ে এসে আক্রমণ চালানো হয়। সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে যদি আদিবাসী দলিতদের একটা ‘সাম্য’ দেওয়া হয় তাহলে সেটা খানিকটা কার্যকরী তো হতেই পারে। নাগা-দের মধ্যে ধর্মের ঐক্য প্রচার করতে গিয়ে সংঘ সেবকরা যেমন নিরন্তর পরিশ্রম করে চলেন বছরের পর বছর তার বিবরণ অর্ক লবকুমারের লেখায় পড়ে আমি একেবারে স্তম্ভিত হয়ে গেছি। তাঁদের ভাষা শিখে, তাঁদের মধ্যে থেকে তাঁদের খাবার খেয়ে —ভাবতে পারেন গুজরাটি বানিয়া স্বয়ংসেবক, তারা গিয়ে প্রতিদিন ওঁদের সাথে বিফ খেয়ে, দিনের বেলা বিফ খেয়ে রাত্রি বেলা সেটা উগরে দিয়ে, মানে বমি করে— ‘আমরা একই লোক দেখো, আমাদের মধ্যে কোনও ভাগ নেই’ দেখানো। এইভাবে তাদের দলে টেনে আনছে। মূল ধারার বাম পার্টিগুলোর যে কাজ, আমি এখানে সব বাম পার্টির কথা বলছি না, কিন্তু বড় বড় বাম পার্টি যেগুলো, লাগাতার এই ধরণের গঠনমূলক কাজ খুব কমই করেছে। এর জন্য বহু বহু বছর ধরে নিরলসভাবে, ফলের আশা না করে, লেগে থাকতে হবে। আমাদের নকশালবাড়িতে যেখানে বহু বছর চা বাগান বন্ধ হয়ে গেছে, সেখানে ’৯২ সালে যখন বিজেপির ক্ষমতায় আসার কোনও স্বপ্নও ছিল না, তখন একটি ছোট্ট স্কুল আরএসএস খোলে। দুটি কামরার স্কুল। সেখানে ’৯২ সালে কেউ আড়াইশো টাকা মাইনে মাসে নিয়ে কেউ কেউ পাঁচশো টাকা মাইনে মাসে নিয়ে পড়াতেন, এখন সেটা একটা বিশাল স্কুলে দাঁড়িয়ে গেছে। স্কুলের ছাত্রদের পাঠানো হয় চা-বাগানের বেকার শ্রমিকদের মধ্যে চ্যারিটি বা কৃপা বিতরণ করতে এবং তাঁদের সেই সঙ্গে সঙ্গে সাম্প্রদায়িক শিক্ষা দিতে।
নির্বাচনী লড়াইয়ের বাইরে যে রাজনীতির বিশাল জগৎ পড়ে রয়েছে সেটা আমরা চাষ করি নি। আমরা কেউই সেটার দিকে তাকিয়ে দেখি নি। আমাদের সংগঠিত বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলি বড় সহজে হাতে হাতে ফল পেতে চায়। এবং সরষের মধ্যে ভূতের মত তাদের মধ্যেও জাতিবিদ্বেষ ও ব্রাহ্মণ্য গরিমা যে নেই তা কি বলা যায়? জাতিপ্রথা নিয়ে যে তাঁরা এত কাল সম্পূর্ণ নীরব ছিলেন, এবং বাংলাদেশে যে জাতিভেদ আছে একথাও তাঁরা স্বীকার করতে চাইতেন না, বারবার নাকচ করে দিতেন, সেটাও কি কাস্টিজমের একটা অংশ নয়, বা পরিচয় নয়? এই কটু কথাগুলো বলে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Related post