বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার বাংলার ছাত্রসমাজ থেকে বিভিন্ন গণসংগঠন

মীর রাকেশ রৌশান
বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর স্বৈরাচারী কাজকর্ম সম্পর্কে প্রায় সকলেই অবগত।প্রায় আট মাস ধরে মিথ্যা অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র ছাত্রীকে সাসপেন্ড করে রাখার পর গত ২৩ শে আগস্ট তিন বছরের জন্য তাদের বহিষ্কার করা হয়। এছাড়াও প্রায় ১৫০ কর্মীবৃন্দ কে শোকজ,সাসপেন্ড ইত্যাদি করা হয়েছে। বেশ কিছুজন অধ্যাপক-অধ্যাপিকা কেও সাসপেন্ড ও বহিষ্কার করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অনেকদিন ধরেই গৈরিকিকরণ এর চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। বারংবার বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের দিয়ে সেমিনার,অনুষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে সামিল করা হচ্ছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুক্ত শিক্ষাকে পাঁচিল বন্দি করে, ক্যাম্পাসে শিক্ষক-ছাত্র-ছাত্রী-কর্মী সকলকে ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করতে চান তিনি। বিশ্বভারতী কোনো আলাদা ক্ষেত্র নয়,এই তিন ছাত্রের পড়াশুনা বন্ধ করে দিয়ে তাদের জীবন নিয়ে খেলা করাও আলাদা কিছু নয়, এইসবই আসলে আমাদের দেশের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির একটা ছোট রূপ। শাসকের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই প্রতিবাদী ছাত্র-ছাত্রী বা জনসাধারণ সকলকেই হতে হচ্ছে ক্ষমতার স্বীকার। ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করতেও দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছে না শাসক, নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের ইচ্ছামত তৈরি করছে আইন। আজ বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। গতকাল শুক্রবার থেকে বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীরা উপাচার্যের বাংলো ঘেরাও করে অবস্থানে বসেছেন তাদের দাবি নিয়ে। এই অনৈতিক বহিষ্কার তোলার দাবিতে ও সর্বোপরি এই স্বৈরাচারী ছাত্র-ছাত্রী বিরোধী উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে।ঝড়ে উঠেছে সোসাল মিডিয়াতে।টুইটার থেকে ফেসবুক সমস্ত জায়গায় স্বৈরাচারী উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলেছে বাংলার ছাত্র-ছাত্রী সহ বিভিন্ন গণসংগঠন।থেমে নেই শিল্পী,সাহিত্যিক, মানবাধিকার কর্মীরাও।মানবাধিকার সংগঠন এ পি ডি আরও ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে আছে।
এই আন্দোলন শুধু আর শান্তিনিকেতন এর বুকেই থেমে নেই,ছড়িয়ে পড়েছে রাজপথ তথা পশ্চিম্বঙ্গের নানা জেলায়, বিভিন্ন জায়গায় চলছে আন্দলোন, চিত্রশিল্পী শুভেন্দু সরকারের তার বক্তব্য জানিয়েছেন তার ছবির মাধ্যমে।
আগামী ৩রা সেপ্টেম্বর কোলকাতার বিভিন্ন সংগঠন যেমন আইসা
আরএসএফ
এআইআরএসও
ইনকিলাবি স্টুডেন্টস্’ ইউনিটি
পিডিএসএফ
প্রতিসরণ পত্রিকা
শ্রমিক-কৃষক-শিক্ষার্থী ঐক্য মঞ্চ
সিধু-কানু-বিরসা স্টুডেন্টস্’ ফ্রন্ট
স্টুডেন্টস্’ ইউনিটি ফর আ নিউ সোসাইটি
সংগঠনগুলির সদস্যেরা কলকাতা শহরে বিশ্বভারতীর গ্রন্থন বিভাগের সামনে মিছিল ও ২৪ ঘন্টা অবস্থান করার, এবং আধিকারিকদের ডেপুটেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।