বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে ৯ম দিনে এ রাজ্যের নার্সদের অনশন আন্দোলন

দিশা ঘোষ
গত ২৬ শে জুলাই আবারও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল এস এস কে এমে।আজ অনশনের নবম দিন।তাঁদের মতে,গোটা রাজ্যের নার্সিং অফিসাররা এই আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হতে শুরু করলে প্রশাসন ফের তাদের মিথ্যা আশ্বাস দেয়। স্বাস্থ্যপ্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান নার্সদের জন্য তৈরি হওয়া সেই ফাইল পে কমিশনে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন যে চার মাস সময় চেয়ে নিয়েছিল তার তিনমাস কেটে গেলেও কোনো সদর্থক খবর নার্সরা পায়নি।বরং আন্দোলন আবারো হতে পারে সেই আশঙ্কা থেকেই বেশ কিছু নার্সিং অফিসারকে হঠাৎই কোনো কারণ ছাড়াই ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ট্রান্সফার অর্ডার ।
এই অন্যায় ট্রান্সফারের প্রতিবাদে এবং ন্যায্য পে স্কেলের দাবিতে আবার শুরু হয়েছে অনশন আন্দোলন । ভাস্বতী মুখার্জি সহ আরও কয়েকজন নার্সেস ইউনিটির নেতৃত্বে শুরু করেছেন অনশন অবস্থান ।
আজ অনশন নবম দিনে পড়ার পরও সরকারের নার্সদের জীবন নিয়ে বা তাদের প্রাপ্য নিয়ে কোনো হেলদোল নেই । প্রশাসন হয়ত তাদের কোনো প্রয়োজনীয়তা বোধই করেনি। কোভিড যোদ্ধা নাম দিয়েই সব রকম দায়িত্ব ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছে। রোগীর স্বার্থেই নার্সরা কোনোদিন কোনো আন্দোলনে কর্মবিরতি ডাকেনি, কিন্তু প্রশাসন কি তাঁদের সেই দিকেই নিয়ে যেতে চাইছে? যদিও তাঁরা মনেপ্রাণে কখনই সেটা চায়নি ।তাঁরা কোনো ভিক্ষা নয় যেটুকু তাঁদের ন্যায্য প্রাপ্য সেটুকুই দাবি করেছে।তাঁদের পক্ষ থেকে জানান ” আমাদের সেরকম কোনো কড়া পদক্ষেপ নিতে হয় সেই দায় হবে প্রশাসনেরই।”যদিও অনশনের আজ নবম দিন,এই অধিকার আন্দোলনের পথ এতো সহজ নয়।তাঁদের লড়াই কোন পথে যাবে ভবিষ্যৎ সেটা বলে দেবে।