B1 253

কোয়েল সাহা
আম, জাম, কাঁঠালে রোদ ছায়া ঘেরা বাগান। ইংরেজীতে স্পেস। যে স্পেস নাম ও পরিচিতিতে B 1 253, কল্যানী, নদীয়াতে।নীরব,নির্জন শীত চাদর মুড়ে থাকা স্পেসে শহর পাড়া গাঁয়ের জনা তিরিশেক মানুষ এসে জুটেছিলেন ১৬/০১/২০২২। উদ্দেশ্য একটাই তর্ক-বই-বাজনা-খাবার-নাচ-গান-ছবি-নাটক প্রতিটি মাধ্যমের মধ্যেকার ছোট ছোট অদৃশ্য পাঁচিল গুলো ভেঙে সমতার যাতায়াত ও পরিসর তৈরী করা। মহামারীর নিদানে নির্জনে ঘুমিয়ে থাকা চেতনাকে উস্কে দেওয়া। যেমন মহামারীর প্রকোপে মানুষ ঘরবন্দি তখন নিবেদিতা,দ্বৈপায়ণ বন্দি না হয়ে থিয়েটারের মালমশলা মগজ আর ঝোলায় পুড়ে বেড়িয়ে পড়েন গোটা বাংলার এপাড়া সেপাড়া গলির মোড়ে। পিয়ালী ঠিক তেমনি নিজেকে দিয়েছেন গানের তালিম। সেই তালিম দেওয়া গান হাওড়া জেলার, ঘরের ফাঁক ফোকড়ে আটকে না রেখে পরের পর জেলা টপকে চলে এসেছ, সুদূর ইতালি ভাষার সুরে স্বপ্ন বোনার ইঙ্গিত নিয়ে। সৃজনী ও সুতপার রবীন্দ্র গান, সলীলবাবুর গণসঙ্গীতের কথায় ও সুরে সময়টাকে আরও স্পষ্ট করে দিলেন। সময় কেবল মহামারীতে আটকে পড়া শোক স্তব্ধতা নয়।


এ দেশের কৃষক সমাজ দেখিয়েছেন সংঙ্কল্প-সংঘর্ষ-সেবা। হার না মানা দাবি নিয়ে কৃষক আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ দেশবাসিকে জুগিয়েছে ভরসা। ভরসার কম্পাঙ্ক আমাদের আকাঙ্ক্ষার জোয়ার হয়ে বিনা বাক্যে মেনে নেওয়া, মানিয়ে নেওয়ার পরিধিকে খন্ডন করে চেতনার পরিসরকে করেছে তীব্র। এ প্রসঙ্গে সুচেতনার স্পেস রাজনীতির বক্তব্য আর এক স্বতন্ত্র দিক নির্দেশ করল। আলোচনার আর এক পিঠে সমীর সাহা পোদ্দার সমকালকে স্পষ্ট উচ্চারণ করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও শঙ্খ ঘোষের কবিতা পাঠের মধ্যে দিয়ে। বহুবচন প্রকাশনী তার পুস্তক ভান্ডার। দিল্লির কৃষক আন্দোলন, কাঁকিনাড়ার দাঙ্গা বিধ্বস্ত উচ্ছেদ সময়ের দলিল হয়ে উঠে আসা সন্দীপের ফটোগ্রাফি। ছবি ও বই এর অকপট স্বীকারোক্তির মাধ্যম হিসাবে আলাদা হলেও সময়ের বৃত্তে ছুঁয়ে থাকা চেতনাকে শানিয়ে রাখার মন্ত্র। ২ থেকে ৫ টার ব্যবধানে প্রতিটি মাধ্যম একক প্রতিনিধি না হয়ে যৌথ ধ্বনি হয়ে ওঠার প্রচেষ্ঠা জারি রাখে। সেই জারি থাকা প্রচেষ্টা নিয়ে ভেদ ভাগের ছুৎমার্গকে দূরে সরিয়ে প্রতি মাসের একটা রবিবার এই উদ্দেশ্য পূর্তির দিন হিসাবে পালন করবে।
ছবি : পিয়াল অধিকারী ও সন্দীপ সাহার তোলা
1 Comments
চলুক চলুক… চলতে থাকুক…