‘আমরা স্কুলে যেতে চাই’ প্লাকার্ড হাতে রাস্তায় স্কুল পড়ুয়ারা

জৈদুল সেখ
বাড়িতে গৃহবন্দী হয়ে তারা ক্লান্ত।আর নয়, এবার তারা স্কুলে যেতে চায়। এমনই চিত্র দেখা গেল কান্দী মহকুমায়। স্কুলে পঠন পাঠন শুরু করার দাবিতে সালারে বিডিও কে ডেপুটেশন দেন এবিটিএ শিক্ষক সংগঠন। অন্যদিকে কান্দিতে পথসভা করেন এবং এসডিও কে ডেপুটেশন দেন অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি। শুক্রবার কান্দি মহকুমার পাঁথুপিতেও এবিপিটিএ শিক্ষক সংগঠন পথ সভা করেন। স্কুল, কলেজ,মাদ্রাসায় পঠন পাঠন বন্ধের সুবাদে বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থান অ্যাপ তৈরি করে ব্যবসা শুরু করেছে। তার ফলে ফুলেফেঁপে উঠছে কর্পোরেট সংস্থানগুলো।অন্য দিকে গ্রাম-গঞ্জের ছেলেরা পড়াশোনা কোন সুযোগ পাচ্ছেনা।আর সেই অ্যাপ কিনে পড়াশোনা করানোর মত সামর্থ্য নেয় বেশিরভাগ মানুষের।


স্কুল কলেজ বন্ধের সুযোগ নিচ্ছে বর্তমান রাজ্য সরকার। অনেক প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল উঠে যাচ্ছে।তাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি রাস্তায় নামতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়াদের। বিগত সপ্তাহে এবিটিএর সভায় বক্তব্য দিতে দেখা গেছে দেবকুণ্ড হাইমাদ্রার ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী মানুসরা,তার বক্তব্য উঠে এসেছে স্কুলে যেতে না পারার ব্যথার কথা। এবার পথ নামলো কান্দির খুদে পড়ুয়ারা।স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় পঠন-পাঠন শুরু করার দাবি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আওয়াজ উঠছে।রাস্তায় নামতে দেখা গেছে SFI থেকে শুরু করে AISA,DSO,PDSF,AIRSO,RSF সহ বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনকে।এছাড়া স্কুল কলেজে পঠন-পাঠন শুরু করার দাবি নিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা গেছে ‘লকডাউন বিরোধী গণ উদ্যোগ ‘নামক সংগঠনকে,যা APDR সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের যৌথ উদ্যোগ।তারা মহাকরণ অভিযানে গেলে প্রায় ২৪ জন মানবাধিকার কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। এখন দেখার বিষয় বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও কি পথে নামবে নাকি চোখবুঁজে সব কিছু সহ্য করবে…