আগামী দু মাসের মধ্যে শ্রমবিধি লাগু হতে চলেছে

তারাশঙ্কর ভট্টাচার্য
আগামী দু মাসের মধ্যে শ্রমবিধি লাগু হতে চলেছে । ইতিমধ্যেই বহু সংস্থার বেসরকারিকরণ ঘটে গেছে । রেলে ১২ হাজার পদ , মোটের ওপর লক্ষাধিক চাকরি ছাঁটাই হতে চলেছে । বিপিন রাউত জানিয়েছেন সেনাবাহিনীতে লক্ষাধিক ছাঁটাই হবে । এয়ার ইন্ডিয়া ও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে VRS স্কিম চালু হতে চলেছে । ONGC এবং BSNLএর মাথায় খাঁড়া ঝুলে আছে । পরিসংখ্যান অনুযায়ী এপ্রিল মে মাসে ভারতবর্ষে কাজ চলে গেছে ২ কোটি ২৭ লক্ষ মানুষের । অথচ এই লকডাউন পরিস্থিতিতে ভারতীয় শিল্পপতিদের মুনাফা বেড়েছে ৩৫% । অর্থনীতির কোন নিয়মে এই দুর্গতি কালে এত হারে মুনাফা বৃদ্ধি হয় তার কার্য-কারণ সম্পর্ক বুঝে উঠতে পারছেন না অর্থনীতিবিদেরাও ।
উদ্বৃত্ত শ্রম চুরি করে পুঁজিবাদের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে , ক্রমাগত শ্রমিক উদ্বৃত্ত হলে পুঁজিবাদের মৃত্যুঘন্টা বাজে । ILO জানিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে অপরিমেয় ছাঁটাই এবং শ্রমিকের ৬০ শতাংশ মজুরি হ্রাস ঘটেছে । সারা বিশ্বেই তাই প্রচলিত শ্রম আইনের বহুল পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে । ভারতীয় সংসদেও শ্রম আইনের ব্যাপক রদবদল ঘটানো হয়েছে । আসুন দেখে নেয়া যাক …
ভারতবর্ষে শ্রমিক সুরক্ষার স্বার্থে প্রায় ৫০০ আইন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের অধীনে রচিত হয়েছিল এ যাবৎ তার সরলীকরণের নামে চারটি শ্রমকোড সংসদে আনা হয় । কেন্দ্রের ৪৪টি শ্রম আইনের মধ্যে ১৫টিকে বাদ দিয়ে ২৯টি আইনকে একসাথে জুড়ে নাকি চারটি শ্রমকোডে শ্রম-আইন সংশোধন করা হয়েছে । ২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২০ পাশ হল
১) The Occupational Safety, Health and Working Conditions Code, 2020 (পেশাগত নিরাপত্তা,স্বাস্থ্য ও পরিবেশ )। ১৩টি শ্রম আইনকে সংযুক্ত করে রচিত ।
২) The Industrial Relations Code, 2020 ( শিল্পে শ্রমিক-মালিক বিবাদ সম্পর্ক) । ৩টি আইনকে একযোগে এই আইনটি নির্মিত)
৩) এবং The Code on Social Security, 2020. ( শ্রমিকের সামাজিক নিরাপত্তা )। ৯টি আইনকে একসাথে মিলিয়ে এই আইন ।
৪) Code on Wages 2019 এর নভেম্বরেই পাশ হয়েছে।
প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যঃ-
শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার বলেছেন শ্রমসংস্কারের প্রয়োজন ছিল ব্যবসায় স্বচ্ছতা আনার দরকারে । তিনি বলেন অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত ৪০ কোটি শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে । কী রাখা হয়েছে আইনেঃ—
১) প্রচলিত আইনে কর্মক্ষেত্রে ১০০ জনের কম শ্রমিক থাকলে মালিক বিনা নোটিশে ছাঁটাই করতে পারত । সেই সংখ্যাটা বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে ।
২) সংস্থাগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে যাতে তারা বেশিরভাগ লোককে চুক্তি ভিত্তিতে নিয়োগ করতে পারে।
৩) সেই আইনটিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যার অধীনে যে কোনও স্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীকে চুক্তি শ্রমিক হিসাবে বদলে দেওয়া যেত না । অর্থাৎ এখন মালিকের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কেউ স্থায়ী বা অস্থায়ী কর্মীতে পরিণত হতে পারে । এই আইনের মাধ্যমে, রাজ্য, কেন্দ্র এবং বেসরকারী সংস্থাগুলি যে কোনও সময় যে কোনও স্থায়ী কর্মচারীকে অপসারণ বা চুক্তি শ্রমিক হিসাবে বদলে দেওয়ার অধিকার রাখে । তবে চুক্তির ভিত্তিতে যারা কাজ করছেন তারা তাদের বেতনের পাশাপাশি গ্র্যাচুইটির সুবিধা পাবেন,চুক্তি যতদিনেরই হোক । আগে ৫ বছরের কর্মীরা গ্র্যাচুইটি পেত ।
৪) কোনও সংস্থায় কর্মরত কোনও শ্রমিক ৬০ দিন আগে নোটিশ না দিয়ে ধর্মঘটে যেতে পারবেন না। এতদিন এই সময়কালটি ছিল ছয় সপ্তাহের।
৫) আন্তঃরাষ্ট্রীয় প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য কর্মক্ষেত্রের নিকটবর্তী শ্রমিক আবাসনের ব্যবস্থাপনা আইন বাতিল করা হয়েছে ।
৬)কোন দুর্ঘটনায় শ্রমিকের শারীরিক ক্ষতির ক্ষতিপূরণ এবং মালিকের উপর আরোপিত জরিমানার অর্ধেক পাবে শ্রমিক বাকিটা অন্যত্র ব্যয় হবে ।
৭) শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্যে “ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট” নীতি চালু করেছে সরকার । স্থায়ী অস্থায়ী বদলি ঠিকা ফুরন এসব টার্ম এখন বাদ দেওয়া হয়েছে । “হায়ার এন্ড ফায়ার” নীতিতে শ্রমিক-কর্মচারী নিয়োগ এবং ছাঁটাই চলবে এখন থেকে ।
করোনা পরিস্থিতির নামে শ্রমসুরক্ষা প্রত্যাহার ও কঠোর শ্রম শোষণ
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ২০২০ সালের মে মাসে ১৬টি রাজ্য আইনগুলি শিথিল করেছে । তার মধ্যে ন্যূনতম মজুরি আইন বাতিল করা হয়েছে কোথাও , কোথাও ৮ ঘন্টার কাজের আইন তুলে দেওয়া হয়েছে । এই আইনগুলি আনা হয়েছে অর্ডিন্যান্স জারি করে , যা ৬ মাসের মধ্যে বিধানসভায় পাস করানোর সাংবিধানিক নিয়ম । উত্তরপ্রদেশ গুজরাটের মতো রাজ্যগুলিতে ৩ বছরের জন্যে শ্রমিক স্বার্থের বেশকিছু আইন তুলে দেওয়া হয়েছে । কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ২৩ শে সেপ্টেম্বর জানান , রাজ্যগুলি অর্ডিন্যান্স মোতাবেক নিজ রাজ্যে শ্রম আইন চালু রাখতে পারে ।
দেশে ৯৩ শতাংশ চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক , National Statistics Office Periodic Labour Force Survey 2018-19 অনুসারে ভারতে কেবলমাত্র ৪.২% কর্মচারী স্থায়ী সম্মানজনক চাকরিতে রয়েছেন । গিগ সফটওয়্যার কোম্পানির প্রায় ৫০ শতাংশ শ্রমিক “ওয়ার্ক ফ্রম হোম” পলিসিতে কাজ করে যাচ্ছে , যাদের শ্রমসময় নির্ধারন করা সম্ভব নয় , আগামিদিনে ছুটি ও অন্যান্য চাকরির শর্তও বজায় থাকবে কিনা সন্দেহ । বহুক্ষেত্রেই শ্রমিক-কর্মচারী কমিশন ভিত্তিক এজেন্টে পরিণত । জেলায় জেলায় , রাজ্য থেকে রাজ্যে এমনকি ভিন্ন রাষ্ট্রে অভিবাসী শ্রমিকদের সংখ্যা বাড়ছে । ভারতবর্ষে পরিযায়ী শ্রমিক প্রায় ১৫ কোটি । ভারতবর্ষ সহ বিশ্বের বহুদেশে সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত জেলে, “ওপেন এয়ার জেলগুলোতে” বিশ্বের ডিটেনশন ক্যাম্প ও উদ্বাস্তু শিবিরের শ্রমিকদের শ্রমের বিনিময়ে একচেটিয়া হাঙরেরা তাদের মুনাফা বাড়িয়ে নিচ্ছে । আমাজন ফ্লিপকার্ট সুইগি জোমাটোর মতো ডেলিভারি বয়েরা এমনকি ইঞ্জিনীয়ারিং পাশ করা যুবকেরা ন্যূনতম মজুরিতে “গিগ ক্যাপিটালিস্ট” সংস্থায় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে । এর ফলে আগামি দিনে সমাজে পরিবার সংসার বিয়ে এসব কাঠামো ভবিষ্যতে প্রশ্নের মুখে । খুব স্বাভাবিক ভাবেই শ্রমআইনের গুরুত্ব সরকার কমিয়ে দিলে শ্রমিকদের মধ্যে থেকে প্রতিরোধ আর তেমন গড়ে উঠবে না এটা সরকার বুঝে গেছে । ১৭৬০ থেকে ১৮২০ সালের মধ্যে যে শিল্পবিপ্লব ঘটে গেছে সেই পরিস্থিতিতে সংগঠিত শ্রমিকের উপস্থিতি যেমন দেখা যেত এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই সারা বিশ্বেই ।
আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা গঠন ও কেইনসীয় নীতি
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সাম্রাজ্যবাদী অর্থনীতির নয়া বিন্যাসের ফলে উপলব্ধি হয় শ্রমিক সুরক্ষার গুরুত্ব না বাড়ালে সাম্রাজ্যবাদী অর্থনীতি বিকাশলাভ করবে না । সেজন্যে ভার্সাই চুক্তির অংশ হিসেবে “আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা” গঠিত হয় ১৯১৯ সালে । শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষনে আইএলও একটি সফল পদক্ষেপ । এই আইএলও-র নীতিকে মান্যতা দিয়ে সারা বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে দিয়ে শ্রমিকের বিক্ষোভকে অনেকটা প্রশমিত করে । ১৯২৯ সালে সাম্রজ্যবাদী পুঁজি ভয়ঙ্কর মন্দার কবলে পড়ে । এরই ফলশ্রুতিতে কেইনসীয় অর্থনীতি “চুঁইয়ে পড়া অর্থনীতি” সাম্রাজ্যবাদী পুঁজি অর্থনীতিকে মন্দার দাওয়াই দিল । এর ফলে দেশে দেশে সরকারগুলি বেতন ও অন্যান্য খাতে ব্যয়বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহন করে । এরই মধ্যে ১৯৩৯ সালে এসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখোমুখি হয় পুঁজিবাদী দুনিয়া । এই যুদ্ধ ১৯৪৪ সাল অব্দি চলে । কেইনসীয় Trickle Down Theory এর সফল প্রয়োগে ১৯৪৫ সাল থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত দেখা যায় । এই সময়টাকে পুঁজির শান্তিপূর্ণযুগ বা শীতল যুদ্ধের যুগও বলা হয়ে থাকে । সত্তরের দশকে এই নীতিতে মুদ্রাস্ফীতি ঘটতে শুরু হল ব্যয়বৃদ্ধির কারণে । সরকারের এই ব্যয়বৃদ্ধির নীতির কারণে দেখা গেল পণ্যের দামই শুধু বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু উৎপাদনশীলতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়ে সঙ্কটবৃদ্ধি করছে । এই সঙ্কটের ফলশ্রুতিতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়োজনে শ্রমিকদের মজুরি কমিয়ে শিল্প-ব্যবসায় উৎসাহভাতা , কর হ্রাস , রপ্তানিশুল্ক হ্রাস ইত্যাদি বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার নীতি গ্রহন করা হল উন্নত দেশে ।
নয়া উদারবাদের উত্থান ও ভ্যালু চেন সিস্টেম
কেইনসীয় অর্থনীতি অসার হয়ে উঠছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই অতি ধীর লয়ে । ৬০ থেকে ৭০ এর দশকে “ভ্যালু এডেড চেইন” সিস্টেমের কার্যকর প্রয়োগ শুরু হল । আধা উন্নত দক্ষিন এশিয়া আফ্রিকা ও অন্যান্য দেশে সস্তা শ্রম ও সম্পদের কম মূল্যমানকে কাজে লাগাবার জন্যে উৎপাদনের শিল্প-ব্যবসায়িক কাঠামোগুলোকে চালান করা হতে থাকল ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশ থেকে । সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির তীব্র একচেটিয়াকরণ তখন পুঁজিবাদের গর্ভযন্ত্রনা । কেননা এই সময়ে পুঁজি উদ্বৃত্তমূল্য আহরণ না করতে পারলে সাম্রাজ্যবাদী পুঁজির একচেটিয়া বিকাশ ব্যহত হয়ে পড়বে । ১৯৭১ সালে আমেরিকা ডলারের সাথে পেট্রোপণ্যের সংযোগ ঘটিয়ে পেট্রোডলারকে আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে নিয়ে গেল । নয়া-উদারনীতিবাদের প্রায়োগিক রূপ দিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক , আইএমএফ মজুরি-বৈষম্যের নীতিকে আন্তর্জাতিক রূপরেখা দান করল ।
“রিডলি প্ল্যান” ও “অর্ডো-লিবারেলিজম” উদার-অর্থনীতির জন্মলগ্ন :–
১৯৮৩ সালে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার তিন বছর পরে, মার্গারেট থ্যাচার “রিডলি প্ল্যান” বাস্তবায়ন শুরু করেন । ২০ টি কয়লা খনির বেসরকারীকরণ করেন । “রিডলি প্ল্যান” কী ? নিকোলাস রিডলি কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি একটি পরিকল্পনা তৈরি করেন । ব্রিটেনের সমস্ত সরকারী সত্তা সংস্থাগুলিকে ব্যক্তিগত হাতে বিক্রয় করা , শ্রমিক ইউনিয়নকে দুর্বল করা, তাদের কাছ থেকে ধর্মঘটের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া … এটিকে “রিডলি প্ল্যান” বলা হয়! মার্গারেট থ্যাচার কঠোরভাবে শ্রমিক ইউনিয়নের অধিকার হ্রাস করেছিলেন, বেসরকারীকরণ শুরু করেছিলেন। কয়লা খনির শ্রমিকরা দেশব্যাপী ধর্মঘটে গেল! ব্রিটেনের সরকার অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা ও কলম্বিয়া থেকে কয়লা আমদানি করে শ্রমিকদের ধর্মঘটকে দুর্বল করে দিলো । কয়লা শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছিলো । কয়লাখনির আশেপাশে গড়ে ওঠা বস্তিতে ভয়াবহ দারিদ্র্য দেখা ছড়িয়ে পড়লো । এই নীতি দেশে দেশে প্রয়োগ করা শুরু হয়ে গেল আশির দশকে নয়া উদারনীতিবাদের নামে । তদানীন্তন পশ্চিম জার্মানিতে Ordo-Liberalism নামে একটি নীতি গ্রহন করা হয় । ব্যক্তি-স্বাধীনতার যুগ , পছন্দমতো পণ্য নির্বাচনের অধিকার , ধর্মের অধিকার , সংস্কৃতির অধিকারের নামে রাষ্ট্র কাঠামোয় শুধু রাজনীতি অর্থনীতি নয় সাংস্কৃতিক আধিপত্যের ভাষা দেওয়া হল । এই অর্ডো-উদারবাদ ব্যক্তিস্বাতন্ত্রবাদ ছড়িয়ে গেল বিশ্ব-রাষ্ট্র কাঠামোগুলিতে ।
পুঁজির একচেটিয়াকরণের এই চরম পর্যায়ে অর্থাৎ ১৯৯৫ সালে World Trade Organisation গঠনের ফলস্বরূপ বিশ্বায়নী প্রতিযোগিতার নামে অনুন্নত অর্ধোন্নত দেশগুলিতে শ্রমিকের উপর নেমে আসবে নির্যাতনের খাঁড়া । চাষি ক্ষুদ্র-ব্যবসায়ি ঠিকা শ্রমিক সকল মানুষ শ্রমদাসে পরিণত হচ্ছে , সমাজে শ্রেণিমেরুকরণ ষ্পষ্ট হচ্ছে ক্রমশ ।
আজ মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে দুটি দল
মাঝামাঝি নেই তো কিছুই
পা-চাটা দালাল আর নয়তো
এক লড়াকু মজুর হবি তুই ।
সাথী কোনদিক , কোনদিক বেছে নিবি তুই ।